সাকিব আল হাসানের কাঁধে নেতৃত্ব দিয়ে প্রথমে ১৩ আগস্ট এশিয়া কাপের জন্য ১৭ সদস্যের দল ঘোষণা করে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। কিন্তু গত ৯ দিনে ইনজুরিতে পড়ে ও ইনজুরির ধকল কাটিয়ে উঠতে না পারায় সে তালিকা থেকে বাদ পড়েন একাধিক ক্রিকেটার। আবার নতুন করে সংযোজন করা হয়েছে অনেককে। শেষ পর্যন্ত যাদের নিয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতের পথ ধরবে বাংলাদেশ তাদের নিয়ে চূড়ান্ত স্কোয়াড প্রকাশ করা হলো।
আগামী ২৭ আগস্ট ছয় দল নিয়ে মাঠে গড়াবে এশিয়া কাপ। ৩০ আগস্ট নিজেদের প্রথম ম্যাচে আফগানিস্তানের বিপক্ষে মাঠে নামবে টাইগাররা। কিন্তু একের পর এক ইনজুরিতে মাঠে নামার আগেই বিপর্যস্ত লাল সবুজের প্রতিনিধিরা।
জিম্বাবুয়ে সিরিজে ইনজুরিতে পড়ে দল থেকে আগেই ছিটকে গেছেন ওপেনার লিটন দাস। একই সিরিজে ইনজুরিতে পড়া আরেক উইকেটরক্ষক ব্যাটার নুরুল হাসান সোহান ধকল কাটিয়ে না ওঠায় শেষদিকে ছিটকে গেছেন এশিয়া কাপ থেকে। ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজের শুরুতেই ইনজুরিতে পড়া ব্যাটার ইয়াসির আলী রাব্বির এশিয়া কাপে ফেরার কথা থাকলেও শেষ পর্যন্ত ফেরা হয়নি তার। তবে ধকল কাটিয়ে ফিরেছেন পেস বোলিং অলরাউন্ডার মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন।
এদিকে পেসার শরিফুল ইসলামের স্থলাভিষিক্ত হওয়া হাসান মাহমুদ প্রস্তুতির সময় চোট পেয়ে ছিটকে গেছেন স্কোয়াড থেকে। তবে তাদের অনুপস্থিতিতে দলে সুযোগ করে নিয়েছেন সুযোগের অপেক্ষায় থাকা বেশ কিছু ক্রিকেটার। তিন বছর পর জাতীয় দলের দরজা খুলেছে সাব্বির রহমানের জন্য। ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজে ব্যর্থ হলেও স্কোয়াডে নিজের জায়গা পাকাপোক্ত করেছেন এনামুল হক বিজয়। সাদা পোশাকের নিয়মিত বোলার এবাদতকেও রাখা হয়েছে সংক্ষিপ্ত সংস্করণে। ফিরেছেন ওপেনার নাঈম শেখ। নতুনদের মধ্যে সুযোগ দেয়া হয়েছে পারভেজ হোসেন ইমনকে।
এশিয়া কাপের বাংলাদেশ দলের চূড়ান্ত স্কোয়াড: সাকিব আল হাসান (অধিনায়ক) এনামুল হক বিজয়, মুশফিকুর রহিম, আফিফ হোসেন, মোসাদ্দেক হোসেন, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, শেখ মেহেদী, মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন, মুস্তাফিজুর রহমান, নাসুম আহমেদ, সাব্বির রহমান, মেহেদী হাসান মিরাজ, এবাদত হোসেন, পারভেজ ইমন, নাঈম শেখ এবং তাসকিন আহমেদ।