অ্যানথ্রাক্স কী, কীভাবে ছড়ায় ও প্রতিকার
নতুন সময় ডেস্ক
|
![]() অ্যানথ্রাক্স কী, কীভাবে ছড়ায় ও প্রতিকার সরকারি হিসাব অনুযায়ী মিঠাপুকুরে ৬ জন আক্রান্ত হলেও স্থানীয়দের তথ্য অনুযায়ী ১৫ জনেরও বেশি মানুষ সংক্রমিত হয়েছে। রংপুরের পাশাপাশি মেহেরপুরের তিন উপজেলার ৪৬৪ জন অ্যানথ্রাক্সে আক্রান্ত হয়েছেন। অ্যানথ্রাক্স কী ও কীভাবে ছড়ায়? অ্যানথ্রাক্স মূলত ব্যাকটেরিয়াজনিত গুরুতর সংক্রামক রোগ। ব্যাসিলাস অ্যানথ্রাসিস ব্যাকটেরিয়ার কারণে এ রোগ হয়। এটি মূলত গবাদিপশুতে দেখা যায়, তবে সংক্রমিত পশু বা তাদের পণ্য (চামড়া, পশম, মাংস) থেকে মানুষও আক্রান্ত হতে পারে। মানুষ সাধারণত তিনভাবে সংক্রমিত হতে পারে: ত্বকের মাধ্যমে: সংক্রমিত পশুর চামড়া বা পশম স্পর্শ করলে। শ্বাস-প্রশ্বাসের মাধ্যমে: স্পোরযুক্ত বাতাস ফুসফুসে প্রবেশ করলে। খাদ্য গ্রহণের মাধ্যমে: সংক্রমিত পশুর মাংস খেলে। উপসর্গ ত্বকের অ্যানথ্রাক্স: চুলকানিযুক্ত বাম্প, পরবর্তীতে ব্যাথাহীন কালো আলসার, জ্বর, মাথাব্যথা। শ্বাসনালী/ফুসফুসের অ্যানথ্রাক্স: ফ্লু-সদৃশ লক্ষণ, জ্বর, কাশি, পেশী ব্যথা; গুরুতর হলে শ্বাসকষ্ট ও বুকে ব্যথা। পরিপাকতন্ত্রের অ্যানথ্রাক্স: বমি, জ্বর, পেটে ব্যথা। গুরুতর হলে রক্তাক্ত ডায়রিয়া ও অন্ত্রের প্রদাহ। প্রতিরোধ ও করণীয় পশুদের নিয়মিত অ্যানথ্রাক্স টিকা দেওয়া।সংক্রমিত পশু বা মৃত পশুর সংস্পর্শ এড়ানো।আক্রান্ত পশুর জবাই বন্ধ রাখা।মৃত পশু মাটির গভীরে পুঁতে সৎকার করা।মৃত পশু সৎকারের সময় গ্লাভস ও সুরক্ষামূলক সরঞ্জাম ব্যবহার করা।সচেতনতা বাড়ানো ও সতর্কতা অবলম্বন করাই এই মারাত্মক রোগের সংক্রমণ রোধের প্রধান হাতিয়ার। |
পূর্ববর্তী সংবাদ | পরবর্তী সংবাদ |