রাষ্ট্রপতিকে অপসারণ না করা জনগণের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা: ফরহাদ মজহার
নতুন সময় ডেস্ক
|
জুলাই বিপ্লবের মধ্য দিয়ে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগপত্র নিয়ে মন্তব্য করে নতুন বিতর্কের জন্ম দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। তার এমন মন্তব্যে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে দূরত্ব প্রকাশ্যে চলে এসেছে। যদিও গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় রাষ্ট্রপতির পক্ষ থেকে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি না করার আহ্বান জানানো হয়েছে। তারপরও শেখ হাসিনার পদত্যাগপত্র প্রশ্নে বিতর্ক থামছে না। মানবজমিন পত্রিকার প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরীকে দেওয়া এক বিশেষ সাক্ষাৎকারে রাষ্ট্রপতি বলেছেন, ‘তিনি শুনেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করেছেন, কিন্তু তার কাছে এ-সংক্রান্ত কোনো দালিলিক প্রমাণ বা নথিপত্র নেই। রাষ্ট্রপতির এমন মন্তব্যের পর দেশজুড়ে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের মধ্যে প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নানা আলোচনা চলতে থাকে। তবে শেখ হাসিনার পদত্যাগপত্র নিয়ে চলমান এই বির্তকের জন্য অন্তর্বর্তী সরকারকেই দায়ী করেছেন বিশিষ্ট রাজনীতিক বিশ্লেষক ও লেখক ফরহাদ মাজহার। তিনি বলছেন, রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনকে এতদিনেও অপসারণ না করাটা জনগণের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা। তাকে অনেক আগেই অপসারণ করা উচিত ছিল। সোমবার (২১ অক্টোবর) যুগান্তরকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেন তিনি। এ সময় তিনি আরও বলেন, গণ-আন্দোলনের পর জনগণের অভিপ্রায়ের ফল হিসেবে এ সরকার দায়িত্ব নিয়েছে। কিন্তু সরকার জনগণের সেই অভিপ্রায়কে ফল আকারে প্রকাশ করে নি। রাজনৈতিক বা আইনগত কোনো ভাবেই করেনি তারা। তারা ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার সংবিধানের মধ্যে ডুবে গেছেন। যার ফলে একটা দ্বন্দ্বের তৈরি হয়েছে। আর এ দ্বন্দ্ব এই সরকারকে অনেক দুর্বল করে দিয়েছে। যার ফলে একটার পর একটা ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে সরকারকে নিয়ে। এই ষড়যন্ত্র আগামীতে আরও বাড়বে। ফরহাদ মাজার বলেন, আমি মনে এই সিদ্ধান্তটা মারাত্মক ভুল হয়েছে। এই সরকারে উচিত অবিলম্বে এটাকে সংশোধন করা। |
� পূর্ববর্তী সংবাদ | পরবর্তী সংবাদ � |