সৌদি আরব তার ভিশন ২০৩০-এর অংশ হিসেবে উচ্চ দক্ষ পেশাদারদের জন্য তার নাগরিকত্ব উন্মুক্ত করেছে, যার লক্ষ্য দেশটির অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নের জন্য ব্যতিক্রমী বৈশ্বিক প্রতিভাদের আকৃষ্ট করা। এরই অংশ হিসেবে সৌদি নাগরিকত্ব পাওয়াদের একটি তালিকা প্রকাশ করেছে আর্থিক নিউজ পোর্টাল আরগাম।
তালিকায় রয়েছেন ডা. মেহমুদ খান নামে একজন পাকিস্তানি বিজ্ঞানী। তিনি ইংল্যান্ডের ইউনিভার্সিটি অফ লিভারপুল মেডিকেল স্কুল থেকে মেডিকেল ডিগ্রি অর্জন করেছেন। খানের বিশিষ্ট কর্মজীবনে পেপসিকোর ভাইস চেয়ারম্যান এবং গ্লোবাল রিসার্চ এন্ড ডেভেলপমেন্টের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তাসহ বেশ কয়েকটি সিনিয়র কর্পোরেট ভূমিকা অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
আরগামের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ জুয়েনও আছেন নাগরিকত্ব প্রাপ্তদের তালিকায়। তিনি মিশরের আলেকজান্দ্রিয়া ইউনিভার্সিটি থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন। প্রযুক্তি, মিডিয়া এবং ব্যবসা পরিচালনায় ২৫ বছরেরও বেশি অভিজ্ঞতা রয়েছে তার।
জ্যাকি ওয়াই ইং নামে সিঙ্গাপুরীয় বংশোদ্ভূত এক আমেরিকান বিজ্ঞানী রয়েছেন এ তালিকায়। তিনি সিঙ্গাপুরের ইনস্টিটিউট অফ বায়োইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড ন্যানোটেকনোলজির প্রতিষ্ঠাতা নির্বাহী পরিচালক হিসেবে কাজ করেছেন (২০০৩-২০১৮)। তিনি বর্তমানে ন্যানোবায়ো ল্যাবের নেতৃত্ব দিচ্ছেন এবং এজেন্সি ফর সায়েন্স, টেকনোলজি এন্ড রিসার্চ’র একজন সিনিয়র রিসার্চ ফেলো।
তালিকায় রয়েছেন কিং আবদুল্লাহ ইউনিভার্সিটি অফ সায়েন্স এন্ড টেকনোলজি’র (কেএইউএসটি) প্রতিষ্ঠাতা সদস্য নিভেন খাশাব। ফ্লোরিডা বিশ্ববিদ্যালয়ে পিএইচডি শেষ করার পর তিনি কেএইউএসটিতে যোগ দেন এবং রাসায়নিক বিজ্ঞানের অধ্যাপক হন। খাশাব একজন লেবানিজ বিজ্ঞানী যিনি বায়োইঞ্জিনিয়ারিং এবং ন্যানোম্যাটেরিয়ালগুলোতে উন্নত দক্ষতা এবং অবদান রেখেছেন।
তালিকায় আছেন নরেদ্দিন গফুর, একজন ফরাসি বিজ্ঞানী, যিনি মন্টপেলিয়ার বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি করেছেন এবং বর্তমানে কেএইউএসটিতে পরিবেশবিজ্ঞান এবং প্রকৌশলের অধ্যাপক।
আরও আছেন ফারাজ খালিদ, একজন ভারতীয় উদ্যোক্তা যিনি পেনসিলভানিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের হোয়ার্টন স্কুল থেকে উদ্যোক্তা প্রকল্প ব্যবস্থাপনায় এমবিএ করেছেন। তিনি ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম নুন’র সিইও এবং নামশির সহ-প্রতিষ্ঠাতা।
তালিকায় স্থান পেয়েছেন কিং আবদুল্লাহ স্পেশালাইজড চিলড্রেন হাসপাতালের চিফ পেডিয়াট্রিক নিউরোসার্জারি ডা. মোতাসেম আজজুবি। আজজুবি একজন সিরিয়ান নিউরোসার্জন যিনি সৌদিসহ নানা দেশে অসংখ্য সংযুক্ত যমজ বিচ্ছেদ সার্জারি করেছেন।
যুক্তরাজ্যের সাসেক্স বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করা রামি আল-কাওয়াসমিও আছেন তালিকায়। আল-কাওয়াসমি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এবং স্টার্টআপ বিকাশে তার উদ্যমের জন্য পরিচিত। তিনি ৩০ বছর বয়সের আগে ১০টিরও বেশি কোম্পানি তৈরি এবং বিকাশ করেছেন।
তালিকায় আরও আছেন আহমেদ মিরঘনি, একজন সুদানী উদ্যোক্তা, যিনি প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান কলেজ অফ বিজনেস এন্ড এন্টারপ্রেনারশিপ থেকে এমবিএ করেছেন। তিনি বিআইএম ভেঞ্চারসের একজন সহ-প্রতিষ্ঠাতা এবং একজন নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিত্ব।