দুবাইয়ে সুপারনোভা চ্যালেঞ্জ ২০২৪-এ সেমি-ফাইনালিস্ট প্রিয়শপ
নতুন সময় ডেস্ক
|
বিশ্বের বৃহত্তম স্টার্টআপ পিচ প্রতিযোগিতা সুপারনোভা চ্যালেঞ্জে দেশের শীর্ষস্থানীয় বি-টু-বি মার্কেটপ্লেস এবং স্মার্ট ডিস্ট্রিবিউশন প্ল্যাটফর্ম প্রিয়শপ সেমি-ফাইনালিস্ট হিসেবে স্বীকৃিত লাভ করেছে। সুপারনোভা চ্যালেঞ্জ হল মধ্যপ্রাচ্য, দক্ষিণ এশিয়া এবং আফ্রিকার সমন্বয়ে দুবাই ভিত্তিক সবচেয়ে বড় পিচ প্রতিযোগিতা। এখানে স্টার্টআপের জন্য একাধিক বিভাগ রয়েছে যেখানে মননশীল উদ্ভাবনগুলো প্রদর্শন করা হয় এবং বিশ্বের সামনে তাদের লক্ষ্য তুলে ধরতে পারে স্টার্টআপগুলো। এই চ্যালেঞ্জে প্রিয়শপকে ‘ফিনটেক ডিসরাপ্টর’ বিভাগে সেমি-ফাইনালিস্ট হিসেবে মুকুট দেওয়া হয়েছে। ৭০টি দেশের ৮০০টিরও বেশি অ্যাপ্লিকেশনের মধ্যে প্রিয়শপ শীর্ষ ১৫তম স্থানে নির্বাচিত হয়েছে। এই কৃতিত্বটি ভুটান, ভারত, মালদ্বীপ, নেপাল, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা এবং বাংলাদেশের মতো দক্ষিণ এশীয় দেশগুলোর মধ্যে ফিনটেক সেক্টরে একটি ইউনিকর্ন স্থাপন করেছে। প্রিয়শপের সিইও আশিকুল আলম খাঁন বলেন, "সুপারনোভা চ্যালেঞ্জ ২০২৪-এ দারুণ অভিজ্ঞতা হয়েছে। এ স্বীকৃতির মাধ্যমে আন্তর্জাতিক মঞ্চে বাংলাদেশের প্রতিনিধি হিসেবে স্থান পেয়েছে প্রিয়শপ। বাংলাদেশি উদ্ভাবন ও উদ্যোক্তাদেরকে এগিয়ে যেতে সহযোগিতা করবে এই অর্জন।" এরই মধ্যে আন্তর্জাতিক মঞ্চে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি করছে প্রতিষ্ঠানটি। স্টার্টআপ চ্যাম্পিয়নশিপের শীর্ষ ফাইনালিস্ট, পেগাসাস টেক ভেঞ্চারস দ্বারা আয়োজিত স্টার্টআপ বিশ্বকাপের শীর্ষ ১০ ফাইনালিস্ট, এবং স্টার্টআপ হুইল ২০২৪-এর আন্তর্জাতিক ট্র্যাকের শীর্ষ ৫০-এর স্থান অর্জন করেছে প্রিয়শপ। শুধু তাই নয়, প্রিয়শপ ধারাবাহিকভাবে বিভিন্ন মর্যাদাপূর্ণ প্রতিযোগিতায় শীর্ষস্থান অর্জন করে শ্রেষ্ঠত্ব প্রদর্শন করেছে, যার মধ্যে রয়েছে ইশেলন এক্স, এক্সেলেরেটিং এশিয়া'স এশিয়া এক্সেলেরেটর, এবং র্স্টাটআপ ওয়ার্ল্ড কাপ। পাশাপাশি সংকল্প ঢাকা অ্যাওয়ার্ডস ২০২৩-এ প্রথম রানার-আপ স্থান অর্জন, এবং লিপ রকেট ফুয়েল ও হুয়াওয়ে ক্লাউডের স্টার্টআপ ইগনাইট-এর মতো প্রতিযোগিতায়ও ভালো করেছে প্রিয়শপ। এই অর্জনগুলো প্রিয়শপের উদ্ভাবনী ক্ষমতা, সরবরাহ চেইন প্রক্রিয়াকে সুগম করে, এবং এমবেডেড ফাইন্যান্স সমস্যার সমাধান করে ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের সকল সমস্যা সমাধানে কাজ করার ক্ষেত্রে প্রভাব বিস্তার করে। যার ফলে প্রতিষ্ঠানটির সাফল্য শুধুমাত্র তার নিজের অর্জনকেই তুলে ধরে না বরং গ্লোবাল স্টার্টআপ ইকোসিস্টেমে বাংলাদেশের সম্ভাবনাকেও তুলে ধরে। |
� পূর্ববর্তী সংবাদ | পরবর্তী সংবাদ � |