ই-পেপার সোমবার ১৪ নভেম্বর ২০২২
ই-পেপার |  সদস্য হোন |  পডকাস্ট |  গুগলী |  ডিসকাউন্ট শপ
বৃহস্পতিবার ৯ অক্টোবর ২০২৫ ২৩ আশ্বিন ১৪৩২
জলাতঙ্ক রোগের লক্ষণ ও করণীয়
নতুন সময় ডেস্ক
প্রকাশ: Saturday, 4 October, 2025, 2:16 PM

জলাতঙ্ক রোগের লক্ষণ ও করণীয়

জলাতঙ্ক রোগের লক্ষণ ও করণীয়

প্রাণীর কামড় থেকে মারাত্মক প্রাণঘাতী রোগ জলাতঙ্কে আক্রান্ত হয়ে প্রতিবছর বহু মানুষের মৃত্যু হয়। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, এ রোগে আক্রান্ত হলে রোগীর বেঁচে থাকার সম্ভাবনা প্রায় নেই বললেই চলে। মূলত র‌্যাবিস ভাইরাসজনিত এ রোগকে বলা হয় জলাতঙ্ক বা হাইড্রোফোবিয়া। পানি দেখলে বা পানির কথা মনে পড়লেই রোগীরা প্রচণ্ড আতঙ্কিত হয়ে পড়েন।

বাংলাদেশে ৯৫ শতাংশ রোগী কুকুরের কামড় থেকে জলাতঙ্কে আক্রান্ত হন। তবে কুকুর ছাড়াও শিয়াল, বিড়াল, বাদুড়, বেজি, বানরসহ অন্যান্য প্রাণীর কামড়েও আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে। আক্রান্ত প্রাণী বা মানুষ সুস্থ কাউকে কামড়ালে সেই ব্যক্তিও সংক্রমিত হতে পারেন।

জলাতঙ্কের উপসর্গের মধ্যে রয়েছে-
 
কর্কশ কণ্ঠস্বরখিটখিটে মেজাজঅন্যকে অকারণে কামড় বা আক্রমণের প্রবণতাখাবারে অরুচিঅস্বাভাবিক কথাবার্তাউদ্দেশ্যহীনভাবে ঘুরে বেড়ানোপানি পিপাসা পেলেও পানি দেখে আতঙ্কিত হওয়াআলো বাতাসের সংস্পর্শে এলে ভয় বেড়ে যাওয়ামানুষের চোখের আড়ালে, অন্ধকারে, একা থাকতে পছন্দ করেন।খিঁচুনি ও মুখে লালা বের হওয়া ইত্যাদি।
 
টিকা
এ রোগ থেকে বাঁচতে অবশ্যই টিকা নিতে হবে। চিকিৎসকরা বলছেন, এ ধরনের রোগীরা লক্ষণ দেখার এক সপ্তাহের মধ্যে মারা যান। তবে রোগের লক্ষণ প্রকাশের আগে শরীরে টিকা প্রয়োগ করতে পারলে মৃত্যু এড়ানো যায়।
 
করণীয়
প্রাণী আঁচড় বা কামড় থেকে সতর্ক থাকুন। তারপরও প্রাণীর হামলার শিকার হলে  এ বিষয়ে ঢাকার মহাখালীর ইনফেকশন ডিজেজ হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডাক্তার বিকাশ কুমার সরকার বলছেন, আক্রান্ত স্থান রক্তপাত বন্ধে চেপে ধরুন। ব্যাকটেরিয়া ও জীবাণু ধ্বংসে অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল সাবান ( কাপড় ধোয়ার সাবান) দিয়ে আক্রনান্ত স্থান ১৫ মিনিট ধরে ধুয়ে নিন। 
 
দ্রুত হাসপাতাল বা ফার্মেসিতে যান। ক্ষতস্থান প্রথমে পটাশিয়াম পারম্যাংগানেট পরে ক্লোরহেক্সিডিন বা পোভিডোন আয়োডিন দিয়ে ধুয়ে দিন। অ্যান্টিবায়োটিক মলমের প্রলেপ দিয়ে ব্যান্ডেজ করুন।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জলাতঙ্কের কোনো কার্যকর চিকিৎসা নেই। একবার লক্ষণ দেখা দিলে সাধারণত রোগী এক সপ্তাহের মধ্যেই মারা যান। তবে সময়মতো টিকা নিলে এ রোগ থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব।

প্রাণীর কামড় বা আঁচড়ের পরপরই আক্রান্ত স্থানে চাপ দিয়ে রক্তপাত বন্ধ করতে হবে। এরপর অন্তত ১৫ মিনিট অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল সাবান দিয়ে ক্ষত ধুয়ে ফেলতে হবে। পরে ক্ষতস্থান ক্লোরহেক্সিডিন বা পোভিডোন আয়োডিন দিয়ে পরিষ্কার করে অ্যান্টিবায়োটিক মলম ব্যবহার করা জরুরি।

ক্ষতস্থানে স্যালাইন, বরফ, চিনি, লবণ বা ইলেকট্রিক শক কখনোই ব্যবহার করা যাবে না। এমনকি সেলাই করাও বিপজ্জনক। আক্রান্ত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই দ্রুত হাসপাতালে গিয়ে প্রয়োজনীয় টিকা নিতে হবে।

চিকিৎসকরা সতর্ক করে বলেন, জলাতঙ্ক প্রতিরোধের একমাত্র উপায় হলো সময়মতো টিকা গ্রহণ। তাই প্রাণীর কামড় বা আঁচড়ের শিকার হলে অবহেলা না করে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়ার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।


পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ







  সর্বশেষ সংবাদ  
  সর্বাধিক পঠিত  
এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ
সম্পাদক : নাজমুল হক শ্যামল
দৈনিক নতুন সময়, গ্রীন ট্রেড পয়েন্ট, ৭ বীর উত্তম এ কে খন্দকার রোড, মহাখালী বা/এ, ঢাকা ১২১২।
ফোন: ৫৮৩১২৮৮৮, ০১৯৯৪ ৬৬৬০৮৯, ইমেইল: info@notunshomoy.com
সম্পাদক মন্ডলীর সভাপতি: এমদাদ আহমেদ | প্রকাশক : প্রবাসী মাল্টিমিডিয়া কমিউনিকেশন লি.-এর পক্ষে কাজী তোফায়েল আহম্মদ | কপিরাইট © দৈনিক নতুন সময় সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত | Developed By: i2soft
DMCA.com Protection Status