১০ বছর নিষিদ্ধ হতে পারে আওয়ামী লীগ
নতুন সময় ডেস্ক
|
চলতি বছরের জুলাই মাসে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নির্বিচারে দমন পীড়ন চালায় শেখ হাসিনার সরকার। এতে সহস্রাধিক মানুষের প্রাণের বিনিময়ে তৈরি হয়েছে নতুন ইতিহাস। ৫ আগস্ট দেশ ছেড়ে ভারতে পালিয়ে যান শেখ হাসিনা। এদিকে জুলাই হত্যাকাণ্ডের বিচার চেয়ে শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে একের পর এক অভিযোগ আসছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে। পরিপ্রেক্ষিত্রে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইন নিয়ে মতবিনিময় সভা করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল। সভায় গণহত্যায় কোনো বাহিনী বা দলের সম্পৃক্ততায় গুম, খুন যৌন নির্যাতনকে মানবতাবিরোধী অপরাধ হিসেবে গণ্য করা ও জড়িত রাজনৈতিক দলকে ১০ বছর নিষিদ্ধ করাসহ ৮টি সংশোধনীর প্রস্তাব করে আইন মন্ত্রণালয়। সোমবার ২৪ সেপ্টেম্বর, রাজধানীর বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে বিশিষ্টজনদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় এসব প্রস্তাব দেন আইন উপদেষ্টা। এদিকে এসব প্রস্তাবকে স্বাগত জানিয়ে আরও কিছু প্রস্তাব দিয়েছে বিশিষ্টজনরা। উপরোক্ত অভিযোগে অভিযুক্ত আওয়ামী লীগ। এই দলটিও ১০ বছর নিষিদ্ধ হতে পারে মত দেন অনেকে। সভায় আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল বলেন, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের কার্যক্রমকে সচল করার লক্ষ্যে প্রসিকিউশন ও ইনভেস্টিগেশন টিম গঠন করা হয়েছে। এখন আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ চ্যালেঞ্জ হচ্ছে বোর্ডকে (ট্রাইব্যুনাল) পুনর্গঠন করা। আমরা এখন আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনাল) আইন, ১৯৭৩ সংস্কারের উদ্যোগ নিয়েছি। আমাদের সংস্কার কার্যক্রম এখানেই থেমে থাকবে না। যারা এ বিষয়ে বিশেষজ্ঞ তাদের সবার মতামত নিয়ে এই আইন সংশোধন করা হবে। রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধের বিষয়ে তিনি বলেন, ধারা ২০-এ রাজনৈতিক দল বা সংগঠনকে নিষিদ্ধের কথা বলা হয়েছে। এখানে প্রশ্ন হচ্ছে, এই নিষিদ্ধ কি শুধু দেশের অভ্যন্তরীণ অ্যাকটিভিটিসকে নিষিদ্ধ করবেন, নাকি আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও নিষিদ্ধ করা হবে। কারণ হচ্ছে সারা পৃথিবীতেই রাজনৈতিক দলগুলোর কমিটি রয়েছে। দেশে নিষিদ্ধ হলে দেশের বাইরে কার্যক্রম চলছে, সেক্ষেত্রে নিষিদ্ধের এলাকা কোনটা হবে, এটা ঠিক করা হবে কীভাবে? চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম বলেন, ট্রাইব্যুনালে ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা হবে। এ মতবিনিময় সভায় অংশ নেন, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন, সমবায় এবং ভূমি মন্ত্রণালয়বিষয়ক উপদেষ্টা এএফ হাসান আরিফ, আইন ও বিচার বিভাগের সচিব মো. গোলাম রব্বানী, লেজিসলেটিভ ও সংসদবিষয়ক বিভাগের সচিব (চলতি দায়িত্ব) ড. হাফিজ আহমেদ চৌধুরী, নির্বাচন কমিশন সংস্কার কমিশনের চেয়ারম্যান ড. বদিউল আলম মজুমদার, সিনিয়র আইনজীবী জেড আই খান পান্না, সাবেক জেলা ও দায়রা জজ ইকতেদার আহমেদ, সিনিয়র আইনজীবী ব্যারিস্টার সারা হোসেন, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান ও অধ্যাপক নাজমুজ্জামান ভূঁইয়া, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক ড. বেগম আসমা সিদ্দীকা, রাজনীতিবিদ ও আইনজীবী ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী, লেজিসলেটিভ ও সংসদবিষয়ক বিভাগের যুগ্মসচিব (ড্রাফটিং) মো. রফিকুল হাসান, ঢাকাস্থ জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী অফিসের কর্মকর্তা জাহিদ হোসেন, সাংবাদিক ডেভিড বার্গম্যান, আইনজীবী ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া, সোস্যাল মিডিয়া অ্যাক্টিভিস্ট ড. জাহেদুর রহমান, সাংবাদিক সাঈদ আব্দুল্লাহ, সানজিদা ইসলাম, শরিফ ভূঁইয়া প্রমুখ নিজ নিজ মতামত তুলে ধরেন। |
� পূর্ববর্তী সংবাদ | পরবর্তী সংবাদ � |