|
সীতাকুণ্ডে বিএনপি নেতা আসলাম চৌধুরীর ৪ অনুসারী বহিষ্কার
নতুন সময় প্রতিনিধি
|
![]() সীতাকুণ্ডে বিএনপি নেতা আসলাম চৌধুরীর ৪ অনুসারী বহিষ্কার মঙ্গলবার বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। বহিষ্কৃতরা হলেন, স্বেচ্ছাসেবক দলের সীতাকুণ্ড উপজেলা সভাপতি আলাউদ্দিন মনি, সাধারণ সম্পাদক হেলাল উদ্দিন বাবর, সীতাকুণ্ড পৌর আহ্বায়ক মামুন এবং সোনাইছড়ি ইউনিয়ন যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মমিন উদ্দিন মিন্টু। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দলীয় মনোনয়নকে কেন্দ্র করে সোমবার সন্ধ্যার পরে সীতাকুণ্ডে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কদমরসুল, ভাটিয়ারী বাজার, জলিল গেইট এলাকায় ‘সহিংসতা, হানাহানি ও রাস্তা অবরোধ’সহ জনস্বার্থ বিরোধী নানা কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হওয়ায় আসলাম চৌধুরীর অনুসারী হিসেবে পরিচিত এ চারজনকে প্রাথমিক সদস্যসহ সব পর্যায়ের পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। বিএনপি’র চট্টগ্রাম বিভাগীয় সহ সাংগঠনিক সম্পাদক মীর মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন গণমাধ্যমকে বলেন, “আমাদের যারা মনোনয়ন প্রত্যাশী তারা সবাই যোগ্য, কিন্তু এক আসনে তো একাধিক প্রার্থীকে মনোনয়ন দেxয়া যাবে না। “দল থেকে গত তিনমাস ধরে বিভিন্ন ধরনের কাউন্সেলিং ও বৈঠক করা হয়েছে। সবশেষে গত ২৬-২৮ অক্টেবর আমাদের নেতা তারেক রহমান সকল প্রার্থীদের ফাইনাল কাউন্সিলিং করেছেন। এতে ভুল বোঝাবুঝির অবসান হয়েছে বলে আমরা মনে করি। তিনি বলেন, “এরপরও কিছু লোক এ ধরনের বিশৃঙ্খলা করেছেন। দলের নির্দেশনার ব্যতয় হলে তাদের সবাইকে শাস্তির আওতায় পড়তে হবে।” আসলাম চৌধুরীর জনসংযোগ শাখার কর্মকর্তা আবু তাহের গণমাধ্যমকে বলেন, “সোমবার রাতে মহাসড়ক অবরোধের যে ঘটনা ঘটেছে, সেটা নিয়ে আসলাম চৌধুরী কিংবা দলীয় কোনো নির্দেশনা ছিল না। স্থানীয় লোকজন আসলাম চৌধুরীর প্রতি আবেগ ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ দেখিয়ে রাস্তায় নেমে এসেছিল। “এ বিয়ষটি জানতে পেরেই আসলাম চৌধুরী দলীয় নেতাকর্মীদের নির্দেশনা দিয়েছেন অবরোধে সাধারণ জনগণের দুর্ভোগ হচ্ছে। যাতে লোকজনকে রাস্তা থেকে সড়িয়ে নিয়ে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক করে দেয়।” সোমবার রাত সোয়া ১১টা থেকে মহাসড়কে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে বলে জানান কুমিরা হাইওয়ের থানার ওসি জাকির রব্বানী। সেদিন সন্ধ্যায় গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ২৩৭ আসনে দলীয় প্রার্থী ঘোষণা করেন। এর মধ্যে সীতাকুণ্ড আসনে মনোনীত করা হয় চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপি’র যুগ্ম আহ্বায়ক কাজী সালাউদ্দীনকে। এ আসনে ২০১৮ সালে প্রার্থী ছিলেন কেন্দ্রীয় বিএনপির সাবেক যুগ্ম মহাসচিব আসলাম চৌধুরী। ওই সময় তিনি কারাগারে ছিলেন। ২০১৬ সালে আসলামের সঙ্গে ইসরায়েলের লিকুদ পার্টির সদস্য মেন্দি এন সাফাদির একটি ছবি গণমাধ্যমে প্রকাশিত হলে তুমুল আলোচনা শুরু হয়। ওই বছরের ১৫ মে ঢাকার খিলক্ষেত থেকে গ্রেপ্তার করা হয় চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির তৎকালীন আহ্বায়ক আসলামকে। ইসরায়েলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের ‘এজেন্টের সঙ্গে হাত মিলিয়ে বাংলাদেশে সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্রের’ অভিযোগ আনা হয় তার বিরুদ্ধে। পরে একে একে আরও অনেক মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। পরে একের পর এক মামলা হয় তার নামে। গেল বছরের ৫ অগাস্ট রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর ২০ অগাস্ট জামিনে মুক্তি পান আসলাম চৌধুরী। পদত্যাগের খবর ‘মিথ্যা, বানোয়াট, ভিত্তিহীন’ এদিকে আসলাম চৌধুরী দল থেকে পদত্যাগ করেছেন বলে ফেইসবুকে যে ফটোকার্ড ছড়িয়েছে, সেটিকে ‘মিথ্যা, বানোয়াট, ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ বলে বর্ণনা করেছেন এ বিএনপি নেতা। তার জনসংযোগ শাখার এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, “একটি কুচক্রী মহল বিভ্রান্তি তৈরি করে ফায়দা হাসিলের জন্য এমন জঘন্য অপকর্মে লিপ্ত হয়েছে বলেই আমাদের বিশ্বাস। সবাইকে ধৈর্য ধারণ করার জন্য শ্রদ্ধেয় আসলাম চৌধুরী এফসিএ মহোদয়ের পক্ষ থেকে বিনীত অনুরোধ জানানো যাচ্ছে।” |
| পূর্ববর্তী সংবাদ | পরবর্তী সংবাদ |
