|
গুলশানের ওয়েস্টিনে পাকিস্তানি পোশাকের ট্রাঙ্ক শো: নানা অনিয়মে ঘেরা আয়োজন
নতুন সময় প্রতিবেদক
|
![]() গুলশানের ওয়েস্টিনে পাকিস্তানি পোশাকের ট্রাঙ্ক শো: নানা অনিয়মে ঘেরা আয়োজন তবে এ আয়োজনে শুরু থেকেই নানা অনিয়ম ও অসঙ্গতি প্রকাশ পাওয়ায় সমালোচনার ঝড় উঠেছে ভোক্তা মহলে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের দেওয়া অনুমতি অনুযায়ী, উদ্যোক্তারা শুধুমাত্র নিজেদের ব্র্যান্ডের পোশাক প্রদর্শন ও বিক্রি করতে পারবেন। কিন্তু দেখা গেছে, একাধিক পাকিস্তানি ব্র্যান্ডের পোশাক খোলাখুলিভাবে বিক্রি করা হচ্ছে, যা অনুমতির শর্তের স্পষ্ট লঙ্ঘন। এ নিয়ে প্রশ্ন তুললে জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুল জব্বার, কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। ফলে প্রশাসনের নীরবতা নিয়েও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন উপস্থিত ক্রেতা ও উদ্যোক্তারা। অনুষ্ঠানে ফাইজুল হক রাজুর মেয়ে সাংবাদিকদের বলেন, “এই প্রদর্শনীর মূল উদ্যোক্তা আমি নই, দুবাইয়ের ব্যবসায়ী আমির মাজহার আয়োজক।” কিন্তু বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনপত্রে আমির মাজহারের নামের কোনো উল্লেখ পাওয়া যায়নি, যা আয়োজনের স্বচ্ছতা নিয়ে নতুন প্রশ্ন তোলে। এছাড়া, অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়া মডেল ও সেলিব্রেটিদের বিষয়ে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় থেকে কোনো অনুমোদন নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ উঠেছে। আয়োজকরা সেই সংক্রান্ত কোনো কাগজ দেখাতে পারেননি। মেলায় বিক্রিত পোশাকের দামও সাধারণ ক্রেতাদের নাগালের বাইরে। বেশিরভাগ পোশাক ও অলঙ্কার বিক্রি হয়েছে ‘আগুনছোয়া’ দামে। বিক্রেতাদের কাছে পণ্যের আমদানি মূল্য, বিক্রয়মূল্য বা ভ্যাট সংক্রান্ত কোনো চালান পাওয়া যায়নি। অথচ ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা কোনো ধরনের ব্যবস্থা নেননি। স্থানীয় ফ্যাশন উদ্যোক্তারা বলছেন, পাকিস্তানি ব্র্যান্ডের এমন বাণিজ্যিক ট্রাঙ্ক শো দেশে প্রথমবার হলেও এটি দেশীয় ফ্যাশন ইন্ডাস্ট্রির জন্য বড় ধরনের হুমকি তৈরি করছে। তাদের মতে, বিদেশি পোশাকের অবাধ বিক্রি স্থানীয় উদ্যোক্তাদের প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে দিচ্ছে। একজন দেশীয় ব্র্যান্ড উদ্যোক্তা বলেন, “বিদেশি ট্রাঙ্ক শোর অনুমতি দিয়ে সরকার নিজ দেশের উদ্যোক্তাদের প্রতি বৈষম্যমূলক আচরণ করছে। এটি দেশের ফ্যাশন খাতের জন্য অশনি সংকেত।” বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় কিংবা ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে এখনো পর্যন্ত কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। দেশীয় বিশ্লেষকরা মনে করছেন, পাকিস্তানি পোশাক বিক্রির এই ট্রাঙ্ক শো শুধু বাণিজ্যিক নয়, বরং নীতি ও নৈতিকতার দিক থেকেও বিতর্কিত এক উদাহরণ হয়ে থাকবে। |
| পূর্ববর্তী সংবাদ | পরবর্তী সংবাদ |
