ভোলার চরফ্যাশন পৌরসভার সকল ময়লা আবর্জনা ভোলা-চরফ্যাশন আঞ্চলিক মহাসড়কের দুই পাশে ফেলা হচ্ছে। যার ফলে দিন দিন ময়লা আবর্জমুনার স্তুপ এখন ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে। পাশেই অবিস্থত আধুনিক সজ্জিত চরফ্যাশন বাসস্ট্যান্ড।
এতে বাসস্ট্যান্ডে প্রবেশের আগেই রাস্তার দুপাশে দেখা মেলে ময়লার স্তূপ। একাধিকবার চরফ্যাশন পৌর কর্তৃপক্ষের কাছে স্থানীয়রা ভাগাড়টি সরিয়ে নেওয়ার দাবি জানালেও কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। দুর্গন্ধে যানবাহনের চালক, যাত্রীসহ পথচারীরা রয়েছেন চরম দুর্ভোগে।
সরে জমিন ঘুরে দেখা যায়, চরফ্যাশন পৌরসভার ডাম্পিং স্টেশন নেই। ফলে শহরের ময়লা-আবর্জনা ফেলা হচ্ছে পৌরসভা ১ নম্বর ওয়ার্ড চরফ্যাশন বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন ব্যস্ততম সড়কের পাশেই। অনেকদিন ধরে ময়লা ফেলার ফলে সড়কের দুই পাশে এখন ময়লার ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, পৌরসভার নিজস্ব পরিবহনে ময়লা-আবর্জনা এনে সড়কের পাশে ফেলা হচ্ছে। ভাগাড়ের পাশ দিয়ে যেতেই দুর্গন্ধে যাত্রীরা নাক-মুখ চেপে রাখেন। দীর্ঘদিন ধরে দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন সড়ক দিয়ে চলাচলকারী পথচারী ও পরিবহন চালক-যাত্রীরা। স্থানীয় বাসিন্দাদের নাকে-মুখে হাত চেপে নিশ্বাস বন্ধ করে চলাচল করতে হচ্ছে। দুর্গন্ধ বাতাসের সঙ্গে ছড়িয়ে পড়ছে আশপাশের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও বসত বাড়িতে।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, ময়লার দুর্গন্ধের কারণে বাস্টস্ট্যান্ড এলাকায় থাকাই কষ্টসাধ্য। নাক মুখ চেপে চলাচল করতে হয়। দুর্গন্ধ হওয়ায় অসহ্য যন্ত্রণা ভোগ করছেন। সাবেক পৌর মেয়র মোর্শেদ এর কাছে ময়লার ভাগাড়টি এখান থেকে অন্য স্থানে সরিয়ে নেওয়ার দাবি জানিয়েছিল বহুবার। তিনিও কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি।
যাত্রীরা জানান, ময়লার ভাগাড়ের কাছাকাছি এলেই দুর্গন্ধ বাসের মধ্যে ঢুকে। অনেক সময় আমাদের সঙ্গে বাচ্চারা থাকে, তারা এই দুর্গন্ধ সহ্য না করতে পেরে বমি করে ফেলে। এই ময়লা ফেলানোর একটি নির্দিষ্ট জায়গা করলে এরকম ব্যবস্ততম সড়কের পাশে ময়লার ভাগাড় দেখতে হত না।
চরফ্যাশন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. শোভন কুমার বসাক বলেন, যেকোনো খোলা স্থানে বর্জ্য ফেলার কারণে ওই এলাকার মানুষের মধ্যে স্বাস্থ্য ঝুঁকির প্রভাব পড়ে এবং পরিবেশ দূষিত হয়। এর ফলে ওই এলাকায় মশা-মাছির উপদ্রব বেড়ে যায়। এসব কারণে শিশু ও বৃদ্ধরা শ্বাসকষ্টসহ নানা রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভবনা থাকে।
চরফ্যাশন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও পৌরসভা প্রশাসক রাসনা শারমিন মিথি জানান, বর্জ্য ডাম্পিং করার বিষয়টি দেখে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।