বাগমারায় শিক্ষকদের মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান
নতুন সময় প্রতিনিধি
|
বৈষম্য দুরীকরনের মাধ্যমে মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলো জাতীয় করনের চার দফা দাবীতে মানববন্ধন করেছে রাজশাহীর বাগমারায় বে-সরকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা। মঙ্গলবার সেপ্টেম্বর সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের সামনে মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষকগন মানববন্ধন করেন এবং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মাধ্যমে মাননীয় শিক্ষা উপদেষ্টা বরাবর স্বারকলিপি প্রদান করেন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার দপ্তরের স্বারক লিপি সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন নানা ভাবে নির্যাতের পর গত ৫ আগষ্ট বৈষম্য বিরোধী ছাত্র ও সাধারন জনতার আন্দোলনের মুখে ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হয়। দেশ ব্যাপী বৈষম্য দুরীকরনের জন্য বৈষম্য বিরোধী আন্দোলন করা হয়। বৈষম্য বিরোধী আন্দোলন ছাত্র, জনতা সফলতা লাভ করলেও বে-সরকারী শিক্ষকেরা কেন লাভবান হবে না এমন প্রশ্ন তোলেন মানববন্ধনে অংশ গ্রহনকারী শিক্ষকেরা। সরকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের যে সকল সুযোগ সুবিধা দেয়া হয়ে থাকে তা বে-সরকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের সে ধরনের সুযোগ সুবিধা দেয়া হয় না। তাই দেশের শিক্ষা ব্যবস্থাসহ সকল ক্ষেত্রে বৈষম্য দুরীকরনের দাবী জানানো হয়। মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, দেশে মাধ্যমিক স্তরে ৯৭% বে-সরকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। যে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলো জাতী গঠনের মূখ্য ভুমিকা পালন করে থাকেন। অথচ বে-সরকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলো সরকারী করন না করে সরকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলোর সাথে ব্যাপক বৈষম্য করে রেখেছেন। যার কারনে শিক্ষার গুনগত মান উন্নয়নে ব্যাপক ব্যাঘাতের সৃষ্টি হয়। শিক্ষার গুনগত মান উন্নয়নে সকল ষ্টেকহোল্ডারদের প্রানের দাবী মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষা জাতীয় করনের দাবী। শিক্ষা বিভাগের দুইটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো একাডেমিক ও প্রশাসনিক। শিক্ষকেরা একাডেমিক কাজে দক্ষ হলেও প্রশাসনিক কাজে অনেকটাই দুর্বল থাকে। শিক্ষকতা ও প্রশাসনিক ভিন্ন চরিত্রের, ভিন্ন বৈষষ্ট্যের। যার কারনে তাদের তাদের কাজের ধরনো আলাদা আলাদা হয়ে থাকে। যার জন্য সরকারী ও বে-সরকারী শিক্ষকদের মধ্যে অনেক দফাত সৃষ্টি হয়েছে। ক্লাসে সরকারী ও বে-সরকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে একই ধরনের বই পড়ানো হলেও সরকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা অনেকটাই বেসরকারী শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের চেয়ে এগিয়ে থাকে। যার জন্য শিক্ষা খাতে বৈষম্য দুরীকরনের জন্য মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলো জাতীয় করন করা একান্ত প্রয়োজন বলে মনে করেন শিক্ষকেরা। বক্তারা আরো বলেন, শিক্ষার মাঠ প্রশাসনে ১০-২২ বছরের দক্ষ, অভিজ্ঞ ও প্রশিক্ষিত সেসিপের ১১৮৭টি পদ জনবলসহ রাজস্ব খাতে স্থানান্তরের অসমাপ্ত কাজ গুলো দ্রুত সম্পাদনের দাবী জানান। সরকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সাথে তুলনা করে বে-সরকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকেরা বলেন, মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলো নানা ভাবে জর্জরিত রয়েছে। স্কুল, মাদ্রাসা, সরকারী, বেসরকারী এ ধরনের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলোর মধ্যে ব্যাপক বৈষম্য রয়েছে। বক্তারা অবিলম্বে সে গুলো পরিবর্তনের মাধ্যমে মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার পরিবেশ ফিরিয়ে এনে শিক্ষা সংস্কার কমিশন গঠনের দাবী জানান। মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষক কল্যান সমিতির সভাপতি আসাদুল ইসলাম সান্টু, সাধারন সম্পাদক মজনু মোহাম্মদ, সাংগঠনিক সম্পাদক শহীদুল ইসলাম, বাড়িগ্রাম মাদ্রাসার সুপারিনটেনডেন্টসহ উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকবৃন্দ।
|
� পূর্ববর্তী সংবাদ | পরবর্তী সংবাদ � |