ই-পেপার সোমবার ১৪ নভেম্বর ২০২২
ই-পেপার |  সদস্য হোন |  পডকাস্ট |  গুগলী |  ডিসকাউন্ট শপ
শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪ ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
দশ দিনে ৬ জনের কান কেটেছে তারা
বিপ্লব বিশ্বাস
প্রকাশ: Monday, 13 May, 2024, 7:45 PM
সর্বশেষ আপডেট: Monday, 13 May, 2024, 7:50 PM

দশ দিনে ৬ জনের কান কেটেছে তারা

দশ দিনে ৬ জনের কান কেটেছে তারা

এতোদিন এলাকাভিত্তিক ‘কিশোর গ্যাং ’আতঙ্কে ভুগছিলো সারাদেশ। এই রেশ কাটতে না কাটতেই নুতন আতঙ্ক হিসেবে আর্ভিবা হলো ’কানকাটা গ্রুপ’। যারা কথায় কথায় মানুষের কান কেটে দেয়। আর এই গ্রুপ এখোন রাজধানীর পল্লবী এলাকায় আতঙ্ক ছড়ালেও- দেশের অন্য কোথাও এখ ন পর্যন্ত এদের কার্যক্রমের তথ্য পাওয়া যায়নি। পুলিশ বলছে, জমি দখল, মাদক ব্যবসা, দোকানপাট লুটসহ নানা অপরাধ জড়িত এই গ্রুপটি। ‘কানকাটা গ্রুপটি’ চালায় পল্লবী এলাকার একাধিক মামলার আসামি ডাসা শরিফ ও তুহিন মিয়া। আর তাদের নেতৃত্ব দেয় শহিদুল ও পিন্টু। এরই মধ্যে তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) মিরপুর বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) জসীম উদ্দিন বলেছেন, ‘দুই প¶ জমি নিয়ে বিরোধ সৃষ্টি হলে একটা প¶ে এই গ্রুপটি ভাড়ায় যায়। তখন জমি নিয়ে ঝামেলার সৃষ্টি হলে প্রতিপ¶ের সদস্যদের কান কেটে দিয়ে একটা ভীতির সৃষ্টি করে।’

জানা গেছে, গত ২ মে রাতে পল্লবীর বাউনিয়াবাদে বাসার সামনে বসেছিলেন রমজান আলী রিপন। হঠাৎ করেই কানকাটা গ্রুপের কয়েকজন মিলে তাকে মারধর করতে থাকে। এ সময় ওই গ্রুপের একজন হাতে থাকা ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোনো কারণ ছাড়া তার কান কেটে দেয়। এ কথা জানিয়ে ব্যবসায়ী রাফি আরো জানান, আমিও এই গ্রুপের নির্যাতনের শিকার।

স্থানীয়রা জানান, গত তিন মাসে অন্তত ৬টি কানকাটার ঘটনা পল্লবী থানা এলাকায় ঘটেছে। ‘কানকাটা গ্রুপ’ থেকে বের হয়ে আসা একজন জানান, জমি দখল, দোকান লুটপাট করাই তাদের কাজ। নাম-পরিচয় প্রকাশ না করার শর্তে কানকাটা গ্রুপের অপর আরো এক সদস্য বলেন, ‘এই গ্রুপে অনেকেই আছে। জায়গা-জমি দখল, ইয়াবা ব্যবসা, দোকান লুটপাট, ছিনতাই করাই এই গ্রুপের কাজ। এই গ্রুপের সদস্যরা প্রত্যেকের কাছে দাড়ালো অস্ত্র থাকে যা দিয়ে জমি দখল করতে গিয়ে মানুষ কুপিয়ে জখম করে।

অনুসন্ধানে জানা যায়, পল্লবীতে এই কানকাটা গ্রুপের নেতৃত্ব দেন শরিফ ওরফে ডাসা শরিফ ও তুহিন মিয়া। তারা পল্লবীর আলোচিত শাহিন উদ্দিন হত্যা মামলার আসামি। এই গ্রুপে রয়েছে আরও ১৩ সদস্য। আর মদদদাতা শহিদুল ও পিন্টু। এদের সবার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে।

এ বিষয়ে শহিদুলের বাবার দাবি, তার ছেলে নির্দোষ। শহিদুলের বাবা বলেন, ‘আমার ছেলের বিরুদ্ধে একের পর এক মামলা দিয়ে যাচ্ছে। সব মিথ্যা মামলা। রোজার মধ্যেই দুই-তিনটা মামলা দিছে আমার ছেলের নামে।’

পুলিশ বলছে, এলাকায় আতঙ্ক সৃষ্টি করতে কান কেটে দেয় গ্রুপটি। এরই মধ্যে ডাসা শরিফ, হানিফ ও সামির নামের তিন জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। বিচ্ছিন্নভাবে অপরাধ করা আসামিরা কয়েক মাস আগে এই কানকাটা গ্রুপ গড়ে তুলেছে।

� পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ �







  সর্বশেষ সংবাদ  
  সর্বাধিক পঠিত  
এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ
সম্পাদক ও প্রকাশক: নাজমুল হক শ্যামল
দৈনিক নতুন সময়, গ্রীন ট্রেড পয়েন্ট, ৭ বীর উত্তম এ কে খন্দকার রোড, মহাখালী বা/এ, ঢাকা ১২১২।
ফোন: ৫৮৩১২৮৮৮, ০১৯৯৪ ৬৬৬০৮৯, ইমেইল: [email protected]
কপিরাইট © দৈনিক নতুন সময় সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত | Developed By: i2soft
DMCA.com Protection Status