৯ বছর পর জামায়াতে ইসলামীর ইফতার পার্টিতে যোগ দিয়েছেন বিএনপির নেতারা। শনিবার (৩০ মার্চ) হোটেল প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁওয়ের বলরুমে ইফতারের আয়োজন করা হয়।
ইফতারে আগে দেশের বর্তমান অবস্থা তুলে ধরে সবাইকে সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানান জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান। সবশেষ ২০১৫ সালে হোটেল সোনারগাঁও হোটেলে জামায়াতের ইফতারে গিয়েছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া।
ইফতারে দাওয়াত পেলেও আসেননি বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বিএনপির একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র জানিয়েছেন, ডিসেন্ট্রি হওয়ায় বিএনপি মহাসচিব শারিরীকভাবে অসুস্থ। তাই তিনি আসতে পারেননি।
জামায়াতের ইফতারে বিএনপির প্রতিনিধি দলের নেতৃত্বে ছিলেন স্থায়ী কমিটির সদস্য জমির উদ্দিন সরকার ও মির্জা আব্বাস। ভাইস চেয়ারম্যানদের মধ্যে ছিলেন ভাইস চেয়ারম্যান আলতাফ হোসেন চৌধুরী, আবদুল আউয়াল মিন্টু ও জয়নাল আবেদিন।
চেয়ারপারসনের উপদেষ্টাদের মধ্যে ছিলেন আবদুস সালাম, মাসুদ আহমেদ তালুকদার।
জামায়াতে ইসলামীর ইফতারে বিএনপির যারা অংশ নিলেন
যুগ্ম মহাসচিব মজিবুর রহমান সারওয়ার, মাহবুব উদ্দিন খোকন, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, প্রচার সম্পাদক শহিদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, আইন বিষয়ক সম্পাদক কায়সার কামাল, দলটির মিডিয়া সেলের জহির উদ্দিন স্বপন ও শায়রুল কবির খানও যান ইফতার পার্টিতে।
ভেঙে দেওয়া ২০ দলীয় জোটের শরিকদের মধ্যে ছিলেন এলডিপির চেয়ারম্যান অলি আহমেদ, গণ অধিকার পরিষদের নুরুল হক নূর, লেবার পার্টির মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, জাগপার খন্দকার লুৎফর রহমান, এনপিপির মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তফা, বিএলডিপির শাহাদাত হোসেন সেলিম, এবি পার্টির ব্যারিস্টার জুবায়ের আহমেদ ভূইয়া, গণদলের এটিএম গোলাম মওলা, বিকল্প ধারা বাংলাদেশ এর অধ্যাপক নুরুল আমিন বেপারী।
রাজধানীর লেডিস ক্লাবে গত ২৮ মার্চ বৃহস্পতিবার রাজনৈতিক নেতাদের সম্মানে ইফতার মাহফিলের আয়োজন করে বিএনপি। ওই ইফতার মাহফিলে জামায়াতে ইসলামীর আমিরসহ দলটির চারজন নেতা অংশ নিয়েছিলেন।