ই-পেপার সোমবার ১৪ নভেম্বর ২০২২
ই-পেপার |  সদস্য হোন |  পডকাস্ট |  গুগলী |  ডিসকাউন্ট শপ
বৃহস্পতিবার ২৮ নভেম্বর ২০২৪ ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
সুপার ও পেনিনসুলা স্টিলের স্থায়ী সম্পদ অধিগ্রহণ করবে এসএস স্টিল
নতুন সময় প্রতিবেদক
প্রকাশ: Monday, 27 November, 2023, 7:54 PM

সুপার ও পেনিনসুলা স্টিলের স্থায়ী সম্পদ অধিগ্রহণ করবে এসএস স্টিল

সুপার ও পেনিনসুলা স্টিলের স্থায়ী সম্পদ অধিগ্রহণ করবে এসএস স্টিল

পুঁজিবাজারে তালিকাভূক্ত স্টিল প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান এসএস স্টিল তার ব্যবসায়িক সম্প্রসারণের অংশ হিসেবে সুপার স্টিল ও পেনিনসুলা স্টিল মিলস লিমিটেডের স্থায়ী সম্পদ  অধিগ্রহণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

২২ বছরের পুরোনো এই প্রতিষ্ঠানটি চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের কদমরসুলে অবস্থিত পেনিসুলা ও সুপার স্টিল লিমিটেডে প্রায় ১৩০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করবে যার তথ্য সোমবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জকে জানিয়েছে।

স্থায়ী সম্পদের মধ্যে রয়েছে  ১৬৪ ডেসিমেল জমি ,ইস্পাত কাঠামোর শেড, ভবন, মূলধনী যন্ত্রপাতি এবং ইউটিলিটি সংযোগ। এতে কোম্পানিরি বছরে অতিরিক্ত ৬২,৪০০ টন উৎপাদন বাড়াবে এবং সমন্বিত বাৎসরিক উৎপাদন  ক্ষমতা  প্রায়  ৪৪২,৮০০ টন এমএস রড-এ পৌঁছাবে।

ডিএসইকে দেয়া প্রতিষ্ঠানটির বিবৃতি মতে, এই কৌশলগত বিনিয়োগের অর্থ কোম্পানির নিজস্ব আয় এবং আংশিকভাবে আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও ব্যাংক থেকে নেওয়া হবে।

২০০১ সালে যাত্রা শুরু করা এসএস স্টিল তাদের কাঁচামাল স্ক্র্যাপ থেকে এমএস বিলেট ও এমএস রড তৈরি করে। বছরের পর বছর ধরে কোম্পানিটির পণ্য অনেক বড় বড় গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা ও অবকাঠামো তৈরিতে পছন্দের তালিকায় শীর্ষস্থানে আছে।

সুপার ও পেনিনসুলা স্টিলের স্থায়ী সম্পদ অধিগ্রহণের মাধ্যমে মাত্র তিন বছরের মধ্যে এস এস স্টিল তাদের তৃতীয় স্টিল স্থাপনা কিনতে যাচ্ছে।

২০২০ সালের আগস্টে এসএস স্টিল চট্টগ্রামভিত্তিক সালেহ স্টিল  ইন্ডাস্ট্রিজ এবং ২০২২ সালের মার্চে নারায়ণগঞ্জভিত্তিক আল ফালাহ স্টিল ও রি-রোলিং মিল অধিগ্রহণ করে।

এএস স্টিল লিমিটেডের চেয়ারম্যান জাভেদ অপগেনহেপেন বলেন,‘‘আমাদের টেকসই ব্যবসার অংশ হিসেবে আমরা আমাদের উৎপাদন সক্ষমতা বাড়ানোর দিকে নজর দিচ্ছি। এক্ষেত্রে সুপার ও পেনিনসুলা স্টিল লিমিটেডকে সঠিক পছন্দ হিসেবে বিবেচনা করছি, কারণ এদের কারখানার কাঠামো ইতিমধ্যে তৈরি আছে এবং এদের সম্ভাবনাও অনেক বেশি।সে কারণে আমাদের পরিচালনা পর্ষদ প্রতিষ্ঠান দুটির স্থায়ী সম্পদ এবং পরিচলন ক্ষমতা অধিগ্রহণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।”

‘আশা করি এ উদ্যোগ আমাদের প্রতিযোগিতা সক্ষমতাও বাড়াবে, কারণ আমরা দ্রুত এটিকে চালু করতে সক্ষম হবো এবং আমাদের কোম্পানি ও ক্রেতাদের জন্য মূল্য সংযোজন করতে পারব।”

সাম্প্রতিক সময়ে স্টিল উৎপাদক প্রতিষ্ঠানগুলো আধুনিক প্রযুক্তি সংযোজনের মাধ্যমে তাদের কারখানাগুলোর উৎপাদন সক্ষমতা বাড়ানোর দিকে বেশ মনোযোগি। বহু মেগা প্রকল্পের বাস্তবায়ন, অর্থনৈতিক অঞ্চলের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড এবং গ্রামীণ অঞ্চলে প্রবাসীদের বাড়ি নির্মাণের পরিমাণ বেড়ে যাওয়ায় দেশের স্টিল খাতের বিস্তার ও বিকাশ দিন দিন বাড়ছে।

রাজধানীর অদুরে টঙ্গীতে অবস্থিত কারখানাটি তার উৎপাদিত পণ্য স্বনামধন্য ব্র্যান্ড এএস টাইগার বি৪০০ ডিডব্লিউআর/৬০জি টিএমটি বার এবং এএস টাইগার বি৫০০ সিডব্লিউআর টিএমটি বার নামে বাজারজাত করে।

এএস স্টিল এবং এর সহযোগি স্টিল উৎপাদক প্রতিষ্ঠানগুলোর সব ইউনিট মিলে বার্ষিক টার্নওভার প্রায় ২১৫০ কোটি টাকা। আগামি অর্থ বছরে এটি ৩০০০ কোটি টাকায় পৌছাবে বলে আশা করা হচ্ছে।

বর্তমানে দেশে ৪০টি আধুনিক ও ১৫০টি সনাতন কারখানা স্টিল উৎপাদন করে। বাংলাদেশে এখন মাথাপিছু স্টিল ব্যবহারের পরিমাণ ৪৫ কেজি। ২০৩০ সাল নাগাদ মাথাপিছু স্টিল ব্যবহারের পরিমাণ ১০০ কেজি পেরিয়ে যাবে বলে ধারণা এ খাত সংশ্লিষ্টদের।

� পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ �







  সর্বশেষ সংবাদ  
  সর্বাধিক পঠিত  
এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ
সম্পাদক ও প্রকাশক: নাজমুল হক শ্যামল
দৈনিক নতুন সময়, গ্রীন ট্রেড পয়েন্ট, ৭ বীর উত্তম এ কে খন্দকার রোড, মহাখালী বা/এ, ঢাকা ১২১২।
ফোন: ৫৮৩১২৮৮৮, ০১৯৯৪ ৬৬৬০৮৯, ইমেইল: [email protected]
কপিরাইট © দৈনিক নতুন সময় সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত | Developed By: i2soft
DMCA.com Protection Status