খুলনা–চুকনগর মহাসড়কে প্রতিদিন অবাধে চলাচল করছে' থ্রি–হুইলার ও ব্যাটারিচালিত ইজিবাইক। ভারী যানবাহনের সঙ্গে একই হাইওয়েতে এসব অননুমোদিত যান চলার কারণে গত কয়েক মাসে ছোট-বড় অসংখ্য দুর্ঘটনা ঘটেছে, বেড়েছে মৃত্যুর সংখ্যাও।
স্থানীয়দের অভিযোগ, মহাসড়কে যেখানে দ্রুতগামী বাস–ট্রাকের চলাচল স্বাভাবিক, সেখানে গতি–নিয়ন্ত্রণবিহীন থ্রি–হুইলারের উপস্থিতি প্রতিনিয়ত ঝুঁকি তৈরি করছে। বিশেষ করে সকাল ও সন্ধ্যাবেলায় স্কুল–কলেজগামী শিক্ষার্থী, কর্মজীবী মানুষ এবং বাজারের পথচারীরা সবচেয়ে বেশি ভুক্তভোগী।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক যাত্রী জানান,“হাইওয়েতে ইজিবাইক চললে দুর্ঘটনা অনিবার্য। প্রায়ই দেখি সামনে হঠাৎ ব্রেক করছে, পিছনের গাড়ি এসে ধাক্কা দিচ্ছে। ভয় নিয়ে রাস্তায় চলতে হয়।”
এদিকে স্থানীয়দের অভিযোগ, পুলিশ ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বিষয়টি দেখেও না দেখার ভান করছে। মাঝে মাঝে অভিযান চালানো হলেও নিয়মিত তদারকির অভাবে আবার আগের মতোই চলে আসে এসব যান। অনেকেই মনে করছেন, দৃশ্যমান ব্যবস্থা না নিলে পরিস্থিতি আরও মারাত্মক আকার ধারণ করবে।
খুলনার পরিবহন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, হাইওয়েতে থ্রি–হুইলার চলাচল পুরোপুরি বন্ধ করা, আলাদা সার্ভিস রোড তৈরি করা এবং নিয়মিত ট্রাফিক মনিটরিং বাড়ানো ছাড়া দুর্ঘটনা কমানো সম্ভব নয়।
একই সঙ্গে চালকদের প্রশিক্ষণ ও নিবন্ধন প্রক্রিয়া কঠোর করার পরামর্শ দেন তারা। নিরাপদ সড়ক চাই আন্দোলনের স্থানীয় কর্মীরাও দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। তাদের ভাষায়, প্রতিটি মৃত্যুই একটি পরিবারকে শোকের সাগরে ডুবিয়ে দেয়। এখনই ব্যবস্থা না নিলে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হবে।”
খুলনা–চুকনগর মহাসড়কে মানুষের নিরাপদ যাতায়াত নিশ্চিত করতে জরুরি ভিত্তিতে আইন প্রয়োগ ও কঠোর মনিটরিংয়ের দাবি জানাচ্ছেন এলাকাবাসী।,খুলনা হাইওয়ে পুলিশ সুপার বলেন, আমরা প্রতিদিন অভিযান চালাচ্ছি ,গাড়ি আটক ও করতেছি হাইওয়ে পুলিশ রাত দিন কাজ করছে ৷ ##