ছয় মাসের মধ্যে নির্বাচনী রোডম্যাপ চায় বিএনপি। দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ বলছেন, ভোটের জন্য নির্বাচন কমিশন, পুলিশ-প্রশাসনসহ বিভিন্ন সংস্থার সংস্কার ৩ মাসেই সম্ভব। তিনি আরও বলেন, ছাত্র-জনতার যে চাওয়া তা কখনোই অন্তর্বর্তী সরকার পূরণ করতে পারবে না। এ দায়িত্ব নির্বাচিত সরকারের।
ছাত্র-জনতার ২৩ দিনের আন্দোলনের পর গত ৫ আগস্ট ক্ষমতা ছাড়তে বাধ্য হয় শেখ হাসিনার সরকার। এরপর ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে দেশ পরিচালনার দায়িত্ব নেয় অন্তর্বর্তী সরকার।
নতুন সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর অনেকের প্রশ্ন, কত দিন থাকবে এ সরকার? বিএনপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল জানিয়ে দিয়েছে, যত দিন গণতন্ত্রের পক্ষে থাকবে এ সরকার, ততদিন সমর্থন দেওয়া হবে। সম্প্রতি দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এমন কথাই বলেন।
তবে, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ বলছেন, অন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদ ৩ মাসের জায়গায় সর্বোচ্চ ৬ মাস হতে পারে। তিনি বলেন, ‘তিন মাসের মধ্যে নির্বাচনটা দিতে পারবে, এটা আমিও মনে করি না। সাধারণ মানুষও এমন মনে করছেন না। সে জন্য আমরা এটাকে ডবল করতে পারি। এই টাইমটা ডবল করা যেতে পারে। সেটা ৩ থেকে ৬ মাস হতে হবে। এই ৬ মাসের মধ্যে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা নির্বাচনের রোডম্যাপ দিতে পারলে এবং গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় রাজনৈতিক সরকার প্রতিষ্ঠিত হলে দেশের জন্য কল্যাণকর হবে।’
সালাহউদ্দিন আহমেদ বলছেন, ছাত্র-জনতার প্রত্যাশা পূরণে রাজনৈতিক দলগুলোকে আন্তরিক হতে হবে, না হলে জাতি ক্ষমা করবে না। তিনি বলেন, ‘এই যে সংস্কারের কথা বলা হচ্ছে, এগুলো কিন্তু অন্তর্বর্তী সরকারের নয়। তারা সাজেস্ট করতে পারবে। যাতে করে নির্বাচনের আগে আমাদের বিভিন্ন দলের ইশতেহারে এসব ব্যাপার যাতে থাকে। এইবার যদি আমরা ব্যর্থ হয়, এই জাতি কখনোই আমাদেরকে ক্ষমা করবে না।’