বুটেক্সের ল্যাবে অপর্যাপ্ত ফ্যান, গরমে অতিষ্ঠ শিক্ষার্থীরা
আল ফাহিম, বুটেক্স
|
![]() বুটেক্সের ল্যাবে অপর্যাপ্ত ফ্যান, গরমে অতিষ্ঠ শিক্ষার্থীরা শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, অধিকাংশ ল্যাবেই ফ্যানের সংখ্যা কম, পুরনোগুলো আবার শব্দ করে এবং বাতাস কম দেয়। তীব্র গরমে ল্যাবে প্রবেশ করলেই ঘেমে একাকার হতে হয়। বিশেষ করে কটন ল্যাব, ইয়ার্ণ ম্যানুফ্যাকচারিং, উইভিং প্রিপেটোরি প্রসেস ল্যাব, এপারেল ল্যাব ও কেমিস্ট্রি ল্যাবে পরিস্থিতি ভয়াবহ। নতুন কেমিস্ট্রি ল্যাব নির্মাণ হলেও সেখানে এসি তো নেইই, লাগানো হয়েছে পুরনো ফ্যান, যা শিক্ষার্থীদের কাছে দৃষ্টিকটূ মনে হয়। ফাইবার টেস্টিং ল্যাবে ১৯টি ফ্যান থাকলেও সক্রিয় মাত্র ১৬টি। কিছু ফ্যানের স্পিড এত কম যে ব্যবহারযোগ্য নয়। মেশিন শপ প্র্যাকটিস ল্যাবেও পর্যাপ্ত ফ্যানের অভাব রয়েছে। ফলে গ্রীষ্মকালে ল্যাবে শিক্ষক-শিক্ষার্থী উভয়ই চরম ভোগান্তির শিকার হন। টিএমডিএম-৪৮ ব্যাচের শিক্ষার্থী এম.কে তাসিন বলেন, “এপারেল ল্যাবের ফ্যানগুলো পুরনো, স্পিড কমে গেছে, শব্দ হয়। এতে শিক্ষকদের কথা শোনা যায় না। এসি থাকলে পড়াশোনার পরিবেশ অনেক ভালো হতো।” ফেব্রিক-৪৯ ব্যাচের মোহাম্মদ ফাহিম জানান, “ল্যাবে দাঁড়িয়ে কাজ করার সময় প্রচণ্ড ঘেমে যাই, যা খুব অস্বস্তিকর। পুরনো ফ্যান যেকোনো সময় খুলে পড়তে পারে। দ্রুত সমাধান চাই।” আরেক শিক্ষার্থী আশিক আনোয়ার বলেন, “ক্লাস শেষে সরাসরি ল্যাবে যেতে হয়, কিন্তু ফ্যানের অভাব শিক্ষার্থীদের অস্থির করে তোলে। বিশেষ করে কটন ল্যাব ও ফাইবার টেস্টিং ল্যাবে সমস্যা বেশি।” এ বিষয়ে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, শিক্ষার্থীদের অভিযোগ তারা গুরুত্বসহকারে বিবেচনা করছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের ল্যাবগুলোতে শিগগিরই ফ্যানসহ অন্যান্য অবকাঠামোগত সমস্যার সমাধানে পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
|
পূর্ববর্তী সংবাদ | পরবর্তী সংবাদ |