শাহরুখ–পুত্রের সিরিজে বিতর্কিত চুম্বন দৃশ্য দিয়ে আলোচনায়, কে এই অভিনেত্রী
নতুন সময় ডেস্ক
|
![]() শাহরুখ–পুত্রের সিরিজে বিতর্কিত চুম্বন দৃশ্য দিয়ে আলোচনায়, কে এই অভিনেত্রী যশ রাজের নতুন মুখ থেকে হারিয়ে যাওয়া নায়িকা ২০১৬ সালে যশ রাজ ফিল্মস (ওয়াইআরএফ) তাঁকে নতুন মুখ হিসেবে পরিচয় করিয়ে দিয়েছিল। তিন ছবির চুক্তিতে সইও করানো হয়। ২০১৭ সালে আদার জৈনের বিপরীতে মুক্তি পায় তাঁর প্রথম ছবি ‘কয়েদি ব্যান্ড’। কিন্তু ছবিটি বক্স অফিসে মুখ থুবড়ে পড়ে। ফলে বাকি দুটি ছবি আর আলোর মুখ দেখেনি। ধীরে ধীরে অন্যা হয়ে ওঠেন প্রান্তিক চরিত্রের অভিনেত্রী। প্রায় এক দশক শিল্পে সক্রিয় থাকলেও তাঁকে দেখা গেছে ছোটখাটো ভূমিকায়—যেমন ‘খো গয়ে হাম কাহাঁ’ কিংবা সাম্প্রতিক ‘স্ত্রী ২’-এ। নতুন আলোয় অন্যা ‘দ্য ব্যা***ডস অব বলিউড’-এর সাফল্যের পর আবারও আলোচনায় এসেছেন তিনি। দর্শক-সমালোচকেরা বলছেন, অন্যা এবার নিজের অভিনয়প্রতিভা দিয়ে প্রমাণ করেছেন যে তিনি শুধু ব্যর্থ নায়িকার তকমায় আটকে থাকার মতো নন। সিরিজে নিজের অভিনয় এবং দর্শক প্রতিক্রিয়া নিয়ে অন্যা বলেন, ‘আমি অভিভূত। সবকিছুই এখন পর্যন্ত দারুণ। খুব ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া পাচ্ছি। অনেকে আমাকে চুম্বনের দৃশ্যটি নিয়ে প্রশ্ন করেছেন। মোটের ওপর দর্শকেরা বেশ মজা পেয়েছেন, হাসি পেয়েছে তাঁদের। আমি ভীষণ খুশি।’ দৃশ্যটি মজাচ্ছলে তুলে ধরা হলেও অভিনেত্রী মনে করেন, সংবেদনশীল বিষয় তুলে ধরার জন্য এটাই ভালো উপায়। তাঁর ভাষায়, ‘কমেডি অনেক সময় বার্তা পৌঁছে দেওয়ার সেরা মাধ্যম। সরাসরি বলা যায়, কিন্তু সেটা সেভাবে গ্রহণ হয় কি না, সন্দেহ আছে। হাস্যরসের ভেতর দিয়ে অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় সহজভাবে বলা যায়। এতে কারও ক্ষতি হয় না, আবার মানুষও ভালোভাবে গ্রহণ করে। এটা আসলে ব্যক্তিগত পছন্দ এবং সেই পছন্দকে সম্মান জানানো জরুরি।’ দৃশ্যের আগে নার্ভাস অন্যা সাক্ষাৎকারে এই তরুণ অভিনেত্রী স্বীকার করলেন, দৃশ্যটি শুট করার আগে তিনি বেশ নার্ভাস ছিলেন। কয়েকবার পরিচালক আরিয়ান খানকে জিজ্ঞেসও করেছেন, দৃশ্যটি আদৌ দরকারি কি না। অন্যা বলেন, ‘যেকোনো ঘনিষ্ঠ দৃশ্যই একজন অভিনেতার জন্য দারুণ নার্ভাস করার মতো ব্যাপার। যতবারই করবেন, প্রতিবারই একটা অস্বস্তি থাকে। সহশিল্পীরও আলাদা নার্ভাসনেস থাকে। সহশিল্পীর ভরসা তাঁর সহশিল্পী ছিলেন এক জুনিয়র আর্টিস্ট, যিনি আগে কখনো ক্যামেরার সামনে এমন দৃশ্যে কাজ করেননি। অন্যা স্মরণ করেন, ‘আমি ভীষণ ভয়ে ছিলাম, কিন্তু যখন দেখি সে কাঁপছে আমি বরং ওকে সামলাতে শুরু করি। সেই মুহূর্তে আমার ভয়টা কেটে যায়।’ নিরাপদ সেটে স্বস্তি অন্যা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন, সেটের নিরাপদ পরিবেশের জন্য। ‘যেকোনো সেটে এমন পরিবেশ থাকা জরুরি, যেখানে অভিনেতা নিরাপদ মনে করে কাজ করতে পারেন। সেটাই সবচেয়ে বড় বিষয়। আমরা সেটে খুব স্বচ্ছন্দে ছিলাম, তাই দৃশ্যটা ভালোভাবে করতে পেরেছি,’ বলেন তিনি। |
পূর্ববর্তী সংবাদ | পরবর্তী সংবাদ |