ইউনিলিভারের এক্সক্লুসিভ পার্টনার হলো প্রিয়শপ
নতুন সময় ডেস্ক
|
বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় বি-টু-বি মার্কেটপ্লেস এবং স্মার্ট ডিস্ট্রিবিউশন প্ল্যাটফর্ম প্রিয়শপের সাথে ব্রিটিশ বহুজাতিক ভোগ্যপণ্য প্রতিষ্ঠান ইউনিলিভারের এক্সক্লুসিভ পার্টনারশিপ হয়েছে। এখন থেকে গাজীপুর জেলার কালিয়াকৈরে ইউনিলিভার তাদের সকল পণ্য প্রিয়শপের নিজস্ব লজিস্টিকের মাধ্যমে ডেলিভারি করবে। এর মাধ্যমে প্রিয়শপ যেমন তার ব্যবসায়িক পরিধি বৃদ্ধি করছে সেই সাথে ইউনিলিভারের মত ব্র্যান্ডগুলোকে তাদের ব্যবসায়িক পরিধি বৃদ্ধিতে সাহায্য করছে প্রতিষ্ঠানটি। গ্লোবাল এফএমসিজি জায়ান্ট ইউনিলিভার এর ২২টি ব্র্যান্ডের পণ্য বাংলাদেশে পাওয়া যায়। ইউনিলিভার বাংলাদশে স্থানীয় উৎপাদন বৃদ্ধি, সম্পর্ক জোরদার করা এবং অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। প্রিয়শপ তাদের গ্রাহকদের ক্রমবর্ধমান চাহিদার কথা চিন্তা করে এখন পর্যন্ত ইউনিলিভার, স্কয়ার, ম্যারিকো, আজিনোমোতো, পুষ্টি, রূপচাঁদা, নিউজিল্যান্ড ডেইরি, পেপসিকো এবং কোকাকোলা'সহ ২৪০টিরও বেশি ব্র্যান্ডের সাথে কাজ করছে। প্রিয়শপের সিইও এবং প্রতিষ্ঠাতা আশিকুল আলম খাঁন বলেন, "প্রতিষ্ঠার শুরু থেকেই প্রিয়শপ ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের ব্যবসায়ের মান উন্নয়ন করে যাচ্ছে এবং তাদের চাহিদা পূরণে ২৪০টিরও বেশি ব্র্যান্ডের সাথে কাজ করে যাচ্ছে। দীর্ঘসময় কাজ করার সুবাদে প্রিয়শপ লক্ষ করে দেশের বাজারে দেশী-বিদেশী ব্র্যান্ডগুলো সবচেয়ে বেশি তাদের সাপ্লাই চেইন সমস্যায় ভুগছে এবং দেশের সব জায়গায় তাদের সেবা পৌঁছে দিতে হিমশিম খাচ্ছে। এতে করে দেশের কনজিউমাররা তাদের কাঙ্ক্ষিত পণ্য পাচ্ছে না। যার ফলে ব্র্যান্ডগুলো যেমন তাদের কাস্টমার হারাচ্ছে সেই সাথে তারা দেশীয় বাজারও হারাচ্ছে। যা দেশীয় ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের জন্য ক্ষতিকর। এই সমস্যা সমাধানে প্রিয়শপ শুরু করেছে দেশব্যাপী ডিস্ট্রিবিউশন, যার মাধ্যমে প্রত্যেকটি ব্র্যান্ড দেশের প্রত্যেকটি অঞ্চলে তাদের সেবা পৌঁছে দিতে পারবে।" তিনি আরও বলেন, "ইউনিলিভারের সাথে এই অংশীদারিত্ব দেশব্যাপী এমএসএমই এর ক্ষমতায়ন করে আমাদের লক্ষ্যকে আরও শক্তিশালী করবে। এর ফলে ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তারা প্রয়োজনীয় সহায়তার মাধ্যমে উন্নতি লাভ করবে।" প্রিয়শপ ২০২৪ সালে ৫১টি নতুন শহরে ব্যবসায় প্রসারিত করার পাশাপাশি ১ লাখ ক্ষুদ্র মার্চেন্টকে তাদের প্ল্যাটফর্মে যুক্ত করার পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছে। প্রতিষ্ঠানটির সাফল্য নির্ভর করবে এমএসএমই এর জন্য টেকসই ইকোসিস্টেম তৈরি করে তাদের সরবরাহ, অর্থায়ন, অপারেশন ম্যানেজমেন্ট এবং সেলস সাপোর্টের চাহিদা পূরণ করার উপর। |
� পূর্ববর্তী সংবাদ | পরবর্তী সংবাদ � |