ই-পেপার সোমবার ১৪ নভেম্বর ২০২২
ই-পেপার |  সদস্য হোন |  পডকাস্ট |  গুগলী |  ডিসকাউন্ট শপ
বুধবার ৫ নভেম্বর ২০২৫ ২০ কার্তিক ১৪৩২
পার্বত্য চট্টগ্রামের উন্নয়ন নয়, সংঘাত চায় ইউপিডিএফ-জেএসএস: সম্প্রীতি জোট
বিধান বিশ্বাস, চট্টগ্রাম
প্রকাশ: Saturday, 1 November, 2025, 5:43 PM

পার্বত্য চট্টগ্রামের উন্নয়ন নয়, সংঘাত চায় ইউপিডিএফ-জেএসএস: সম্প্রীতি জোট

পার্বত্য চট্টগ্রামের উন্নয়ন নয়, সংঘাত চায় ইউপিডিএফ-জেএসএস: সম্প্রীতি জোট

পার্বত্য চট্টগ্রামে জেএসএস এবং ইউপিডিএফ-এর সন্ত্রাসীরা নতুন করে সংঘাত চাইছে অভিযোগ করে সিএইচটি সম্প্রীতি জোট বলেছে, জনগণের নিরাপত্তার জন্যই পাহাড়ে সেনা ক্যাম্প স্থাপন একটি অপরিহার্য রাষ্ট্রীয় পদক্ষেপ। 

শনিবার (১ নভেম্বর) চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনটির নেতারা রাষ্ট্রের সার্বভৌমত্ব, শান্তি ও সম্প্রীতির পক্ষে তাদের অবস্থান তুলে ধরেন।

সংবাদ সম্মেলনে নেতারা বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামের চলমান পরিস্থিতি নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়া ও স্থানীয় পর্যায়ে বিভ্রান্তিকর ও উত্তেজনামূলক প্রচারণা ছড়ানো হচ্ছে, যা দুঃখজনক ও উদ্দেশ্যমূলক। 

সিএইচটি সম্প্রীতি জোট মনে করে, বাংলাদেশের সংবিধান প্রদত্ত সার্বভৌমত্ব, ভৌগোলিক অখণ্ডতা এবং আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ভূমিকার প্রতি পূর্ণ শ্রদ্ধা প্রদর্শন করা প্রত্যেক নাগরিকের দায়িত্ব।

জোটের আহ্বায়ক ইঞ্জিনিয়ার থোয়াই চিং মং শাক বলেন, জেএসএস এবং ইউপিডিএফ-এর সন্ত্রাসীরা পার্বত্য চট্টগ্রামের উন্নয়ন নয়, সংঘাত চায়। তারা নিজেদের অবৈধ স্বার্থ রক্ষায় শান্তিপ্রিয় পাহাড়িদের জীবনকে জিম্মি করছে।

তিনি বলেন, খাগড়াছড়ির বর্মাছড়িতে সেনা ক্যাম্প স্থাপন জনগণের নিরাপত্তার জন্য একটি অপরিহার্য রাষ্ট্রীয় পদক্ষেপ। কিন্তু তারা বৌদ্ধ মন্দিরকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে নিরীহ পার্বত্য চট্টগ্রামে অ-বাঙালিদের ভুল বোঝাচ্ছে, যা ধর্মীয় সম্প্রীতি বিনষ্টের শামিল। আমরা এর তীব্র প্রতিবাদ জানাই এবং সকল নিরীহ পাহাড়িকে এসব মিথ্যাচার থেকে দূরে থাকার আহ্বান জানাই।

থোয়াই চিং মং শাক আরও বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম বাংলাদেশের অবিচ্ছেদ্য অংশ। এখানে বাংলাদেশের সংবিধান ও জাতীয় আইনই সর্বোচ্চ। কোনো সংগঠন বা ব্যক্তি এ অঞ্চলে 'রাষ্ট্র-বিরোধী বিভাজনমূলক বক্তব্য' বা 'আঞ্চলিক বিভাজন' সৃষ্টির চেষ্টা করলে তা দেশপ্রেমের পরিপন্থী। 

দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব ও পার্বত্য অঞ্চলে শান্তি-স্থিতিশীলতা রক্ষায় সেনাবাহিনী এবং অন্যান্য নিরাপত্তা বাহিনীর ভূমিকা অনন্য বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

তিনি আরও যোগ করেন, আমরা বিশ্বাস করি- পার্বত্য চট্টগ্রামে শান্তি, উন্নয়ন ও সহাবস্থান কেবলমাত্র রাষ্ট্রীয় সংস্থা, স্থানীয় প্রশাসন ও জনগণের পারস্পরিক সহযোগিতার মাধ্যমেই টেকসই হতে পারে। রাষ্ট্রের চলমান উন্নয়ন কার্যক্রমে আমরা জনগণকে সম্পৃক্ত হওয়ার আহ্বান জানাই।

পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ







  সর্বশেষ সংবাদ  
  সর্বাধিক পঠিত  
এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ
সম্পাদক : নাজমুল হক শ্যামল
দৈনিক নতুন সময়, গ্রীন ট্রেড পয়েন্ট, ৭ বীর উত্তম এ কে খন্দকার রোড, মহাখালী বা/এ, ঢাকা ১২১২।
ফোন: ৫৮৩১২৮৮৮, ০১৯৯৪ ৬৬৬০৮৯, ইমেইল: info@notunshomoy.com
সম্পাদক মন্ডলীর সভাপতি: এমদাদ আহমেদ | প্রকাশক : প্রবাসী মাল্টিমিডিয়া কমিউনিকেশন লি.-এর পক্ষে কাজী তোফায়েল আহম্মদ | কপিরাইট © দৈনিক নতুন সময় সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত | Developed By: i2soft
DMCA.com Protection Status