শ্যামনগরে সুপেয় পানির সংকট নিরসনে এ্যাডভোকেসি সভা অনুষ্ঠিত
জি,এম,আমিনুর রহমান, সাতক্ষীরা
প্রকাশ: Wednesday, 26 November, 2025, 6:13 PM
শ্যামনগরে সুপেয় পানির সংকট নিরসনে এ্যাডভোকেসি সভা অনুষ্ঠিত
উপকূলীয় অঞ্চলে সুপেয় পানির তীব্র সংকট নিরসন এবং সরকারি সেবার আওতায় নিরাপদ পানি সরবরাহ নিশ্চিতের লক্ষ্যে শ্যামনগরে এ্যাডভোকেসি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার সকাল ১০টায় শ্যামনগর উপজেলা অফিসার্স ক্লাব হলরুমে যুব সংগঠন শরুব ইয়ুথ টিমের আয়োজনে ও একশন এইড বাংলাদেশের সহযোগিতায় সভাটি অনুষ্ঠিত হয়। শরুবের নির্বাহী পরিচালক এস এম জান্নাতুল নাঈমের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক রাশিদুল ইসলামের সঞ্চালনায় এতে প্রধান অতিথি ছিলেন শ্যামনগর উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা দেলোয়ার হোসেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে দেলোয়ার হোসেন বলেন, উপকূলের সুপেয় পানির সংকট দীর্ঘদিনের। এই সংকট নিরসনে সরকার নানা পদক্ষেপ নিয়েছে। তবে উপজেলায় পানির সেবাকে ঘিরে যেসব অসাধু চক্র আর্থিক লেনদেনের মাধ্যমে কার্যক্রম চালাচ্ছে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন উৎসর্গ সোসাইটির চেয়ারম্যান গাজী আব্দুর রউফ, ব্লাড ব্যাংক টিম, যুব সংগঠক, গবেষণা ও স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিসহ বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। এতে শরুব ইয়ুথ টিমের কোষাধ্যক্ষ দেবব্রত বিশ্বাস, শ্যামনগর উপজেলা প্রেসক্লাবের সাংবাদিক আব্দুস সালাম, কর্ড এইড, বারসিক, কর্ড এইড, রক্তদান সংস্থা, সুন্দরবন–ভিত্তিক সংগঠন এবং উপজেলা পর্যায়ের একাধিক যুব, ব্লাড, পরিবেশ ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।
বক্তারা উপকূলীয় অঞ্চলে পানি সংকটের দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব তুলে ধরে বলেন, লবণাক্ততার বিস্তার, অপরিকল্পিত চিংড়ি চাষ, ভূগর্ভস্থ পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়া এবং বেড়িবাঁধ ভাঙনের কারণে সংকট ক্রমেই গভীর হচ্ছে। এস এম জান্নাতুল নাঈম বলেন, সরকারি জলাধার ব্যক্তি মালিকানায় চলে যাওয়ায় সাধারণ মানুষ নিরাপদ পানি থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। পানির বাণিজ্যিকীকরণ বন্ধ করতে হবে এবং বৃষ্টির পানি সংরক্ষণে সরকারি উদ্যোগে জলাধার খননসহ পরিকল্পিত পানি ব্যবস্থাপনা গড়ে তুলতে হবে।
সভা শেষে উপকূলবাসীর সুপেয় পানির অধিকার নিশ্চিত করতে সরকারি সেবার পরিধি বাড়ানো, জলাধার পুনরুদ্ধার ও বৃষ্টির পানি সংরক্ষণে টেকসই পরিকল্পনা বাস্তবায়নের দাবি জানানো হয়। পানি সংকট নিরসনে সম্মিলিত সামাজিক ও প্রাতিষ্ঠানিক উদ্যোগ অব্যাহত রাখার ওপরও গুরুত্বারোপ করেন বক্তারা।