ই-পেপার সোমবার ১৪ নভেম্বর ২০২২
ই-পেপার |  সদস্য হোন |  পডকাস্ট |  গুগলী |  ডিসকাউন্ট শপ
শুক্রবার ২৯ নভেম্বর ২০২৪ ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
গাজীপুরে ঝুট ব্যাবসা নিয়ন্ত্রণে বিএনপির দুই গ্রুপে সংঘর্ষ, আহত-৩
নতুন সময় প্রতিবেদক
প্রকাশ: Sunday, 1 September, 2024, 8:46 PM
সর্বশেষ আপডেট: Sunday, 1 September, 2024, 9:40 PM

গাজীপুরে ঝুট ব্যাবসা নিয়ন্ত্রণে বিএনপির দুই গ্রুপে সংঘর্ষ, আহত-৩

গাজীপুরে ঝুট ব্যাবসা নিয়ন্ত্রণে বিএনপির দুই গ্রুপে সংঘর্ষ, আহত-৩

গাজীপুর মহানগরীর গাছা থানার ৩৪ নং ওয়ার্ডের ডেগেরচালা ছয়দানা রোড এলাকার শেপাল গার্মেন্টসের জুট ব্যাবসা নিয়ন্ত্রণে প্রতিপক্ষের হামলায় আব্দুল্লাহ নামে গাছা থানা যুবদলের সহ-সভাপতি গুরুতর আহত হবার খবর পাওয়া গেছে। এতে অপর পক্ষের আরও দু'জন (কলন্তর, বাবু দাস) আহতের খবর পাওয়া গেছে।

শনিবার (৩১আগস্ট) সকাল সারে ১০টায় এ ঘটনা ঘটে। জানা যায় আওয়ামীলীগ সরকার ক্ষমতায় থাকাকালীন সময়ে স্থানীয় ওই পোষাক কারখানা (শেপাল গ্রুপ) এর ঝুট ব্যাবসা নিয়ন্ত্রণ করে আসছিলো স্থানীয় আ'লীগের নেতৃবৃন্দরা। গত ৫আগস্ট ছাত্রজনতার গণঅভ্যুত্থানে আ'লীগ সরকার ক্ষমতাচ্যুত হয়ে দেশ ছাড়ার পর বিএনপির নেতাকর্মীরা স্থানীয় পোষাক ব্যাবসায়ীদের নিরাপত্তা ও ঝুট ব্যাবসা আয়ত্বে নিতে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন।

এর ধারাবাহিকতায় শনিবার সকালে স্থানীয়  বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দদের ৬সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল উল্লেখিত পোষাক কারখানার প্রশাসনিক কর্তৃপক্ষের সাথে সৌজন্য সাক্ষাতে যান। খবর পেয়ে বিএনপির অপর একাংশের নিয়ন্ত্রণে থাকা গাছা থানা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাজী আ. জব্বার সরকারের নেতৃত্বে প্রতিপক্ষের উপর হামলা চালালে এতে গুরুতর আহত হয় আব্দুল্লাহ। 

পরে তাকে শহীদ তাজউদ্দীন আহমেদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্যে পাঠানো হয়। অবস্থার অবনতি হলে সেখান থেকে তাকে উত্তরার একটি বেসরকারি হাসপাতালে নেয়া হয়, সেখান থেকেও স্থানান্তর করা হলে বর্তমানে ডামেকে চিকিৎসাধীন রয়েছেন আব্দুল্লাহ।

ভূক্তভূগীর সাথে থাকা সংশ্লীষ্ট নেতৃবৃন্দরা জানান আমরা স্থানীয় প্রতিবেশি হিসেবে কারখানা কর্তৃপক্ষের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করে কথা বলার জন্যে গীয়েছিলাম, তারা আমাদের মধ্য থেকে দু'জনকে কারখানার ভেতর প্রবেশের অনুমতি দিলে প্রবেশ দারের কাছে পূর্বে থেকে থাকা প্রতিপক্ষের লোকজনের অস্রাঘাতে গুরুতর আহত হয় আব্দুল্লাহ। বর্তমানে সে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে (ঢামেকে) চিকিৎসারত। এর আগে এসব বিষয়ে গাছা থানা বিএনপির নেতৃবৃন্দরা উভয় পক্ষকে শান্ত থাকারও নির্দেশনার কথা জানা গেছে।

