সহিংসতার আশঙ্কা: যুক্তরাষ্ট্রে ১৯ রাজ্যে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার
নতুন সময় ডেস্ক
|
অন্য যেকোনো বারের চেয়ে এবার যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচন নিয়ে সহিংসতার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। ডেমোক্রেট প্রার্থী কমালা হ্যারিস এবং রিপাবলিকান ডনাল্ড ট্রাম্প সমানে সমান প্রতিদ্বন্দ্বিতা গড়ে তোলায় এই আশঙ্কা আরও তীব্র হয়েছে। সমাপনী ভাষণে ট্রাম্প স্পষ্ট জানিয়েছেন ভোট সুষ্ঠু হলে তিনি জয়ী হবেন। যদি তিনি হেরে যান, তাহলে তার অভিযোগ হবে নির্বাচনে হস্তক্ষেপ করা হয়েছে বা অন্য কোনো অভিযোগও তিনি করতে পারেন। এমন হলে ২০২১ সালের ৬ই জানুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের ক্যাপিটল হিলে যে দাঙ্গা করেছিল তার সমর্থকরা, তেমনটা হওয়ার আশঙ্কা করছেন অনেকেই। তবে তিনি জিতে গেলে কি হবে তা ঠাহর করা যাচ্ছে না। এমন অবস্থায় নেভাদা, অরিগন, ওয়াশিংটন এবং অন্য রাজ্যগুলোতে সক্রিয় করা হয়েছে ন্যাশনাল গার্ডদের। অ্যারিজোনার ফিনিক্স শহরে যেখানে ভোট গণনা করা হবে সেখানে ধাতব বেড়া বসানো হয়েছে। বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর দিয়ে বলছে, নেভাদার লাস ভেগাসে একটি ভোট গণনা কেন্দ্রেও নিরাপত্তা বেষ্টনি বসানো হয়েছে। অ্যারিজোনার শেরিফ তার বিভাগকে উচ্চ সতর্ক অবস্থায় রেখেছেন। যদি বড় কোনো সহিংসতা দেখা দেয় তাহলে ড্রোন এবং স্নাইপারকে প্রস্তুত রেখেছেন। শান্তি বজায় রাখতে সহায়তা করতে কমপক্ষে ১৯টি রাজ্যে সক্রিয় করা হয়েছে ন্যাশনাল গার্ড। নির্বাচনের দিন এবং এর পরের দিনগুলোতে রাজনৈতিক সহিংসতা ঘটতে পারে এমন আশঙ্কা থেকে এই ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। সবচেয়ে বেশি দৃষ্টি থাকবে ব্যাটলগ্রাউন্ড বা সুইং স্টেটগুলোর দিকে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য রাজ্য হলো নেভাদা। ২০২০ সালের নির্বাচনের পর সেখানে প্রতিবাদ বিক্ষোভ করেছিলেন ট্রাম্প সমর্থকরা। তাদের কাউকে কাউকে সশস্ত্র অবস্থায় দেখা গেছে। সেখানে বেশ কিছু ভোট গণনা সেন্টারের চারপাশে নিরাপত্তা বেষ্টনী দেয়া হয়েছে। সোমবার প্রতিরক্ষা বিষয়ক একজন কর্মকর্তা বলেছেন- আলাবামা, অ্যারিজোনা, দেলাওয়ার, আইওয়া, ইলিনয়,নর্থ ক্যারোলাইনা,, নিউ মেক্সিকো, অরিগন, উইসকনসিন এবং ওয়াশিংটনে মোতায়েন আছে ন্যাশনাল গার্ড। অন্যদিকে ওয়াশিংটন ডিসি, কলোরাডো, ফ্লোরিডা, হাওয়াই, নেভাদা, অরিগন, পেনসিলভ্যানিয়া, টেনেসি, টেক্সাস ও ওয়েস্ট ভার্জিনিয়াতে সেনাদের রাখা হয়েছে প্রস্তুত। অ্যারিজোনায় ফিনিক্সের ম্যারিকোপা কাউন্টিতে ভোট গণনা সেন্টারেও একইভাবে ধাতব বেড়া নির্মাণ করা হয়েছে। ২০২০ সালে এখানে ভোট জালিয়াতির অভিযোগ করা হয়েছিল। নির্বাচনী কর্মকর্তাদের হুমকি দিয়েছিল রিপাবলিকান সমর্থকরা। এই কাউন্টির শেরিফ রাস স্কিনার বলেছেন, তার বিভাগ হুমকি ও সহিংসতার বিষয়ে উচ্চ সতর্ক আছে। স্টাফদের ডিউটির জন্য প্রস্তুত থাকার নির্দেশনা দিয়েছেন। তিনি বলেন, পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য আমাদের যথেষ্ট রিসোর্স আছে। আমাদের প্রচুর স্টাফ আছে। প্রচুর সরঞ্জাম আছে। এক্ষেত্রে প্রয়োজনে তিনি ড্রোন এবং স্নাইপার ব্যবহার করা হবে বলে জানান। এ ছাড়াও ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি মোকাবিলায়। তিনি বলেন, কয়েকদিনে ব্যাপক রাজনৈতিক মেরুকরণ হয়েছে। এ জন্য নির্বাচনের পরে উচ্চ সতর্ক অবস্থায় থাকবে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা। এক্ষেত্রে যেকোনো অপরাধী কর্মকাণ্ডের বিষয়ে তারা জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করবেন। |
� পূর্ববর্তী সংবাদ | পরবর্তী সংবাদ � |