প্রথম বিবাহবার্ষিকীতে জানুন, কীভাবে প্রেমে পড়েছিলেন আয়মান–মুনজেরিন!
নতুন সময় প্রতিবেদক
|
তারকা জগতের কেউ না হলেও ২০২৩ সালের সবচেয়ে আলোচিত বিয়ে ছিল ‘টেন মিনিট স্কুল’-এর প্রতিষ্ঠাতা আয়মান সাদিক ও একই প্রতিষ্ঠানের জনপ্রিয় ইংরেজি শিক্ষিকা মুনজেরিন শহীদের। রোববার (১৫ সেপ্টেম্বর) এ জুটির প্রথম বিবাহবার্ষিকী। জনপ্রিয় এ শিক্ষক জুটির বিশেষ দিনে আসুন জেনে নিই, তাদের প্রেম জীবনের কিছু কথা। শিক্ষার্থী ও তরুণ সমাজে ব্যাপক জনপ্রিয় দুই সেলেব্রিটি আয়মান ও মুনজেরিন। তাদের প্রেমের সম্পর্ক নিয়ে কয়েক বছর ধরেই গুঞ্জন চলছিল মিডিয়ায়। সে গুঞ্জনকে সত্যিতে রূপ দিয়ে গত বছরের আজকের এ দিনে অর্থাৎ ১৫ সেপ্টেম্বর বিয়ের পিঁড়িতে বসেন আলোচিত এ জুটি। আয়মান ও মুনজেরিনের প্রেমটা কীভাবে শুরু হয়েছিল জানেন? এজন্য অবশ্য চলে যেতে হবে প্রায় ১০ বছর পেছনে। ২০১৪ সালে প্রথম দেখা হয় এ জুটির। প্রথম দেখাতেই কী প্রেমে পড়েছিলেন তারা? এমন প্রশ্নের উত্তরে সংবাদমাধ্যমে আয়মান একটু হেসেই বলেন, ওকে দেখে আমার ফার্স্ট ইম্প্রেসন ছিল অংক ভালো পারে না। তবে ইংরেজিতে দারুণ। আমি আবার ইংরেজি ভালো পারি না (হাসি)। একই প্রশ্ন মুনজেরিনকে ছুঁড়ে দিলে মুনজেরিন বলেন, ওকে প্রথম দেখে আমার মনে হয়েছিল, সব সময় এর মাথায় কিছু আইডিয়া চলছে। অনেক পরিশ্রমী ও মেধাবী। আর হ্যাঁ, অংক ভালো জানে (হাসি)। কীভাবে প্রেমে পড়লেন তারা? এমন প্রশ্নের উত্তরে আয়মান বলেন, আসলে তেমন কিছুই নয়। আমাদের ১০ বছরের জানাশোনা। একসঙ্গে টেন মিনিট স্কুল এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি। এ বিষয়ে নানা প্ল্যান নিয়ে প্রায়ই আমাদের আলাপ হয়। যা প্রেমের গুঞ্জন হয়ে ওঠে সবার কাছে। আয়মান আরও বলেন, প্রেমের গুঞ্জন আমার বাবা, মায়ের কাছেও চলে যায়। একদিন বাবা আমার মায়ের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেন। এরপর মা আমাকে বলেন, ‘আচ্ছা, তোর আর মুনজেরিনের কি বিয়ের পরিকল্পনা আছে?’ তখন মনে হয়েছে, বিষয়টা খারাপ হয় না। ‘সিম্পল, ক্ল্যাসিক আর শান্তিপ্রিয়’ মানুষকে জীবনসঙ্গী হিসেবে পাওয়ার সুযোগ হাতছাড়া করা যায় না। আরেকদিন বাবা আমাকে ফোন করে বলেন, ১৯ জুলাই সেনাকুঞ্জ খালি আছে(বিয়ের স্থানের জন্য)। তখনও আমার মুনজেরিনের সঙ্গে এ বিষয়ে কোনো আলাপ হয়নি। এরপর তো জানেনই, ২০২৩ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর রাজধানীর মিরপুর ডিওএইচএসের মসজিদে পরিবার ও আত্মীয় স্বজনের উপস্থিতিতে আমাদের বিয়ে হয়। বিয়ের ক্ষেত্রে আয়মানের কোন দিকটা বেশি টেনেছিল মুনজেরিনকে? এমন প্রশ্নের উত্তরে মুনজেরিন বলেন, আমি কোনো দিন দেখিনি শত্রুরও অমঙ্গল চেয়েছে আয়মান। ও সব সময় সবার ভালো চায়। নিজের সর্বোচ্চটা দিয়ে অন্যের পাশে থাকে। এটাই ওর প্রতি আমাকে দুর্বল করেছিল। কুমিল্লায় জন্ম নেয়া আয়মান সাদিক একজন বাংলাদেশি শিক্ষা উদ্যোক্তা এবং ইন্টারনেট ব্যক্তিত্ব। তিনি ২০১৫ সালে ‘টেন মিনিট স্কুল’ প্রতিষ্ঠা করেন। এটা এমন এক প্রতিষ্ঠান, যা অনলাইনে শিক্ষা বিষয়ক বিভিন্ন তথ্য এবং সহযোগিতা বিনামূল্যে দিয়ে থাকে। এই প্রতিষ্ঠান মূলত ইংরেজি, গণিত এবং বিজ্ঞানের নানা বিষয়, যা একাডেমিক সিলেবাসের আওতাভুক্ত এবং বিভিন্ন বিষয়ের ওপর দক্ষতা কীভাবে বাড়ানো যায়, তা নিয়ে ভিডিও তৈরি করে। আয়মান সাদিক ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইবিএর ছাত্র। অন্যদিকে মুনজেরিন শহীদের জন্ম চট্টগ্রামে। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগ থেকে স্নাতকোত্তরে প্রথম শ্রেণিতে প্রথম স্থান অর্জন করেছিলেন। এখন তিনি বিশ্বের অন্যতম সেরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শতভাগ বৃত্তি নিয়ে ইংরেজিতে দ্বিতীয় স্নাতকোত্তর করছেন।
|
� পূর্ববর্তী সংবাদ | পরবর্তী সংবাদ � |