কোটা আন্দোলন: বুধবার গায়েবানা জানাজা, কফিন মিছিল
নতুন সময় ডেস্ক
|
বিক্ষোভ-সমাবেশের কর্মসূচিকে ঘিরে পুলিশ ও ছাত্রলীগের সঙ্গে সংঘর্ষে নিহতদের জন্য গায়েবানা জানাজা ও কফিন মিছিলের ঘোষণা দিয়েছে কোটাবিরোধী আন্দোলনকারীরা। বুধবার সারাদেশে এ কর্মসূচি পালনের কথা জানিয়েছেন কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের প্ল্যাটফর্ম বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক আসিফ মাহমুদ। মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, “আগামীকাল ২টায় রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে গায়েবানা জানাজা ও কফিন মিছিল অনুষ্ঠিত হবে।” পাশাপাশি সারাদেশে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও জেলায় জেলায় গায়েবানা জানাজা ও কফিন মিছিল করতে শিক্ষার্থীদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি। এদিন দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন স্থানে দফায় দফায় সংঘাতের ঘটনায় আহত হয়েছেন কয়েকশ মানুষ। এর মধ্যে চট্টগ্রামে তিনজন, রাজধানীতে দুইজন এবং রংপুরে একজন করে মারা গেছেন। কোটা সংস্কারের দাবিতে চলমান আন্দোলনের অংশ হিসেবে মঙ্গলবার বিকালে দেশের সব ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ সমাবেশের কর্মসূচি ঘোষণা করেছিল আন্দোলনকারীরা। তবে বেলা ১১টা থেকেই ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থানে সড়ক অবরোধ করে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভের খবর আসতে থাকে। পরে বিভিন্ন স্থানে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে সরকারদলীয় সংগঠনের নেতাকর্মী ও পুলিশের দফায় দফায় সংঘর্ষে হতাহতের ঘটনা ঘটে। এর আগে দিনভর সংঘর্ষ ও প্রাণহানির পর মঙ্গলবার রাত পৌনে ৯টার দিকে কোনো কর্মসূচি ঘোষণা না করেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের বিক্ষোভ কর্মসূচি স্থগিত করে চলেন যান কোটাবিরোধী আন্দোলনকারীরা। যাওয়ার আগে আন্দোলনের সমন্বয়ককারীদের একজন সারজিস আলম সাংবাদিকদের বলেন, “আগামীকাল পবিত্র আশুরার কথা বিবেচনা করে আমরা আজকের মত কর্মসূচি স্থগিত করছি। আমরা সমন্বয়কদের সঙ্গে কথা বলে রাতে পরবর্তী কর্মসূচি জানিয়ে দেব।“ এর আগে বিকাল ৪টায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন আন্দোলনকারীরা। সেখানে লাঠিসোঁটা নিয়ে তারা অবস্থান করেন। অপরদিকে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের সামনে লাঠিসোঁটা নিয়ে অবস্থান নেন। বেশ কয়েকবার তারা ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার চেষ্টা করেন। পুলিশ বিশ্ববিদ্যালয়ের শামসুন্নাহার হলের সংলগ্ন মিশুক মুনীর চত্বরে অবস্থান নিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখে। পরে রাত ৮টার দিকে আন্দোলনকারীরা শহীদ মিনার থেকে ফুলার রোড হয়ে মিছিল নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বাসভবনের সামনে আসেন। এসময় তারা রাজু ভাস্কর্যের অভিমুখে যেতে চাইলে পুলিশ তাদের আটকে দেয়। পরে আন্দোলনকারী সেখানে ৪৫ মিনিট বিক্ষোভ দেখানোর পর স্থান ত্যাগ করেন। তবে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা রাতেও ক্যাম্পাসে অবস্থান করেন।
|
� পূর্ববর্তী সংবাদ | পরবর্তী সংবাদ � |