শিশুদের পর্নোগ্রাফিক কনটেন্টের দিকে ঠেলে দিচ্ছে টিকটক!
নতুন সময় ডেস্ক
|
![]() শিশুদের পর্নোগ্রাফিক কনটেন্টের দিকে ঠেলে দিচ্ছে টিকটক! এ গবেষণার জন্য ভুয়া শিশু অ্যাকাউন্ট তৈরি করে গবেষকরা নিরাপত্তা সেটিংস সক্রিয় করেও উগ্র যৌন কনটেন্টের সাজেশন পেয়েছেন বলে প্রতিবেদনে লিখেছে বিবিসি। গবেষকরা বলেছেন, সেইফটি সেটিংস চালু থাকার পরও ভুয়া শিশু অ্যাকাউন্ট থেকে টিকটকে সার্চ করলে অ্যাপটি এমন কিছু শব্দ সাজেস্ট করেছে, যা শেষ পর্যন্ত স্পষ্ট যৌন ভিডিও ও ছবির দিকে নিয়ে গিয়েছে তাদের। এদিকে, টিকটক বলেছে, নিরাপদ ও বয়স উপযোগী অভিজ্ঞতা নিশ্চিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ থাকার পাশাপাশি এ সমস্যা সম্পর্কে জানার পর দ্রুত পদক্ষেপ নিয়েছে তারা। এ বছরের জুলাইয়ের শেষ ও অগাস্টের শুরুতে ১৩ বছর বয়সী শিশুর কাল্পনিক তথ্য দিয়ে টিকটকে চারটি অ্যাকাউন্ট খোলেন ক্যাম্পেইন দল ‘গ্লোবাল উইটনেস’-এর গবেষকরা। এক্ষেত্রে ভুয়া জন্মতারিখ ব্যবহার করেছিলেন তারা। তবে তাদের পরিচয় নিশ্চিতের জন্য টিকটক অন্য কোনো তথ্যও চায়নি। পর্নোগ্রাফি গবেষণায় টিকটকের ‘রেস্ট্রিকটেড মোড’ সক্রিয় করেছিলেন গবেষকরা। টিকটক বরাবরই বলে এসেছে, এ ‘রেস্ট্রিকটেড মোড’ শিশুদের ‘প্রাপ্তবয়স্ক বা যৌনসংক্রান্ত ইঙ্গিতপূর্ণ কনটেন্ট’ থেকে দূরে রাখে। নিজেরা কিছু সার্চ না করলেও গবেষকরা দেখেছেন, টিকটকের ‘ইউ মে লাইক’ বিভাগে প্রকাশ্যে যৌন শব্দ সুপারিশ করা হচ্ছিল। আর এসব সার্চ শব্দ এমন কনটেন্টের দিকে নিয়ে যাচ্ছিল, যেখানে নারীদের হস্তমৈথুন অনুকরণ করতে দেখা গিয়েছে। অন্যান্য ভিডিওতে গবেষেকরা দেখেছেন, কিছু নারী জনসমক্ষে নিজেদের অন্তর্বাস দেখাচ্ছেন বা বুক অনাবৃত করছেন। এসব ভিডিওর চরম পর্যায়ে কিছু কনটেন্টে এমন ছিল, যেখানে স্পষ্ট পর্নোগ্রাফিক ভিডিও দেখানো হয়েছে। বিবিসি লিখেছে, এসব ভিডিও এমনসব কনটেন্টের ভেতরে লুকিয়ে ছিল, যেখানে কনটেন্ট মডারেশন বা যাচাই প্রক্রিয়া সহজেই এড়িয়ে যাওয়া যায়। ‘গ্লোবাল উইটনেস’-এর আভা লি বলেছেন, গবেষণার এসব ফলাফল ‘গবেষকদের জন্য বড় এক ধাক্কা’। “টিকটক কেবল শিশুদের অনুপযোগী কনটেন্ট দেখতে বাধা দিতেই ব্যর্থ হচ্ছে না, বরং অ্যাকাউন্ট তৈরি করলেই সেই ধরনের কনটেন্ট শিশুদের কাছে সাজেস্ট করছে।” ‘গ্লোবাল উইটনেস’ এমন এক প্রচারণা সংগঠন, যা সাধারণত বড় বিভিন্ন প্রযুক্তি কোম্পানি কীভাবে মানবাধিকার, গণতন্ত্র ও জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে কাজ করে ও এসব আলোচনা ও সিদ্ধান্তের ওপর প্রভাব ফেলে সেসব বিষয় বিশ্লেষণ করে। এ বছরের এপ্রিলে অন্য এক গবেষণা চালানোর সময় একেবারে অপ্রত্যাশিতভাবে এ সমস্যার মুখে পড়েন গবেষকরা। ভিডিও মুছে ফেলা গবেষকরা টিকটককে বিষয়টি জানানোর পর কোম্পানিটি এ সমস্যা সমাধানে তাৎক্ষণিকভাবে পদক্ষেপ নিয়েছে। তবে এ বছরের জুলাইয়ের শেষ ও অগাস্টে ক্যাম্পেইন দলটি আবার একই পরীক্ষা চালায় এবং দেখতে পায়, অ্যাপটি একইভাবে যৌন কনটেন্ট সাজেস্ট করছে। টিকটক বলেছে, তাদের কাছে টিনএজারদের নিরাপদ রাখার জন্য ৫০টিরও বেশি ফিচার রয়েছে। “আমরা নিরাপদ ও বয়স উপযোগী অভিজ্ঞতা দেওয়ার ব্যাপারে পুরোপুরি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।” অ্যাপটির দাবি, টিকটকের নির্দেশিকা লঙ্ঘনকারী এমন প্রতি ১০টির মধ্যে ৯টি ভিডিওই দর্শকরা দেখার আগেই সরিয়ে ফেলে তারা। |
পূর্ববর্তী সংবাদ | পরবর্তী সংবাদ |