ই-পেপার সোমবার ১৪ নভেম্বর ২০২২
ই-পেপার |  সদস্য হোন |  পডকাস্ট |  গুগলী |  ডিসকাউন্ট শপ
শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪ ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
ঠাকুরগাঁয়ে বাংলাদেশের শ্রেষ্ঠ প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ
মোঃ মামুন অর-রশীদ, ঠাকুরগাঁও
প্রকাশ: Sunday, 1 September, 2024, 10:39 PM

ঠাকুরগাঁয়ে বাংলাদেশের শ্রেষ্ঠ প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ

ঠাকুরগাঁয়ে বাংলাদেশের শ্রেষ্ঠ প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ

ভারত সীমান্তবর্তী ঠাকুরগাঁওয়ের হরিপুর উপজেলার অজপাড়াগাঁয়ে গড়ে ওঠা জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত চরভিটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এরফান আলীর বিরুদ্ধে প্রতারণাসহ নানা অভিযোগ উঠেছে।

স্থানীয়দের ভাষ্য, দেশসেরা হওয়া চরভিটা প্রাথমিক বিদ্যালয়টি স্থাপনের জন্য সরকারকে যে জমি রেজিস্ট্রি দেয়া হয়েছিল, সেখানে ২০০০ সালে স্কুল নির্মাণ করা হয়েছিল। স্কুলটি প্রাথমিক শিক্ষা অফিস থেকে সরেজমিনে পরিদর্শন করে ২০১১ সালে পাঠদানের অনুমোদন দিয়েছিল প্রাথমিক ও গণশিক্ষা অফিসের রংপুর বিভাগীয় কার্যালয়। ২০১৩ সালে প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণ হলে ২০১৪ সালে আওয়ামী লীগ নেতাদের অবৈধ মদদে ক্ষমতার জোরে স্কুলটি সরিয়ে নিজ জমিতে স্থাপন করে রাতারাতি প্রধান শিক্ষক হোন এরফান আলী।

তাদের অভিযোগ, এরফান স্কুলে যোগদানের পরের দিনই সহকারী শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ পেয়ে যান তার স্ত্রী সুরাইয়া পারভীন ও দুই বোন রেহেনা খাতুন এবং মিতালি পারভিন।

গ্রামের এক যুবকের অভিযোগ, ২০১৪ সালে স্কুলটি আগের জায়গা থেকে তুলে নিয়ে এসে নিজের জমিতে স্থাপন করেন এরফান। সে সময় তাকে (যুবক) শিক্ষকতার চাকরির কথা বলে সাত লাখ টাকা নেন এরফান আলী৷

জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, '২০১৪ সালে এরফান আলী যখন স্কুল আগের জায়গা থেকে খুলে নিয়ে তার নিজ জমিতে নিয়ে আসেন, তখন আমাকে তাদের সঙ্গে শিক্ষক হিসেবে যোগদানের প্রস্তাব দেন এবং আমার থেকে সাত লাখ টাকা নেন। তারপরও চাকরি দেননি। এখনও পুরো টাকা ফেরত দেননি তিনি।'

চাকরি প্রত্যাশী ওই যুবক বলেন, '২০১৪ সালের আগে এরফান আলী কোনো শিক্ষকতা করেননি। তিনি যে ২০০৮ সালে তার চাকরিতে যোগদান দেখাচ্ছেন, এটি সম্পূর্ণ মিথ্যা। ২০১৪ সালের আগে তার কোন স্কুল ছিল না।'

সম্প্রতি সংবাদকর্মীদের কাছে উল্লিখিত অভিযোগগুলো তুলে ধরে তদন্ত দাবি করেন স্কুলের তৎকালীন নিয়োগপ্রাপ্ত শিক্ষক ও শিক্ষকের চাকরিপ্রত্যাশী একাধিক যুবক এবং স্কুলের তৎকালীন সভাপতি খলিলুর রহমান।

গ্রামের একাধিক বাসিন্দা জানান, তৎকালীন সরকার কর্তৃক প্রত্যেক ওয়ার্ডে দুইটি করে প্রাথমিক বিদ্যালয় স্থাপন করার ঘোষণা আসে। সেই বাস্তবতায় গ্রামের শিশুদের মধ্যে শিক্ষার আলো ছড়াতে ২০০০-২০০১ সালের দিকে একটি প্রাথমিক বিদ্যালয় স্থাপনের সিদ্ধান্ত নেয় গ্রামবাসী। উল্লেখ যে, এই প্রতিষ্ঠানটি ২০১৯ সালে বাংলাদেশের শ্রেষ্ঠ প্রতিষ্ঠান নির্বাচিত হোন।

� পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ �







  সর্বশেষ সংবাদ  
  সর্বাধিক পঠিত  
এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ
সম্পাদক ও প্রকাশক: নাজমুল হক শ্যামল
দৈনিক নতুন সময়, গ্রীন ট্রেড পয়েন্ট, ৭ বীর উত্তম এ কে খন্দকার রোড, মহাখালী বা/এ, ঢাকা ১২১২।
ফোন: ৫৮৩১২৮৮৮, ০১৯৯৪ ৬৬৬০৮৯, ইমেইল: [email protected]
কপিরাইট © দৈনিক নতুন সময় সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত | Developed By: i2soft
DMCA.com Protection Status