ই-পেপার সোমবার ১৪ নভেম্বর ২০২২
ই-পেপার |  সদস্য হোন |  পডকাস্ট |  গুগলী |  ডিসকাউন্ট শপ
শনিবার ১৭ মে ২০২৫ ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২
ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনা কমাতে যুক্তরাষ্ট্র কেন পদক্ষেপ নিচ্ছে না?
নতুন সময় ডেস্ক
প্রকাশ: Thursday, 8 May, 2025, 1:20 PM

ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনা কমাতে যুক্তরাষ্ট্র কেন পদক্ষেপ নিচ্ছে না?

ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনা কমাতে যুক্তরাষ্ট্র কেন পদক্ষেপ নিচ্ছে না?

কাশ্মীর ঘিরে ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে নতুন করে সংঘর্ষ শুরু হলেও এখন পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্র থেকে সক্রিয় কূটনৈতিক হস্তক্ষেপ দেখা যায়নি। অথচ আগে ওয়াশিংটনের দিক থেকে এমন পদক্ষেপ প্রায় নিশ্চিতভাবেই নেওয়া হতো। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নেতৃত্বাধীন বর্তমান প্রশাসনের বৈশ্বিক কূটনৈতিক আগ্রহের সীমাবদ্ধতা এবং ‘আমেরিকা প্রথম’ নীতির কারণে এই নিষ্ক্রিয়তা দেখা যাচ্ছে।

সম্প্রতি ভারতীয় পর্যটকদের ওপর এক সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় নয়াদিল্লি পাকিস্তান-সমর্থিত সন্ত্রাসীদের দায়ী করে। এর জবাবে ভারত পাকিস্তান-নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে এবং পাকিস্তানের অভ্যন্তরে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়। পাকিস্তান পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় পাঁচটি ভারতীয় যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করার দাবি করে। পরিস্থিতি দ্রুত উত্তপ্ত হয়ে উঠলেও ট্রাম্প প্রশাসনের প্রতিক্রিয়া ছিল অনেকটাই নিস্পৃহ।

ট্রাম্প প্রথমে ঘটনাটিকে ‘দুঃখজনক’ বলে মন্তব্য করেন এবং পরে জানান, তিনি উভয় পক্ষের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক রাখেন। এ অবস্থায় দেশ দুটিকে নিজেদের মধ্যে সমাধান খুঁজে নেওয়ার আহ্বান জানান মার্কিন প্রেসিডেন্ট।

ভারত-পাকিস্তান ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও কিছুটা সক্রিয় থাকলেও এখন পর্যন্ত বৃহত্তর আন্তর্জাতিক মধ্যস্থতা বা সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রণে কোনো উদ্যোগ স্পষ্ট নয়।

বিশ্লেষকদের মতে, ট্রাম্প প্রশাসনের কৌশলগত দৃষ্টিভঙ্গি মূলত একপাক্ষিক, যেখানে ঐতিহ্যবাহী জোট বা আন্তর্জাতিক সহযোগিতা কম গুরুত্বপূর্ণ। এছাড়া প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর প্রতি রাজনৈতিক সহানুভূতি এবং পাকিস্তানের সঙ্গে শীতল সম্পর্কও যুক্তরাষ্ট্রকে ভারসাম্যপূর্ণ মধ্যস্থতাকারী হওয়ার সম্ভাবনা থেকে দূরে রাখছে।

ইতিহাস বলছে, ১৯৯৯ সালের কারগিল যুদ্ধের সময় তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটনের সরাসরি হস্তক্ষেপ একটি সম্ভাব্য পারমাণবিক যুদ্ধ ঠেকাতে সাহায্য করেছিল। এমনকি ২০১৯ সালেও প্রথম ট্রাম্প প্রশাসনে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও ভারত-পাকিস্তান সংকটে হস্তক্ষেপ করেন। কিন্তু এবার দ্বিতীয় মেয়াদে ট্রাম্পের কূটনীতিতে সেই গভীরতা অনুপস্থিত।

বিশ্লেষক মিলান বৈষ্ণব মনে করেন, যুক্তরাষ্ট্রের কাছে এখন ভারত একটি গুরুত্বপূর্ণ কৌশলগত মিত্র, আর পাকিস্তানের গুরুত্ব অনেকটাই কমে গেছে। এছাড়া আফগানিস্তান থেকে মার্কিন বাহিনী প্রত্যাহারের পর ইসলামাবাদের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাবও কমে গেছে। দক্ষিণ এশীয় দেশটি এখন অনেক বেশি চীনমুখী।

এই শূন্যতার মধ্যে মধ্যপ্রাচ্যের কাতার কিছুটা উদ্যোগ দেখিয়েছে। দেশটি দুই পক্ষের সঙ্গে আলাদাভাবে ফোনে কথা বলেছে এবং সংকট নিরসনে আন্তর্জাতিক প্রচেষ্টার প্রতি সমর্থন জানিয়েছে।

বিশ্লেষকদের ধারণা, পরিস্থিতি যদি আরও খারাপ না হয়, তবে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনা প্রশমনে বড় কোনো কূটনৈতিক উদ্যোগের সম্ভাবনা খুবই ক্ষীণ।

� পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ �







  সর্বশেষ সংবাদ  
  সর্বাধিক পঠিত  
এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ
সম্পাদক : নাজমুল হক শ্যামল
দৈনিক নতুন সময়, গ্রীন ট্রেড পয়েন্ট, ৭ বীর উত্তম এ কে খন্দকার রোড, মহাখালী বা/এ, ঢাকা ১২১২।
ফোন: ৫৮৩১২৮৮৮, ০১৯৯৪ ৬৬৬০৮৯, ইমেইল: [email protected]
সম্পাদক মন্ডলীর সভাপতি: এমদাদ আহমেদ | প্রকাশক : প্রবাসী মাল্টিমিডিয়া কমিউনিকেশন লি.-এর পক্ষে কাজী তোফায়েল আহম্মদ | কপিরাইট © দৈনিক নতুন সময় সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত | Developed By: i2soft
DMCA.com Protection Status