এমপি আনারের বিরুদ্ধে স্বর্ণ-হুন্ডি-মাদক ও নারী পাচারের অভিযোগ
নতুন সময় ডেস্ক
|
ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনারের মরদেহ উদ্ধার করেছে ভারতের পুলিশ। আজ বুধবার সকালে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের বিধাননগরের নিউটাউন এলাকায় সঞ্জিভা গার্ডেন থেকে নিউটাউনের টেকনোসিটি থানার পুলিশ তার মরদেহ উদ্ধার করে। পুলিশের একটি সূত্র জানিয়েছে, যেদিন তিনি নিখোঁজ হয়েছেন সেদিনি তাকে খুন করা হয়েছ। হত্যার পর তার মরদেহ সরিয়ে ফেলার জন্য চেষ্টা করা হচ্ছিল এবং তার মোবাইলের লোকেশন বিভ্রান্ত করা হচ্ছিল। কিন্তু ঠিক কি কারণে এ হত্যাকাণ্ড তা নিয়ে দেখা দিয়েছে রহস্য। চোরাচালান বা অন্য কোনো অবৈধ কারবার নিয়ে বিরোধের জেরে তিনি ফাঁদে পড়েছিলেন কিনা– সেটি নিয়েও চলছে আলোচনা। এদিকে দেশের একটি গণমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, এমপি আজীমের বিরুদ্ধে স্বর্ণ চোরাচালান, হুন্ডি কারবার, মাদক ও নারী পাচারের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে। এক সময় তার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক পুলিশ সংস্থা ইন্টারপোলের রেড নোটিশ ছিল। তাই এপার-ওপারের চোরাচালানকেন্দ্রিক বিরোধের জেরে তিনি কোনো ফাঁদে পড়েছিলেন কিনা, তা নিয়ে তদন্ত চলছে। উল্লেখ্য, গত ১২ মে এমপি আজীম চিকিৎসার জন্য ভারতে যান। ওই দিন সকালে নিজের গাড়িতে তিনি একাই দর্শনার উদ্দেশে রওনা হন। বেলা ১১টার দিকে তিনি দর্শনা চেকপোস্ট পার হয়ে ভারতের গেদে স্টেশনে প্রবেশ করেন। সেখানে আনুষ্ঠানিকতা শেষে অল্প সময়ের মধ্যে ওপারের একটি ইঞ্জিনচালিত রিকশায় রওনা হন। এ সময় তার সঙ্গে একটি লাগেজ ছিল। তিনি চলে যাওয়ার পর চালক তরিকুল ইসলাম গাড়ি নিয়ে কালীগঞ্জে ফেরেন। এরপর ১৮ মে কলকাতার বরাহনগর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন গোপাল বিশ্বাস নামে স্থানীয় এক ব্যক্তি। তিনি মূলত স্বর্ণ কারবারি। জিডিতে তিনি উল্লেখ করেন, আজীমের সঙ্গে তার ২৫ বছরের পারিবারিক সম্পর্ক। ১২ মে সন্ধ্যা ৭টার দিকে আজীম তার কলকাতার মণ্ডলপাড়া লেনের বাড়িতে আসেন। তিনি কলকাতায় এসেছেন ডাক্তার দেখাতে। পরদিন দুপুর পৌনে ২টার দিকে ডাক্তার দেখানোর জন্য সেখান থেকে বের হন আজীম। যাওয়ার সময় তিনি (আজীম) বলে যান, দুপুরে খাবেন না। সন্ধ্যায় ফিরবেন। পরে তিনি কলকাতা পাবলিক স্কুলের সামনে এসে গাড়ি ডেকে দিয়ে চলে যান। জিডির তথ্য অনুযায়ী, সন্ধ্যায় গোপালের বাসায় ফেরেননি আজীম। হোয়াটসঅ্যাপ নম্বর থেকে গোপালকে একটি বার্তা পাঠিয়ে জানানো হয়, বিশেষ কাজে তিনি দিল্লি যাচ্ছেন। ১৫ মে আজীমের নম্বর থেকে হোয়াটসঅ্যাপে আরেকটি বার্তা আসে। তাতে তিনি দিল্লি পৌঁছার কথা জানিয়ে বলেন, ‘আমার সঙ্গে ভিআইপিরা আছেন, ফোন করার দরকার নেই।’ |
� পূর্ববর্তী সংবাদ | পরবর্তী সংবাদ � |