মানিকগঞ্জের শিবালয়ে ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যূথানে খুনি হাসিনা সরকারের গুলি ও নির্যাতনে আহত ও শহীদদের স্বরণে তাঁদের পরিবারের সদস্যদের উপস্থিতিতে স্মরণে স্মরণসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) সকাল ১১টায় শিবালয় উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে উপজেলা প্রশাসন এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. বেলাল হোসেনের সভাপতিত্বে স্মরণ সভায় বক্তব্য রাখেন,শিবালয় সহকারী কমিশনার ভুমি এস এম ফয়েজ উদ্দিন, শিবালয় থানা অফিসার-ইনচার্জ মো. এ আর এম আল মামুন, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল মানিকগঞ্জ জেলা শাখার যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক সত্যেন কান্ত পন্ডিত ভজন,শিবালয় উপজেলা শাখার সভাপতি মো. রহমত আলী লাবলু বেপারী, সাধারণ সম্পাদক মো. মিজানুর রহমান লিটন, সাংগঠনিক সম্পাদক মো.নাসির উদ্দিন, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলাম শিবালয় থানা শাখার আমির মোহাম্মদ হাতেম আলী, ইসলামী আন্দোলন মানিকগঞ্জ জেলা শাখার সভাপতি হাফেজ মো. শহিদুল্লাহ, খেলাফত মজলিস শিবালয় উপজেলা শাখার সহ-সভাপতি মুফতী আব্দুল কুদ্দুস, উলাইল ইননিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আনিসুর রহমান, উপজেলা পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা মো. রুবেল মিয়া, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিবালয় উপজেলার ছাত্র প্রতিনিধি মো.নাহিদুর রহমান নাহিদ, মো. সাঈদ মাহমুদ হোসাইন হীরা ও মো. কামরুল হাসান প্রমুখ।
উক্ত অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, জুলাই-আগস্টের ছাত্র-জনতার গণআন্দোলনের বিরোধীতা করে যারা হত্যাযজ্ঞে মেতে উঠেছিল হাজার হাজার ছাত্র-জনতাকে আহত করেছে তাদেরকে ধরা হচ্ছে না কেন? তারা এখনও বিরদর্পে প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে। অবিলম্বে খুনি হাসিনা সরকারের দোসরদেরকে গ্রেপ্তার করার দাবী জানান।
উক্ত আন্দোলনে শহীদ রফিকের বাবা রইজ উদ্দিন কান্নাজরিত কণ্ঠে আক্ষেপ করে বলেন, আমার ছেলের হত্যার সাথে যারা জড়িত দীর্ঘ সময় পার হলেও তাদেরকে ধরা হচ্ছে না। খুনিরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে। এতে আমি এবং আমার পরিবার মারাত্মাক হুমকিতে আছি। এমতাবস্থায় আমি পরিবার পরিজন নিয়ে চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।ছেলের খুনিদেরকে অবিলম্বে গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় এনে বিচারের দাবী জানান তিনি।
এছাড়া জুলাই-আগস্টের ছাত্র-জনতার গণআন্দোলনে শহীদদের স্বরণে শিবালয়ে একটি স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণের দাবী জানান বক্তারা। এসময় ছাত্র-জনতার গণ-অভূত্থানে শহীদদের স্বরণে দাড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।