১৮ বছর ধরে নির্যাতনের শিকার ডিবিপ্রধান রেজাউল করিম মল্লিক
বিপ্লব বিশ্বাস
|
বর্তমান গোয়েন্দা প্রধান (ডিবিপ্রধান) রেজাউল করিম মল্লিক বিএনপি ঘারানার বলে বিগত ১৮ বছরের চাকুরি জীবনে বৈষম্যের স্বীকার হয়েছেন। বঞ্চিত হয়েছেন পদোন্নতিসহ সরকারি বিভিন্ন সুযোগ- সুবিধা থেকে। পদে পদে হয়েছেন নির্যাতিত। বর্তমানে তাঁর বিরুদ্ধে প্রোপাগান্ডা চালিয়ে যাচ্ছে একটি কুচক্রি মহল। তাকে ফ্যাসিস্ট সরকারের দোসর হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে তৎপর রয়েছে তারা। জানা যায়, ডিবিপ্রধান মাদারিপুরের শিবচর উপজেলার রশীদ মল্লিকের ছেলে। তাঁর পিতা রশিদ মল্লিক উপজেলার বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি। বিএনপির রাজনীতির সাথে তাঁর পরিবারের সম্পৃক্ততা রয়েছে। ছাত্রজীবনে তিনি জাসাসের কেন্দ্রীয় কমিটির পদধারী নেতা ছিলেন। বিএনপির রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত থাকার কারণে বিগত সরকারের আমলে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার হোন তিনি, দীর্ঘ ১৮ বছরেও পদোন্নতি পাননি। প্রতিটি পদে পদে হয়েছেন নির্যাতিত ও বৈষম্যের স্বীকার। পড়েছিলেন এলাকাভিত্তিক রাজনৈতিক রোষানলে। ষড়যন্ত্র করা হয়েছিল পুলিশ থেকে অব্যাহতি দেয়ার । গত ৫ আগস্ট স্বৈরাচার সরকারের পতনের খবর শুনে স্বাধীনতা উদযাপনের উদ্দেশে ঢাকায় রওনা দেন। পথে স্থানীয় জনগণ তার গাড়ি চেক করলে তিনি নিজের পরিচয় দিয়ে উল্লাস করতে থাকেন, শুধুমাত্র পুলিশে চাকরি করার কারণে লোকজন কোন বক্তব্য না শুনেই তাঁর ওপর আক্রমণ করেন। প্রচণ্ড মারধরের শিকার হয়ে একপর্যায়ে জ্ঞান হারান রেজাউল করিম। স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। সুস্থ হয়ে চাকরিতে যোগদান করলে তাকে ডিবিতে পদায়ন করা হয়। আওয়ামীলীগের দোসরদের অধিকাংশই গ্রেপ্তার হয়েছিল তাঁর নেতৃত্ব দেয়া অভিযানে। ডিবি প্রধান রেজাউল করিম বলেন, গত ১৮ বছর ধরে নির্যাতিত। পদোন্নতিসহ সরকারের অনেক সুবিধা থেকে বঞ্চিত হয়েছি। বর্তমানে দেশের জনগণের সেবায় নিজেকে নিয়োজিত রাখতে চাই। প্রসঙ্গত, রেজাউল করিম মল্লিক ১৯৯৮ সালে ১৭তম বিসিএসে উত্তীর্ণ হয়ে বাংলাদেশ পুলিশে যোগদান করেন। ৫ আগস্ট স্বৈরাচার সরকার পতনের পর ডিআইজি আশরাফুজ্জামানকে ডিবিপ্রধান করা হয়েছিল। পরবর্তীতে আশরাফুজ্জামানকে অন্যত্র পদায়ন করা হলে রেজাউল করিম মল্লিককে ডিবিপ্রধান হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়।
|
� পূর্ববর্তী সংবাদ | পরবর্তী সংবাদ � |