|
বিজিবি ও র্যাবের পৃথক অভিযানে বিপুল পরিমাণ ইয়াবা উদ্ধার
রফিক মাহমুদ, উখিয়া
|
![]() বিজিবি ও র্যাবের পৃথক অভিযানে বিপুল পরিমাণ ইয়াবা উদ্ধার বিজিবি সূত্রে জানা যায়, নাফ নদী ও তীরবর্তী এলাকায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বিশেষ অভিযান চালিয়ে বড় পরিমাণ ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। ২৩ নভেম্বর রাত আড়াইটার দিকে মিয়ানমার থেকে দুই ব্যক্তি নদী পার হয়ে বাংলাদেশে প্রবেশের চেষ্টা করেন। সীমান্তে টহলরত বিজিবি দল দ্রুত নৌযান নিয়ে অভিযান চালিয়ে নদীতে ফেলে রাখা ৫৭,৮০০ পিস ইয়াবা উদ্ধার করে। অভিযানের সময় মাদক কারবারীরা পানিতে পলিথিন প্যাকেট ফেলে পালিয়ে যায়। ২৪ নভেম্বর ভোর ৬টার দিকে টেকনাফ দমদমিয়া ও বড়ইতলী এলাকায় নৌকা তল্লাশিতে অভিযান চালিয়ে ১,৫০,০০০ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। অভিযানের সময় নৌকায় থাকা তিনজন মাদক কারবারী সাঁতরে মিয়ানমারে পালিয়ে যায়। আটক আসামীর মধ্যে রয়েছেন মোঃ হাকিম আলী (৫৪), যিনি মিয়ানমারের নাগরিক। এছাড়া পলাতক রয়েছেন মোঃ জালাল প্রকাশ লাল জালাল (২৫) সহ বেশ কয়েকজন। তারা টেকনাফ পৌর এলাকার বাসিন্দা। ২৫ নভেম্বর ভোর রাতে বিজিবি ৩৪ ব্যাটালিয়নের ঘুমধুম বিওপি সদস্যরা সীমান্তে অভিযান চালিয়ে ৫০,০০০ পিস ইয়াবা উদ্ধার করেছে। ইয়াবাগুলো মাটির নিচে লুকানো ছিল। এদিকে কক্সবাজারের টেকনাফ মিঠা পানির ছড়া এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করেছে র্যাব-১৫। অভিযানে ৯০ হাজার পিস ইয়াবাসহ দুইজন মাদককারবারীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২৫ নভেম্বর) সকালে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়। র্যাব জানায়, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে প্রাপ্ত তথ্যে অভিযানটি পরিচালিত হয়। অভিযানে ৯০ হাজার পিস ইয়াবা, ২টি বাটন ফোন উদ্ধার করা হয়। আটককৃত মাদক কারবারীদের মধ্যে রয়েছেন, টেকনাফ মিঠা পানির ছড়া এলাকর বাসিন্দা আব্দুর রহিমের ছেলে মোহম্মদ আব্দুল্লাহ (২৭) ও ছৈয়দ আহমদের স্ত্রী আনোয়ারা বেগম। টেকনাফ ২ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্ণেল আশিকুর রহমান বলেন, “সীমান্ত সুরক্ষা এবং মাদক ও মানব পাচারের বিরুদ্ধে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি আমাদের মূল লক্ষ্য। আমরা নিয়মিত ও কৌশলগত অভিযান চালিয়ে আসছি। ভবিষ্যতেও এই ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।” ৩৪ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্ণেল এস এম খায়রুল আলম বলেন, “গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। উদ্ধারকৃত মাদক আইন অনুযায়ী হস্তান্তর করা হয়েছে। আমাদের টিম সীমান্ত এলাকায় প্রতিনিয়ত নজরদারি চালাচ্ছে।” র্যাব-১৫ এর সহকারী পুলিশ সুপার ও সহকারী পরিচালক (ল’ এন্ড মিডিয়া অফিসার) আ. ম. ফারুক বলেন, “অভিযানটি গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে পরিচালিত হয়েছে। মাদক ও মানবপাচারের বিরুদ্ধে আমাদের কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে এবং সীমান্তে এই ধরনের অপরাধ দমনে আমরা সর্বদা সতর্ক রয়েছি।” বিজিবি ও র্যাবের অভিযানগুলো সীমান্তে মাদক ও মানবপাচার প্রতিরোধে একটি শক্তিশালী বার্তা দিয়েছে। অভিযান চলাকালীন আটক আসামী ও উদ্ধারকৃত মাদক আইনানুগভাবে হস্তান্তর করা হয়েছে। সীমান্ত এলাকায় এই ধরনের অপরাধ দমনে অভিযান অব্যাহত থাকবে। |
| পূর্ববর্তী সংবাদ | পরবর্তী সংবাদ |
