শেষ হচ্ছে অপেক্ষার প্রহর, আজ যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন
নতুন সময় ডেস্ক
|
শেষ হচ্ছে অপেক্ষার প্রহর। আজই আমেরিকার জনগণ চূড়ান্ত করবেন কে পাচ্ছেন হোয়াইট হাউসের চাবি। স্মরণকালের সবচেয়ে প্রতিযোগিতামূলক প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে এবার প্রার্থিতা করছেন রিপাবলিকান নেতা ও সাবেক প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প এবং ডেমোক্রেট প্রেসিডেন্ট প্রার্থী ও ভাইস প্রেসিডেন্ট কমালা হ্যারিস। দুজনেই সুইং স্টেট পেনসিলভানিয়ায় সভার মাধ্যমে তাদের নির্বাচনী প্রচারণা শেষ করেছেন। মঙ্গলবার দিনভর চলবে হাতি ও গাধা প্রতীকের তীব্র লড়াই। এরপরই চূড়ান্ত হবে কে হচ্ছেন বিশ্ব রাজনীতিতে মোড়ল দেশটির প্রেসিডেন্ট। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক খবরে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের ৫০টি অঙ্গরাজ্য ও ওয়াশিংটন ডিসির ভোটাররা ভোট দেবেন আজ। বিশাল বড় দেশ যুক্তরাষ্ট্রে ছয়টি টাইম জোন রয়েছে। ফলে বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যে সময়ের ব্যবধান রয়েছে। তাই সব রাজ্যে সময়কে সমন্বয় করে ভোট শুরু এবং শেষ হবে। ইতিমধ্যে যুক্তরাষ্ট্রে ৭ কোটি ৮০ লাখ ভোটার আগাম ভোট দিয়েছেন। কমালা-ট্রাম্প ছাড়াও এবারের নির্বাচনে রয়েছেন আরও চার প্রার্থী। তারা হচ্ছেন- গ্রিন পার্টির জিল স্টেইন, লিবার্টারিয়ান পার্টির চেজ অলিভার, স্বতন্ত্র প্রার্থী কর্নেল ওয়েস্ট ও রবার্ট কেনেডি জুনিয়র। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে প্রচারণায় বেশ সরব ছিলেন কমালা হ্যারিস এবং ডনাল্ড ট্রাম্প। তারা সর্বশেষ প্রচারণা চালিয়েছেন সুইং স্টেট পেনসিলভানিয়ায়। সেখানে ট্রাম্প তাকে দুই বার হত্যাচেষ্টার বিষয়টি তুলে ধরে কথা বলেন। অন্যদিকে কমালা হ্যারিসও অঙ্গরাজ্যটির শেষ ভোটটি কুড়াতে বেশ তৎপরতা চালিয়েছেন। এবারের নির্বাচনে কে সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয়, এককভাবে তা বলা বেশ জটিল। বিভিন্ন জরিপে দেখা গেছে উভয় প্রার্থীই সমান্তরাল গতিতে নিজেদের অবস্থান ধরে রাখতে সক্ষম হয়েছেন। যদিও প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ফলাফল নির্ভর করে যুক্তরাষ্ট্রের সার্তি গুরুত্বপূর্ণ রাজ্যের ভোটের উপর। অ্যারিজন, জর্জিয়া, মিশিগান, নেভাদা, নর্থ ক্যারেলিনা, পেনসিলভেনিয়া এবং উইসকন্সিন- এই সাতটি অঙ্গরাজ্যকে একত্রে সুইং স্টেট বলা হয়। বিভিন্ন সময় বিভিন্ন জরিপে এসব রাজ্যে ট্রাম্প বা কমালা উভয়ই এগিয়ে ছিলেন। তাই নির্বাচনের চূড়ান্ত ফলাফল ছাড়া কাউকেই এককভাবে জনপ্রিয় বলাটা কঠিন। এক্ষেত্রে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের লক্ষণীয় বিষয় হচ্ছে পপুলার ভোট বেশি পেয়েও অনেক সময় কোনো প্রার্থী প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত হতে পারে না। যেমনটি ২০১৬ সালে ডেমোক্রেট প্রার্থি হিলারি ক্লিনটনের ক্ষেত্রে ঘটেছিল। নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার সময় নিয়েও সঠিক করে কিছু বলা যায় না। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে স্থানীয় সময় ৫ নভেম্বর রাত বা ৬ নভেম্বর দিনের মধ্যে নির্বাচনের চূড়ান্ত ফলাফল জানা যাবে। তবে ঝামেলা হলে চূড়ান্ত ফল জানতে কয়েক দিন লাগতে পারে। যেমন ২০২০ সালের নির্বাচনে চার দিন পর চূড়ান্ত ফল জানা গিয়েছিল। সে বছর কয়েকটি অঙ্গরাজ্যে বাইডেন ও ট্রাম্পের মধ্যে তুমুল লড়াই হয়েছিল। আবার ২০১৬ সালে ৫ নভেম্বর রাতের মধ্যেই ফল জানা গিয়েছিল। ভোটাররা মূলত ইলেকটোরাল কলেজ নির্বাচিত করবেন। আগামী ১৭ ডিসেম্বর তাদের ভোটে প্রেসিডেন্ট ও ভাইস প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হবেন। যুক্তরাষ্ট্রে মোট ইলেকটোরাল কলেজের ভোটের সংখ্যা ৫৩৮। প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হতে একজন প্রার্থীকে ২৭০টি ভোট পেতে হয়। এই ভোট আবার ২০২৫ সালের ৬ জানুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসের প্রতিনিধি পরিষদে গণনা করা হবে। সেদিন আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচিত হবেন নতুন প্রেসিডেন্ট। এরপর ২০ জানুয়ারি শপথ নিয়ে পাকাপাকিভাবে হোয়াইট হাউসে বসবেন তিনি। |
� পূর্ববর্তী সংবাদ | পরবর্তী সংবাদ � |