তিন ক্যাটাগরিতে বেতন বাড়ছে নারী ফুটবলারদের, সর্বোচ্চ ৫০ হাজার সর্বনিম্ন ৩০ হাজার
নতুন সময় ডেস্ক
|
আর বেশি দিন অপেক্ষা নয়, সহসাই বর্ধিত বেতন পেতে থাকবেন নারী জাতীয় দলের ফুটবলাররা। মেয়েদের বেতন বাড়ানোর দাবি পূরণের কাজ প্রায় গুছিয়ে এনেছে বাফুফে। আগামী কয়েক দিনের মধ্যে আনুষ্ঠানিকভাবে সে ঘোষণা দিতে পারবে বলে জানিয়েছেন সভাপতি কাজী মো. সালাউদ্দিন, ‘মেয়েদের বেতন ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধির কাজ প্রায় শেষ। আগামী কয়েক দিনের মধ্যে সেটা আমরা জানিয়ে দিতে পারবো।’ বর্তমানে নারী ফুটবলারদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ২০ হাজার টাকা বেতন পান অধিনায়ক সাবিনা খাতুন। বাকিরা ১০ হাজার টাকা করে। নতুন বেতন কাঠামো তৈরি করা হচ্ছে ৩ ক্যাটাগরিতে। জাতীয় দলের মেয়েরা ‘এ’, ‘বি’ ও ‘সি’ এই তিন ক্যাটাগরিতে বেতন পাবেন। মেয়েদের সঙ্গে বাফুফের একটা চুক্তিও থাকবে। যে চুক্তিতে বেতন, অন্যান্য সুযোগ-সুবিধার কথা যেমন উল্লেখ থাকবে, তেমন থাকবে নারী ফুটবলারদের আচরণবিধিও। ‘এখন আমরা শুধু জাতীয় দলের মেয়েদের বেতন বৃদ্ধি করতে যাচ্ছি। ওরা তিন ক্যাটাগরিতে বেতন পাবে। জুনিয়র যারা যেভাবে পাচ্ছে তারা আপাতত সেভাবেই পাবে। ওদের বেতন কাঠামো নিয়ে পরে কাজ করবো’ -বলছিলেন বাফুফে সভাপতি কাজী মো. সালাউদ্দিন। জাতীয় দলের মেয়েদের সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন বেতন কত হতে পারে? বাফুফে সভাপতি বলেছেন, ‘আমরা যেটা খসড়া করেছি তাতে ওদের বেতন হবে সর্বোচ্চ ৫০ হাজার টাকা এবং সর্বনিম্ন ৩০ হাজার টাকা। এটা শুধু জাতীয় দলের মেয়েদের জন্য।’ সাফ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর জাতীয় দলের মেয়েরা তাদের বেতন ৫০ হাজার টাকা করার দাবিই করেছিলেন বাফুফে সভাপতির কাছে। বর্তমানে অন্যদের চেয়ে বেশি বেতন পাচ্ছেন অধিনায়ক সাবিনা খাতুন। নতুন চুক্তিতে সাবিনার সমান সর্বোচ্চ বেতন পাবেন আরো কয়েকজন ফুটবলার। ‘এ’ ক্যাটাগরিতে ঠিক কতজন ফুটবলার সর্বোচ্চ বেতন পাবেন তা এখনো ঠিক করেনি বাফুফে। আগামী তিন থেকে চারদিনের মধ্যে সবকিছু চূড়ান্ত হয়ে যাবে। সাফ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর নারী ফুটবলাররা শৃঙ্খলাভঙ্গের মতো কাজও করেছেন। তারা একবার অনুশীলন বর্জনও করেছেন। নেপালের বিপক্ষে দুই ম্যাচ সিরিজের পর ছুটি দেওয়া হয়েছিল। সেই ছুটিতে বাফুফেকে না জানিয়ে ৮ ফুটবলার ঢাকার বাইরে খেলতে গিয়েছিলেন। ছুটিতে যাওয়ার আগে মেয়েরা বাফুফে সভাপতির কাছে লিখিতভাবে দাবি-দাওয়ার বিষয়টি জানিয়ে গিয়েছিলেন। দাবি পূরণ না হলে তারা ক্যাম্পে নাও ফিরতে পারে-এমন কথা শোনা গিয়েছিল। এ সব বিষয় বাফুফেকে বিব্রতও করেছে। ভবিষ্যতে নারী ফুটবলাররা যাতে পুরোপুরি শৃঙ্খলার মধ্যে থাকে সেজন্য বাফুফে কঠিন আচরণবিধিও তৈরি করছে। ‘চুক্তিপত্রের মধ্যে সবকিছুই থাকবে। শৃঙ্খলার যে কথাগুলো এসেছে, সেটা আমিও বুঝি। তাই সবকিছু লিখিত আকারেই থাকবে’-বলেছেন বাফুফে সভাপতি। জাতীয় দলের খেলোয়াড়রা ছাড়া বাফুফে ক্যাম্পের মেয়েদের বেতন দেওয়া হয় ৩ থেকে শুরু করে ৯ হাজার টাকা পর্যন্ত। তাদের বেতন নিয়েও কিছুদিন পর কাজ শুরু করবে বাফুফে। বেতন ছাড়াও মেয়েদের আরো কিছু দাবি-দাওয়া আছে। যেমন-বেশি বেশি ম্যাচ খেলা, ছেলেদের মতো সুযোগ-সুবিধা দেওয়া, উন্নতমানের বুট প্রদান, খাওয়া-দাওয়ার মান বাড়ানো। বাফুফে বেতন বৃদ্ধির পাশাপাশি এ সবকিছু নিয়েও কাজ করছে। নারী ফুটবলারদের বেতন কাঠামো এবং তাদের সঙ্গে চুক্তির খসড়া তৈরি করার পর তা উপস্থাপন করা হবে নির্বাহী কমিটির সভায়। বাফুফের নির্বাহী কমিটি অনুমোদন দিলেই নতুন কাঠামোয় বেতন পেতে শুরু করবেন সাবিনারা। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে সেপ্টেম্বর বা অক্টোবর থেকে বর্ধিত বেতন পেতে শুরু করতে পারেন জাতীয় নারী দলের ফুটবলারা। বেতন বাড়ার সুখবর নিয়েই হয়তো সাবিনা-কৃষ্ণারা চীনে যেতে পারবেন এশিয়ান গেমস খেলতে।
|
� পূর্ববর্তী সংবাদ | পরবর্তী সংবাদ � |