এই সময়ে কোথায় ঘুরে বেড়াবেন
নতুন সময় ডেস্ক
|
যান্ত্রিক শহরের কোলাহল থেকে বেরিয়ে একটু ঘুরে আসার প্রবল ইচ্ছে কম-বেশি সবার মনেই থাকে। কিন্তু ব্যস্ততার জন্য মেলে না অবসর। তাই ছুটি তাদের জন্য নিয়ে আসে প্রশান্তি। এখনও কি এই ছুটিতে বেড়ানোর পরিকল্পনা করেননি? অতিরিক্ত ভিড়ের পর্যটন গন্তব্য এড়িয়ে চলতে চাইলে লেখাটা আপনার জন্য- পার্বত্য চট্টগ্রামের এই জেলা যেন প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের অন্যতম লীলাভূমি। ঈদের ছুটিতেই যেহেতু ঐতিহ্যবাহী বৈসাবি উৎসব, সেহেতু দারুণ এক পরিকল্পনা হতে পারে। এছাড়া জেলার সাজেক ভ্যালি পর্যটকদের কাছে খুবই আকর্ষণীয় স্থান। পাহাড়ের উপর তুলার মতো মেঘ রাশি উপভোগ করতে যেতে হবে সাজেক ভ্যালিতে। এ জেলার কাপ্তাই লেক আরেকটি দর্শনীয় স্থান। ঝুলন্ত ব্রিজ অথবা তবলছড়ি ঘাট থেকে বোট ভাড়া করে কাপ্তাই লেক, শুভলং ঝরনা, বিজিবি ক্যাম্প, জুম রেস্তোরাঁ, চা-বাগান এগুলোও ঘুরে দেখতে পারেন। ছয় হাজার বর্গকিলোমিটারেরও বেশি জায়গাজুড়ে ঘুরে পেতে পারেন ভিন্ন ভিন্ন স্বাদ। দেশের দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলের বিশাল উপকূলীয় এলাকা জুড়ে সুন্দরবনের অবস্থান। তবে ঘুরতে যাওয়ার জন্য খুলনা অংশে যাওয়াই ভালো। সেখানে সম্প্রতি বেশ কয়েকটি দারুণ রিসোর্টও গড়ে উঠেছে। তাছাড়া ট্যুরিস্ট জাহাজ তো রয়েছেই। পদ্মা সেতুর কারণে এখন রয়েল বেঙ্গল টাইগারের জন্য বিখ্যাত সুন্দরবনে যেতে খুব বেশি সময়েরও প্রয়োজন হয় না। প্রকৃতির নির্মল রসায়নের এক অপরূপ আনন্দধারার দেখা পাবেন যদি আপনি হাওর ভ্রমণে যান। এই সময়ে কখনো খানিক রোদ, আবার বর্ষণ— এ যেন চলতে থাকে কাব্যিক ছন্দে। টাঙ্গুয়ার হাওর প্রকৃতির অকৃপণ দানে সমৃদ্ধ। এ হাওর শুধু একটি জলমহাল বা মাছ প্রতিপালন, সংরক্ষণ ও আহরণেরই স্থান নয়, এটি মাদার ফিশারীও বটে। হিজল করচের দৃষ্টিনন্দন সারি এ হাওরকে করেছে মোহনীয়। সুনামগঞ্জ বাসস্ট্যান্ড থেকে সাহেববাজার ঘাট পর্যন্ত রিকশায়। হাওরে পানি বেশি থাকলে শহরের সাহেব বাড়ি নৌকাঘাট থেকে ইঞ্জিন বোট বা স্পিড বোট যোগে সরাসরি টাঙ্গুয়া যাওয়া যায়। মহেরা জমিদার বাড়ি যারা পাহাড় ভালোবাসেন এই বর্ষায় তারা ঘুরে আসতে পারেন নীলাচল থেকে। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ১ হাজার ৬শ’ ফুট উঁচু এ পর্যটন কেন্দ্র। এ জায়গা থেকে মেঘ ছোঁয়া যায়। এ পর্যটন কেন্দ্রে পর্যটকদের থাকার জন্য রিসোর্টও আছে। বান্দরবান শহর ছেড়ে চট্টগ্রামের পথে প্রায় তিন কিলোমিটার চলার পরেই হাতের বাঁ দিকে ছোট একটি সড়ক এঁকেবেঁকে চলে গেছে নীলাচলে। এ পথে প্রায় তিন কিলোমিটার পাহাড় বেয়ে তাই পৌঁছাতে হয়। মাঝে পথের দুই পাশে ছোট একটি পাড়ায় দেখা যাবে ক্ষুদ্র নৃ গোষ্ঠীর মানুষের বসবাসও। |
� পূর্ববর্তী সংবাদ | পরবর্তী সংবাদ � |