ঘটনার পরপর দেশীয় অস্ত্রের মহড়া সম্পর্কে জানতে চাইলে মহানগর বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি হাজী সামাদ ও ৩৪নং ওয়ার্ড বিএনপির সহ-সভাপতি রশিদ মণ্ডল জানান আমরা নেতৃস্থানীয় কর্তৃপক্ষের নির্দেশে কারখানা কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলতে যাই। সেখানে আমাদের উপর অতর্কিত হামলা চালিয়ে আব্দুল্লাহকে গুরুতর আহত করা হয়। এ ঘটনার পরে আমাদের আটকে রাখা হলে আমাদের উদ্ধারে এগীয়ে আসেন স্থানীয়রা। স্থানীয়দের সাথে মিলে প্রতিপক্ষরা দেশিয় অস্ত্রের মহড়া দেয়ার দাবী করেন সাবেক বিএনপির এই দুই নেতা।

তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক গাছা থানা বিএনপির অপর এক নেতা জানান মালামাল সংগ্রহের অনুমোদন পেয়েছেন মেসার্স রকি এন্টার প্রাইজ এর পক্ষে কামাল উদ্দিন ও আব্দুল জব্বার। যা সিপাল গ্রুপ কর্তৃপক্ষের একটি ভাউচার প্রতিবেদকের নিকট সংরক্ষিত। তিনি বলেন মালামাল সংগ্রহকালীন প্রতিপক্ষ হাজী সামাদ ও তার ছেলে জহিরের নেতৃত্বে একটি দল দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়। এতে জব্বার বেঁচে গেলেও, আহত হয় কলন্তার ও বাবুদাস। এসময় হাতাহাতির এক পর্যায়ে প্রতিপক্ষের একজন আব্দুল্লাহ শিঁড়িতে পড়ে আহত হয়।

এ বিষয়ে প্রতিপক্ষের (হাজী সামাদ ও তার ছেলে জহির গ্রুপ) আঘাঁতে গুরুতর আহত কলন্তর বলেন কারখানা কর্তৃপক্ষের অনুমতি সাপেক্ষে মালামাল সংগ্রহকালীন অপর প্রতিপক্ষের লোকজন আমাকে মারধর করে গুরুতর আহত করেন। পরে আমি শহীদ তাজউদ্দীন আহমেদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা গ্রহণ করি। এছারাও এ ঘটনায় আহত হয় আমাদের আরেক জন বাবু দাস। 

এ বিষয়ে মুঠোফোনে জহির বলেন আব্দুল্লাহকে মাথায় কুপিয়েছে শুনেছি। সে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এ বিষয়ে রশিদ মণ্ডল বলতে পারবে। রশিদ মণ্ডল জানান আমরা ৬জন কারখানায় গীয়েছিলাম শুনে প্রতিপক্ষরা হামলা করে আব্দুল্লাহকে গুরুতর আহত করেছে।


এ বিষয়ে মুঠোফোনে গাছা থানা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জব্বার সরকার বলেন কারখানা কর্তৃপক্ষ মালামাল (ঝুট) আমাদের দিয়েছে ভাউচার করে, মালামাল বাহির করার সময় আ'লীগ ও গাজীপুরের সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীরের লোকজন হামলা চালিয়ে আমাদের বিএনপির নেতাকর্মীদের গুরুতর আহত করেন। 

তবে কারখানা কর্তৃপক্ষ জানায় ৫আগস্টের পূূর্বে এ ব্যাবসাটি আ'লীগের নিয়ন্ত্রণে ছিলো। পরে কামাল ও জব্বারকে আলোচনা সাপেক্ষে গেটপাস দেয়া হয়। এ নিয়ে তাদের মধ্যে দিধাদ্বন্দে মারামারির ঘটনা ঘটেছে তবে তা কারখানার বাহিরে বিধায় আমরা এ বিষয়ে জানিনা।

এ ঘটনায় গাছা মেট্রো থানায় উভয় পক্ষ অভিযোগ দেয়ার কথা রয়েছে। এ বিষয়ে জানতে গাছা মেট্রো থানা পুলিশের অফিসার ইন-চার্জ (ওসি) জিয়াউল ইসলামের সরকারি মুঠোফোন নাম্বারে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি কল রিসিভড করেননি।

� পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ �







  সর্বশেষ সংবাদ  
  সর্বাধিক পঠিত  
এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ
সম্পাদক ও প্রকাশক: নাজমুল হক শ্যামল
দৈনিক নতুন সময়, গ্রীন ট্রেড পয়েন্ট, ৭ বীর উত্তম এ কে খন্দকার রোড, মহাখালী বা/এ, ঢাকা ১২১২।
ফোন: ৫৮৩১২৮৮৮, ০১৯৯৪ ৬৬৬০৮৯, ইমেইল: [email protected]
কপিরাইট © দৈনিক নতুন সময় সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত | Developed By: i2soft
DMCA.com Protection Status