ড্রোনের কারণে ডেনমার্কে একাধিক বিমানবন্দর সাময়িক বন্ধ, হাইব্রিড আক্রমণের আশঙ্কা
নতুন সময় প্রতিবেদক
|
![]() ড্রোনের কারণে ডেনমার্কে একাধিক বিমানবন্দর সাময়িক বন্ধ, হাইব্রিড আক্রমণের আশঙ্কা গত বুধবার স্থানীয় সময় রাত ৯টা ৪৪ মিনিটে প্রথম ড্রোন দেখা যায় উত্তরাঞ্চলের আলবর্গ বিমানবন্দরের আকাশে। সবুজ আলো বিচ্ছুরণকারী ড্রোনটির উপস্থিতির পরপরই বিমানবন্দরটির কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া হয়। একই সময়ে বিলুন্ড, এসবার্গ, সন্ডারবর্গ এবং স্ক্রাইডস্ট্রুপ বিমানবন্দরেও ড্রোন ওড়ার খবর আসে। এর আগে সোমবার কোপেনহেগেন বিমানবন্দরেও একই রকম ড্রোনের উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়, যার ফলে সেদিনও সাময়িকভাবে বিমান চলাচল স্থগিত করা হয়েছিল। ডেনমার্কের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ট্রোয়েলস লুন্ড পলসেন এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, এসব ঘটনা একটি পরিকল্পিত “হাইব্রিড আক্রমণের” অংশ হতে পারে। তবে তিনি জানান, ড্রোনগুলো স্থানীয়ভাবেই ওড়ানো হয়েছে এবং এখন পর্যন্ত রাশিয়ার সরাসরি সম্পৃক্ততার কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি। তবে ডেনমার্কের প্রধানমন্ত্রী মেটে ফ্রেডেরিকসেন সতর্ক করে বলেন, রাশিয়ার সম্পৃক্ততার সম্ভাবনাকে একেবারে উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। তিনি এটিকে ডেনমার্কের অবকাঠামোর ওপর এখন পর্যন্ত সবচেয়ে গুরুতর হামলা বলে মন্তব্য করেন। ডেনিশ পুলিশ জানিয়েছে, ড্রোনগুলো সাধারণ মানুষের জন্য সরাসরি বিপদ না তৈরি করলেও, উড়োজাহাজের উড্ডয়ন ও অবতরণের সময় সংঘর্ষের ঝুঁকি তৈরি হয়। নিরাপত্তার স্বার্থে একাধিক ফ্লাইট বাতিল বা বিকল্প রুটে পাঠানো হয়েছে। আলবর্গ ও স্ক্রাইডস্ট্রুপ দুটি বিমানবন্দরই সামরিক ঘাঁটি হিসেবে ব্যবহৃত হওয়ায় সেনাবাহিনীর কার্যক্রমেও প্রভাব পড়েছে। ড্রোনগুলো গুলি করে নামানো হয়নি জনবহুল এলাকার নিরাপত্তার কথা বিবেচনায় রেখে। তবে পুলিশ জানিয়েছে, সুযোগ পেলে সেগুলো নামানোর প্রস্তুতি তাদের রয়েছে। এদিকে রাশিয়ার কোপেনহেগেন দূতাবাস এই অভিযোগকে “ভিত্তিহীন এবং সাজানো উসকানি” বলে অভিহিত করেছে। ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভও এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। সম্প্রতি ইউরোপের একাধিক দেশ- including এস্তোনিয়া, পোল্যান্ড, রোমানিয়া, জার্মানি ও সুইডেন- তাদের আকাশসীমায় রুশ ড্রোন বা যুদ্ধবিমান অনুপ্রবেশের অভিযোগ তুলেছে। এরই ধারাবাহিকতায় ডেনমার্কে এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি ইউরোপজুড়ে নিরাপত্তা নিয়ে নতুন উদ্বেগ তৈরি করেছে। পরিস্থিতি বিবেচনায় আগামী শুক্রবার ইউরোপীয় ইউনিয়নের একটি জরুরি বৈঠকে ড্রোন প্রতিরোধে সম্মিলিত কৌশল নির্ধারণের বিষয়ে আলোচনা হবে বলে জানিয়েছেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী পলসেন। এর আগে ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন ডার লিয়েন একটি ড্রোন প্রাচীর (Drone Wall) তৈরির আহ্বান জানান, যার উদ্দেশ্য হবে ইউরোপীয় আকাশপথে শত্রু ড্রোন প্রতিরোধে সমন্বিত প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা গড়ে তোলা।
|
পূর্ববর্তী সংবাদ | পরবর্তী সংবাদ |