দুইবার বিয়ের পরও সন্তান-স্ত্রীকে অস্বীকার করছেন ইউপি চেয়ারম্যান!
নতুন সময় ডেস্ক
|
জামালপুরের বকশীগঞ্জে মাহামুদুল আলম বাবু নামে এক ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেছেন তার দ্বিতীয় স্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন। বুধবার (১০ মে) দুপুরে বকশীগঞ্জ পৌরশহরের বাগানবাড়ীতে সন্তানের পিতৃত্ব ও স্ত্রীর মর্যাদার দাবিতে ওই নারী এ সংবাদ সম্মেলন করেন। অভিযুক্ত মাহামুদুল আলম বাবু সাধুরপাড়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সম্পাদক ও সাধুরপাড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। সংবাদ সম্মেলনে দুটি কাবিননামা দেখিয়ে ওই নারী দাবি করেন, তাকে দুইবার বিয়ে করেছেন চেয়ারম্যান বাবু। এরপরও সন্তান ও তাকে অস্বীকার করছেন চেয়ারম্যান। বাড়িতে গেলে তাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে তাদের। সাবিনা ইয়াসমিন অভিযোগ করে বলেন, আমাকে ২০১০ সালে বিয়ে করলেও আট বছর পর (২০১৮ সালে) রেজিস্ট্রি করেন মাহামুদুল আলম বাবু। পরে তালাক দিলেও ২০১৯ সালে রেজিস্ট্রি কাবিন মূলে ২য় দফায় বিয়ে হয় আমাদের। ৬মাস আগে একটি কন্যাসন্তান হয় আমাদের। অথচ এই বিয়ে ও সন্তান উভয়কেই অস্বীকার করে আসছেন চেয়ারম্যান মাহামুদুল আলম বাবু। তিনি বলেন, সন্তানের পিতৃত্ব ও স্ত্রীর মর্যাদার দাবিতে চেয়ারম্যান বাবুর গ্রামের বাড়ী কামালেরবার্তী যাই। সেখানে আমাকে মারধর করে তাড়িয়ে দেওয়া হয়। এ ঘটনায় বকশীগঞ্জ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন বলে জানান ভুক্তভোগী নারী। বকশীগঞ্জ থানার ওসি সুহেল রানা জানান, সাধুরপাড়া ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মাহামুদুল আলমের বিরুদ্ধে এক নারী লিখিত অভিযোগ করেছেন। বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখা হচ্ছে। অভিযোগের বিষয়ে সাধুরপাড়া ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মাহামুদুল আলম বাবুর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন রিসিভি করেননি।
|
� পূর্ববর্তী সংবাদ | পরবর্তী সংবাদ � |