জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের ফাঁকে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে ড. ইউনূস ছাত্র-জনতার আন্দোলনের নেতৃত্বদানকারীদের ডেকে নেন। তখন মঞ্চে উঠে পড়ে জাহিন রোহান রাজিন নামের এক তরুণ, যে কিনা আওয়ামী পরিবারের সদস্য। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কদের কেউ না হয়েও রাজিন কীভাবে মঞ্চে উঠলো! বিষয়টি নিয়ে শুরু হয় বিতর্ক। প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মাহফুজ আলম রাজিনকে অনুপ্রবেশকারী বললেও প্রশ্ন থেকে যায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অমন একটি অনুষ্ঠানে চাইলেই কি যে কেউ স্টেজে উঠে যেতে পারে? অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট পিনাকী ভট্টাচার্য তার ফেসবুকে এক পোস্টে লিখেছেন, জাহিন হুট করে লাফ দিয়ে স্টেজে উঠে পড়ছে এটা অবিশ্বাস্য। এটা আন্তর্জাতিক দুনিয়াতে হয় না।
পিনাকী তার পোস্টে প্রফেসর ইউনূসের বিশেষ সহকারী মাহফুজকে উদ্দেশ্য করে লিখেন, আন্তর্জাতিক যে কোনো অনুষ্ঠানের ডিটেইল স্ক্রিপ্ট লেখা থাকে। জাহিন হুট করে লাফ দিয়ে স্টেইজে উঠে পড়ছে এইটা অবিশ্বাস্য। এইটা আন্তর্জাতিক দুনিয়াতে হয় না। প্রফেসর ইউনূসের ঘনিষ্ঠ এই ছেলেটা, আমি ২০০% শিওর। এইটা কাণ্ডজ্ঞান। ছেলেটা স্টেজে উঠবে এটা আগে থেকেই ঠিক করা ছিল। থাকতেই হবে। প্রফেসর ইউনূস এইটা জানতেন। উনাকে জানাতেই হবে। আর কে কোথায় দাঁড়াবে এইটাও আগে থেকে ঠিক করা ছিলো। আপনি চুপ থাকলে ভালো করতেন। আজ হোক কাল হোক, প্রফেসর ইউনূসের সাথে এই ছেলের সম্পর্কের কথা বাইর হবেই।
তিনি আরও লিখেন, প্রফেসর ইউনূস যেহেতু রাজনীতির লোক না তাই উনার এই ভুল হইতেই পারে। তারে ইন্ট্রুডার বলে পরিচয় করায়ে আপনি প্রফেসর ইউনুসের ক্ষতি করলেন। যখন এই পরিচয় বাইর হবে তখন আপনি কী জবাব দিবেন? আমাদের ধুনফুন বুঝায়ে তো লাভ নাই ভাই। আমি শিওর প্রফেসর ইউনূসের সাথে ওই ছেলের সম্পর্ক বাইর করা যাবে। খুব ভালো সম্পর্ক থাকার কথা। এইটা কান্ডজ্ঞান। দেশের মানুষ রাজনীতির প্রশ্নে প্রফেসর ইউনূসের কম বুঝাকে মাইনা নিতে এখনো রাজি আছে। কম বুঝা আর চালাকি এক জিনিস না। মানুষ চালাকি মাইনা নিবে না।
পিনাকী ভট্টাচার্যের এই স্ট্যাটাসের আগেই ড. ইউনূসের বিশেষ সহকারী মাহফুজ আলম ফেসবুকে একটি পোস্ট দিয়ে বলেছেন, ওই ব্যক্তি নিজস্ব ক্ষমতাবলে সিজিআই ইভেন্টে যোগ দিয়েছেন। তারাসহ ডেলিগেটরা তার উপস্থিতি ও উদ্দেশ্য জানতেন না। এমনকি সে ডেলিগেটদের কারও সঙ্গে যোগাযোগও করেনি। আন্দোলন ও গণঅভ্যুত্থানের নেতারা, সমন্বয়কারী ও যোদ্ধাদের কাছে মাহফুজ ক্ষমাপ্রার্থী করেছেন, তার অনুপ্রবেশ রোধ করতে না পারার জন্য।