|
ইউএনও’র বাসভবনে ও নিরাপত্তায় থাকা আনসার সদস্যদের কক্ষে দুম্বার মাংস
মোঃ মাহবুবুল হাসান, চিলমারী
|
![]() ইউএনও’র বাসভবনে ও নিরাপত্তায় থাকা আনসার সদস্যদের কক্ষে দুম্বার মাংস ইউএনওর বাসভবনে রাখা বস্তার ভেতরে থাকা সাত প্যাকেট মাংস অফিসের কিছু কর্মচারী বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করার সময় স্থানীয়দের উপস্থিতি টের পেয়ে দ্রুত সেখানে রেখে দেয় বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। সোমবার (৩ নভেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে এ ঘটনাটি ঘটে। পরে ইউএনও জানান, ওই মাংস রাতে জুলাই যোদ্ধাদের বাড়িতে পৌঁছে দেওয়ার কথা ছিল। জানা গেছে, রোববার রাতে সৌদি সরকারের দেওয়া ৩৩ কার্টন দুম্বার মাংস উপজেলা পরিষদে পৌঁছে। এরপর সেগুলো রাতেই বিভিন্ন স্থানে বিতরণ করা হয়। তবে সোমবার রাতে ওই মাংস উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বাসভবনের গেটের ভেতরে এবং আনসার সদস্যদের কক্ষের ভেতরে রাখার ঘটনা দেখা যায়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন প্রত্যক্ষদর্শী জানান, পিআইও অফিসের তিনজন কর্মচারী আলাদা বস্তায় কয়েকটি প্যাকেট নিয়ে পরিষদ থেকে বের হওয়ার সময় স্থানীয়দের দেখে আবার ফেরত গিয়ে ইউএনওর গেটের ভেতরে বস্তাগুলো রেখে আসে। ঘটনাস্থলে উপস্থিত সাংবাদিকরা জানান, পিআইও অফিসের তিনজন কর্মচারীকে সেখানে দেখা যায়। সাংবাদিকদের উপস্থিতি টের পেয়ে তারা দ্রুত সরে পড়ে এবং কিছুটা দূরে গিয়ে অবস্থান নেয়। পরে সাংবাদিকরা হুমায়ুন নামের এক কর্মচারীর সঙ্গে কথা বললে তিনি জানান, এ বিষয়ে তিনি কিছুই জানেন না। ইউএনওর বাসভবনে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা একজন আনসার সদস্য বলেন, “পিআইও অফিসের কর্মচারীরা এখানে বস্তা রেখে গেছে। এর বেশি কিছু আমি জানি না।” এ বিষয়ে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) মো. সোহেল রহমান বলেন, “দুম্বার মাংস বিতরণ এখনো শেষ হয়নি। ইউএনও স্যার রাস্তায় আছেন, তিনি আসলে মাংস বের হবে।” অপরদিকে চিলমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সবুজ কুমার বসাক বলেন, “এটা নির্দিষ্টভাবে কয়েকটি চরাঞ্চলের মাদ্রাসাকে দেওয়া হয়নি, তারা কাল আসবে। আর আমাদের (জুলাই যোদ্ধা) যারা আহত আছেন, তাদের জন্য কিছু মাংস রাখা হয়েছে। আমি আসলেই আজ রাতে তা পাঠিয়ে দেব। আমরা বাইরের কাউকে মাংস দিইনি। |
| পূর্ববর্তী সংবাদ | পরবর্তী সংবাদ |
