|
ধানের শীষের পক্ষে ব্যাপক গণসংযোগে জাকিয়া জিন্নাত বিথী
মোঃ মোবারক হোসেন, খাগড়াছড়ি
|
![]() ধানের শীষের পক্ষে ব্যাপক গণসংযোগে জাকিয়া জিন্নাত বিথী শিশু, তরুণী, প্রবীণ—সব বয়সী মানুষের উপস্থিতি যেন নির্বাচনী আবহকে আরও স্পষ্ট করে তুলেছে। এই প্রাণবন্ত গণসংযোগের নেতৃত্বে ছিলেন খাগড়াছড়ি জেলা বিএনপির উপদেষ্টা ও বিশিষ্ট নারী নেত্রী জাকিয়া জিন্নাত বিথী। সোমবার (২৪ নভেম্বর) দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত তিনি গোলাবাড়ি ইউনিয়নের উত্তরগঞ্জপাড়া, মারমা পাড়া ও আশপাশের কয়েকটি পাড়ায় ডোর-টু-ডোর প্রচারণায় অংশ নেন। তাঁর সঙ্গে ছিলেন জেলা মহিলা দলের শীর্ষ নারী নেত্রীদের শক্তিশালী উপস্থিতি। প্রচারণায় অংশ নেন— জেলা বিএনপির দপ্তর সম্পাদক মরিয়ম মনি, জেলা মহিলা দলের সভানেত্রী কুহেলি দেওয়ান, মহিলা দলের যুগ্ম সম্পাদিকা আকলিমা খানম, সাংগঠনিক সম্পাদিকা, তাসলিমা সিরাজ সীমা। এ ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন জেলা মহিলা দলের অন্যান্য সিনিয়র নেত্রী, স্থানীয় ইউনিটের নেতাকর্মী ও বিপুল সংখ্যক সমর্থক । তাদের উপস্থিতিতে প্রতিটি পাড়ায় সৃষ্টি হয় উৎসবমুখর পরিবেশ। রঙিন পোশাকে আসা নারীরা কেউ লিফলেট ধরেছেন, কেউ ব্যানার, কেউ বা পথ দেখিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন নেত্রীদের ঘরে ঘরে। অনেকে ধানের ছড়া হাতে নিয়ে ধানের শীষের প্রতীকের প্রতি সমর্থন জানাচ্ছেন, আবার অনেকেই উৎসাহের সঙ্গে নেত্রীর পাশে হাঁটছেন। জাকিয়া জিন্নাত বিথী ও দলের নেত্রীরা প্রতিটি বাড়ির উঠোনে গিয়ে নারী ভোটারদের সঙ্গে সরাসরি কথা বলেন। তারা বলেন— “বিএনপি সবসময় গণমানুষের রাজনীতিতে বিশ্বাসী, পাহাড়ে উন্নয়ন, শান্তি ও সম্প্রীতি বজায় রাখতে একটি অভিজ্ঞ ও যোগ্য নেতৃত্ব প্রয়োজন—যা জননেতা ওয়াদুদ ভূইয়া দীর্ঘদিন ধরে প্রমাণ করে আসছেন।” বাড়ির উঠোনে জড়ো হওয়া অনেক নারী নেত্রীদের হাতে লিফলেট নিয়ে প্রশ্ন করেন, উন্নয়ন ও নিরাপত্তা নিয়ে নিজেদের অভিজ্ঞতা শোনান। এই মানবিক ও সরাসরি সংলাপই ছিল প্রচারণার মূল শক্তি। গণসংযোগ জুড়ে নেত্রীরা অতীতের উন্নয়ন তুলে ধরে বলেন— খাগড়াছড়ির সড়ক যোগাযোগ উন্নয়নে ওয়াদুদ ভূইয়ার অবদান শিক্ষা-স্বাস্থ্যখাতে বিভিন্ন উদ্যোগ, পাহাড়ি-বাঙালি সম্প্রীতি রক্ষায় তাঁর সামঞ্জস্যপূর্ণ ভূমিকার কথা৷ স্থানীয় পর্যায়ে কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও জনসেবামূলক কার্যক্রমে নেত্রীরা জানান, বিএনপি সরকার ও ওয়াদুদ ভূইয়ার উন্নয়নকে আবারও এগিয়ে নিতে ধানের শীষের পক্ষে জনগণের সমর্থন প্রয়োজন। প্রচারণার সময় নারীরা বিভিন্ন সমস্যার কথা তুলে ধরেন—বাজারমূল্যের ঊর্ধ্বগতি কর্মসংস্থানের অভাব, পরিবার ও নারীর নিরাপত্তা, এলাকা-ভিত্তিক অবকাঠামো ঘাটতি, নেত্রীরা প্রতিটি কথা মনোযোগ দিয়ে শোনেন এবং সমাধানের আশ্বাস দেন। এলাকার মানুষ বলছেন— “নারী নেত্রীরা সরাসরি ঘরে ঘরে এসে কথা বলছেন—এটা আগে কখনো হয়নি। ভোটের পরিবেশ এবার আরও প্রাণবন্ত।” পথঘাটে মানুষের ভিড়, উৎসাহ নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকা শিশু-কিশোর, বিভিন্ন বয়সী নারীর অংশগ্রহণ—যা নির্বাচনী উত্তাপ বৃদ্ধির দৃশ্যমান প্রমাণ। গোলাবাড়ির গণসংযোগে পাহাড়ি নারীসহ বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ নজর কেড়েছে। নেত্রীরা বলেন—“খাগড়াছড়ির উন্নয়নের মূলভিত্তি সম্প্রীতি। পাহাড়ি-বাঙালি ঐক্য রক্ষা করতে পারলেই শান্তি, নিরাপত্তা ও উন্নয়ন নিশ্চিত হবে। বিএনপি সবসময় এই শান্তির রাজনীতিতেই বিশ্বাসী।” মারমা পাড়ায় গিয়ে নেত্রীরা স্থানীয় নারীদের সঙ্গে কথা বলেন, শুভেচ্ছা বিনিময় করেন এবং ধানের শীষের পক্ষে সমর্থন চান। গোলাবাড়ি ইউনিয়নের পাড়ামহল্লা ঘুরে দেখা গেছে—নির্বাচনী মাঠ এখন আরও গরম। নারী নেতৃত্বাধীন এই প্রচারণা শুধু রাজনীতি নয়, একটি সামাজিক সংযোগও তৈরি করছে। মানুষের মুখে একটি কথাই প্রতিধ্বনিত— “নির্বাচনে এবার নারী ভোটাররাই বড় ভূমিকা পালন করবে।” জাকিয়া জিন্নাত বিথীর নেতৃত্বে এই ডোর-টু-ডোর প্রচারণা খাগড়াছড়ির নির্বাচনী অঙ্গনে নতুন গতি যোগ করেছে—এটি বলাই যায়। |
| পূর্ববর্তী সংবাদ | পরবর্তী সংবাদ |
