চেয়ারম্যান মকবুল মৃধা ও আলমগীরকে অন্য মামলায় গ্রেপ্তার দেখালো পুলিশ
নতুন সময় প্রতিনিধি
|
রাজশাহীর বাগমারার চেয়ারম্যান মকবুল হোসেন ও আলমগীর সরকার কে পুলিশ পৃথক মামলায় আবারো গ্রেফতার করেছে। চেয়ারম্যান মকবুল হোসেন ও আলমগীর সরকার বাগমারা থানায় দায়েরকৃত মামলায় গত বুধবার জমিন পেলেও গত বৃহস্পতিবার পুলিশ মোহনপুর থানা পোড়ানো মালায় তাদের গ্রেফতার করে জেলহাজতে পাঠিয়েছে। বাগমারা থানা পুলিশ গত ২২ সেপ্টেম্বর রাতে চেয়ারম্যান মকবুল হোসেনকে শ্রীপুর ইউনিয়নের জামতলা বাজার থেকে অভিযান চালিয়ে পুলিশ গ্রেফতার করে। গত ৫ আগস্ট বাগমারা আসনের সাবেক এমপি আবুল কালাম আজাদের নেতৃত্বে বাগমারার ভবানীগঞ্জ সহ আশপাশের এলাকায় সন্ত্রাসী কর্মকান্ড পরিচালনা করেন। এ সময় বেশ কিছু লোকজনকে গুলি করে আহত করে। সেই সাথে অসংখ্য লোকজনকে পিটিয়ে আহত করাও হয়। ঘটনার পর থেকেই গা ঢাকা দেয় মকবুল হোসেন। এছাড়াও বাগমারার খয়রার বিলে জেলে হত্যাসহ একাধিক মামলার আসামী শ্রীপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মকবুল হোসেন। দীর্ঘদিন চেয়ারম্যান থাকায় এলাকায় সন্ত্রাসী বাহিনী গড়ে তোলেন। সন্ত্রাসী সেই বাহিনীর মাধ্যমেই পুরো ইউনিয়ন নিয়ন্ত্রণে রাখেন তিনি। অন্যদিকে গত ৩ সেপ্টেম্বর রাতে চেয়ারম্যান আলমগীরকে গ্রেফতার করে জেল হাজতে পাঠায় বাগমার থানা পুলিশ। বাগমারায় ছাত্র-জনতার কোঠা আন্দোলনে যাওয়ার পথে শিমুল আলী খাঁ নামে এক ব্যবসায়ীকে গুলি করে ও কুপিয়ে হত্যার চেষ্টার মামলায় চেয়ারম্যান আলমগীর সরকারকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশ নিজ বাসভবন থেকে তাকে গ্রেফগার করে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠায়। গোয়ালকান্দি ইউনিয়নের রামরামা গ্রামের খোরশেদ আলীর ছেলে ব্যবসায়ী শিমুল আলী খাঁ গত ৫ আগস্ট সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে ছাত্র-জনতার কোঠা আন্দোলনে যোগ দিতে যাওয়ার সময় ভবানীগঞ্জ কারিগরি কলেজের সামনে বাগমারার সাবেক এমপি ও তাহেরপুর পৌর আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ, বাগমারা উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও জেলা আ.লীগের সহ-সভাপতি জাকিরুল ইসলাম সান্টু, গোয়ালকান্দি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলমগীর সরকারসহ আওয়ামী লীগের ১৫০-২০০ জন নেতা-কর্মী হাতে হাসুয়া, লাঠি, লোহার রড, রামদা, চাইনিজ কুড়াল, হকিস্টিক, পিস্তল ও ককটেলসহ বিভিন্ন অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে ব্যবসায়ী শিমুল আলীর ওপর হামলা চালায়। এই ঘটনায় গোয়ালকান্দি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলমগীর সরকারসহ ৪৮ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত আরও ১৫০-২০০ জনের বিরুদ্ধে ওই ব্যবসায়ী নিজেই বাদি হয়ে থানায় মামলা করেন। এই মালায় চেয়ারম্যান আলমগীর সরকার জামিন পেলেও পরে তাকে জেলার মোহনপুর থানা পোড়ানো পৃথক মামলায় গ্রেফার করে জেলহ হাজতে পাঠানো হয়।
|
� পূর্ববর্তী সংবাদ | পরবর্তী সংবাদ � |