প্রভাতী ইন্স্যুরেন্সের ‘AAA’ এবং শাখাওয়াত হোসেন মামুন
নতুন সময় প্রতিবেদক
|
দেশের বীমা শিল্পের বিকাশ ও অর্থনৈতিক উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে ইতিবাচক অবদান রেখে চলছেন প্রভাতী ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিঃ। ৯০-এর দশকে এই প্রতিষ্ঠানটির যাত্রা শুরু হয় বাংলাদেশের খ্যাতিমান শিল্পউদ্যোক্তা, দানবীর, প্রয়াত মোকছোদ আলীর উদ্যোগে। শিল্পপতি মোকছোদ আলীর মৃত্যুর পর প্রতিষ্ঠানটির হাল ধরেন ভাইয়া গ্রুপের অন্যতম পরিচালক জনাব শাখাওয়াত হোসেন মামুন। অস্ট্রেলিয়া থেকে উচ্চশিক্ষা গ্রহণের শেষে তিনি দেশে এসে প্রথমে আইটি ব্যবসায় হাত দেন। অতঃপর পরিবারের সদস্যদের চাপের মুখে প্রভাতে ইন্স্যুরেন্সের কর্মকাণ্ডও পর্যবেক্ষণ শুরু করেন। নিজের মেধা ও দক্ষতায় তিনি ধীরে ধীরে ন্যুয়ে পড়া এই প্রতিষ্ঠানটি ইতিবাচক ধারায় নিয়ে আসেন। গ্রাহক সেবা, প্রশাসনিক গতিশীলতা তিনি নিজেই তদারকি শুরু করে অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে। শিক্ষাগত যোগ্যতা থাকলেও বয়সজনিত কারণে তিনি এমডি পদে অধিষ্ঠিত হননি। শাখাওয়াত হোসেন মামুনের যথাযথ গাইডলাইনের কারণে প্রভাতী ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিঃ বর্তমান সময়ে জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে ইতিবাচক স্বীকৃতিপ্রাপ্ত একটি বীমা সংস্থা। দেশ-বিদেশের সুনামের অধিকারী এর প্রতিষ্ঠানটি ২০২৪ সালসহ টানা তৃতীয়বার নন লাইফ ইন্স্যুরেন্স এ সর্বোচ্চ রেটিং ‘অঅঅ’ অর্জন করেছে। উল্লেখ্য, শাখাওয়াত হোসেন মামুনের জন্ম কুমিল্লা জেলা লাকসাম উপজেলার ডুরিয়া বিঘতপুর গ্রামে। গ্রুপের একসময়ের সাড়া জাগানো ব্র্যান্ড ‘মামুন বিড়ি’ তার নামকরণের মাধ্যমে দেশব্যাপী বহুল পরিচিত। যা ভাইয়া গ্রুপকে পরবর্তীতে সাফল্যের উচ্চতম শিখরে পৌঁছে দেয়। নাবিস্কো বিস্কুট, ঢাকা ম্যাচ, দাদা ম্যাচ, ক্রিসেন্ট সোপ ইন্ডাস্ট্রিজ, রুপালি বিড়ি, সাত্তার ম্যাচ, ভাইয়া হাউজিং, মধুমতি হাউজিংসহ অসংখ্য শিল্প প্রতিষ্ঠান আত্মপ্রকাশ। শাখাওয়াত হোসেন মামুন একজন তরুণ শিল্পউদ্যোক্তা হিসেবে ইতোমধ্যে আন্তর্জাতিকভাবে প্রশংসনীয় অবদান রেখেছেন। জুনিয়র চেম্বার ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি হিসেবে তিনি দায়িত্ব পালন করেছেন দীর্ঘদিন। বাংলাদেশ-নেদারল্যান্ড চেম্বারে অব ইন্ডাস্ট্রিজেরও তিনি একজন সফল সংগঠক। এর মাধ্যমে আমাদের তরুণ ও যুব সম্প্রদায়কে আন্তর্জাতিক ও সুযোগ উপযোগী ব্যবসা-শিল্পোর প্রসারে সেতু বন্ধন উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখেন। ইতোমধ্যে নিজের যোগ্যতা, দক্ষতা ও তারুণ্য শক্তিকে কাজে লাগিয়ে তিনি গড়ে তুলেন প্যাসিফিক কনজুমার প্রোডাক্ট নামে অত্যাধুনিক প্রতিষ্ঠান। এই প্রতিষ্ঠানের উৎপাদিত পণ্য গুণগত মান দেশের গণ্ডি পেরিয়ে বিদেশে যথেষ্ট ক্রেতা সমদৃত হয়েছে। কুমিল্লা ইপিজেড ও যশোরে ‘আরএমজি’ শিল্প সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের কর্মকাণ্ড বহুলভাবে আলোচিত। |
� পূর্ববর্তী সংবাদ | পরবর্তী সংবাদ � |