গঠনতন্ত্র বিরোধী বক্তব্য
বাগমারার এমপি কালামকে শোকজ নোটিশ
নতুন সময় প্রতিনিধি
|
দলের শীর্ষ নেতৃত্বকে কটাক্ষ ও শিষ্ঠাচারবহির্ভূত বক্তব্য প্রদানের জন্য রাজশাহী-৪ (বাগমারা) আসনের আওয়ামী লীগ দলীয় সংসদ সদস্য আবুল কালাম আজাদকে দলের পক্ষ থেকে শোকজ করা হয়েছে। আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া দলের সভাপতির পক্ষ থেকে শোকজ নোটিশটি পাঠিয়েছেন। নোটিশটি বৃহস্পতিবার আবুল কালাম আজাদ এমপি গ্রহণ করেছেন। নোটিশ গ্রহণ পরবর্তী ১৫ কার্য দিবসের মধ্যে দলের সভানেত্রীর কার্যালয় ধানমন্ডিতে যথাযথ নিয়ম মেনে জবাব প্রদানের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে তাকে। দলের শোকজ নোটিশে বলা হয়েছে, সাম্প্রতিক সময়ে আপনার দেওয়া বিভিন্ন বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে। এতে দলের ভাবমূর্তি মারাত্মকভাবে ক্ষুণ্ন হয়েছে। শিষ্টাচারবহির্ভূত আপনার প্রদত্ত এসব বক্তব্য কার্যত সংগঠনের শৃঙ্খলাবিরোধী এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী শাস্তিযোগ্য অপরাধ। নোটিশে আরও বলা হয়, আপনার বিরুদ্ধে কেন শাস্তিমূলক সাংগঠনিক ব্যবস্থাগ্রহণ করা হবে না, তার ব্যাখ্যাসহ লিখিত জবাব নোটিশ প্রাপ্তির পরবর্তী ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে দলের সভানেত্রীর রাজনৈতিক কার্যালয়ে পৌঁছাতে হবে। রাজশাহীর সংসদ সদস্য আবুল কালাম আজাদকে দেওয়া নোটিশটির কপি বৃহস্পতিবার রাতে নতুন সময়'র কাছে পৌঁছায়। গত ১৩ মার্চ বাগমারা উপজেলা আওয়ামী লীগের একটি সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে আবুল কালাম আজাদ এমপি দলের গঠনতন্ত্রের বিষয়ে গুরুতর প্রশ্ন তোলেন। কালাম এমপি বলেন, আমাদের নেত্রীও কিন্তু সবসময় সবলের পক্ষে থাকতে চান ও থাকেন। আমরা যারা সবল বা মেজরিটি আমরা যেদিকে যাব সেটাই আইন। শেখ হাসিনাও এই যে গত নির্বাচন করলেন, সেটাও কিন্তু গঠনতন্ত্র অনুযায়ী চলে না। গঠনতন্ত্রের বাইরেও অনেক কিছু প্রয়োজন হয়। বাগমারাতে আমরা প্রয়োজনতন্ত্র অনুযায়ী চলব। কালামের এই বক্তব্যটি সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপকভাবে ভাইরাল হয়। এ ব্যাপারে রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এবং বাগমারা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা অনিল কুমার সরকার বলেন, ‘দলের প্রধান এবং দলীয় গঠনতন্ত্র সম্পর্কে এমপি কালামের বক্তব্য চরম ঔদ্ধত্যপূর্ণ। এমন বক্তব্য দেওয়ার এখতিয়ার তার নেই।’ তিনি বলেন, ‘কালাম অগঠনতান্ত্রিক ভাবে বাগমারা উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতাদের অব্যাহতির সুপারিশ করেছেন। তিনি এটা করতে পারেন না। এসব বিষয় আমরা দলের হাইকমান্ডকে অবগত করেছি। আশা করছি, অচিরেই হাইকমান্ড তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেবে। অন্যদিকে এর আগেও গত ১ ফেব্রুয়ারি বাগমারা উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির আরেক সভায় আবুল কালাম আজাদ এমপি দলের গঠনতন্ত্র ও কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে নিয়ে বেফাঁস বক্তব্য প্রদান করেন। উল্লেখ্য গত ৭ জানুয়ারির নির্বাচনের আগে ও পরে কালামের বেপরোয়া সন্ত্রাসী বাহিনীর তাণ্ডব চলে বাগমারাজুড়ে। নির্বাচনী ট্রাইব্যুনাল তাকে ৯ বারের অধিক শোকজ করেন। নির্বাচন কমিশনের নির্দেশ কালামের বিরুদ্ধে আচরণবিধি ও শৃঙ্খলা ভঙ্গের দুটি মামলাও করা হয়। মামলাটি তদন্তাধীন রয়েছে। |
� পূর্ববর্তী সংবাদ | পরবর্তী সংবাদ � |