|
বৈচিত্র্য আর সম্প্রীতির রঙে রঙিন পাহাড়ি বাজার
মোঃ কামরুল ইসলাম, রাঙামাটি
|
![]() বৈচিত্র্য আর সম্প্রীতির রঙে রঙিন পাহাড়ি বাজার হাটের দিন ভোর হতেই পাহাড়ি জনপদগুলো থেকে মানুষের ঢল নামে বাজারের দিকে। কোনো কোনো বিক্রেতাকে হেঁটে আসতে হয় মাইলের পর মাইল কঠিন চড়াই-উতরাই পথ। কষ্টকর হলেও এই হাটের আকর্ষণ তাদের টেনে আনে। তাঁদের ঝুড়ি ভরে থাকে পাহাড়ে প্রাকৃতিকভাবে উৎপাদিত বিভিন্ন ফল (যেমন: আনারস, কলা, পেঁপে, আদা, হলুদ), এবং পাহাড়ের নিজস্ব জাতের সবজিতে। সমতলের বাজারের চেয়ে এখানকার অনেক পণ্যই স্বাদে-গন্ধে অন্যরকম, যা ক্রেতাদের কাছে বিশেষ আকর্ষণীয়। পাহাড়ি বাজারের এক কোণে বসে ফল বিক্রি করছিলেন চাকমা জনগোষ্ঠীর সত্তরোর্ধ্ব বৃদ্ধা পলাশ চাকমা। তিনি বলেন, নদীর পথ পানি কমে যাওয়ায় হাঁটতে এখন বেশি কষ্ট হয়। তাও হাটে আসি। এখানে সবার সাথে দেখা হয়, গল্প হয়, আর দু'টো পয়সা পাই। পাহাড়ি-বাঙালির সম্প্রীতির মিলনমেলা এই বাজারগুলো যুগ যুগ ধরে পাহাড়ি-বাঙালি জনগোষ্ঠীর মিলনস্থল হিসেবে পরিচিত। ক্রেতা-বিক্রেতার সম্পর্কের বাইরেও এখানে তৈরি হয়েছে এক আন্তরিক সামাজিক বন্ধন। বাঙালি ক্রেতারা যেমন পাহাড়িদের উৎপাদিত পণ্যের কদর করেন, তেমনি পাহাড়ি বিক্রেতারাও তাদের ক্রেতাদের সাথে গড়ে তোলেন দীর্ঘদিনের সুসম্পর্ক। ![]() বৈচিত্র্য আর সম্প্রীতির রঙে রঙিন পাহাড়ি বাজার শত বৈচিত্র্য আর দূরত্বের বাধা পেরিয়ে এই পাহাড়ি বাজারগুলো আজও সজীব। পাহাড়ি জনগোষ্ঠীর জীবন-সংগ্রাম, পরিশ্রম এবং তাদের প্রাকৃতিক সম্পদের প্রাচুর্যের পাশাপাশি এই বাজারের উষ্ণ সম্পর্ক স্থানীয়ভাবে সম্প্রীতির এক অনন্য উদাহরণ তৈরি করেছে। |
| পূর্ববর্তী সংবাদ | পরবর্তী সংবাদ |
