বিশ্বকাপের আগে বাংলাদেশকে ‘গোপন তথ্য’ এনে দিলেন হাথুরু
নতুন সময় প্রতিবেদক
|
বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কার তিন টি-টোয়েন্টির সিরিজের শেষ ম্যাচটি মাঠে গড়াবে আগামীকাল। আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে দুই দলই নিজেদের দলের কম্বিনেশন ঠিক করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। লঙ্কানদের জন্য বিশ্বকাপের আগে এটিই শেষ আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি সিরিজ। তবে বাংলাদেশ বিশ্বকাপের আগে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে আরেকটি টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলবে। আগামী জুনে যুক্তরাষ্ট্র ও ওয়েস্ট ইন্ডিজে হতে যাওয়া বিশ্বকাপ নিয়ে এখনই পরিকল্পনা সাজাতে ব্যস্ত বাংলাদেশ। পরিকল্পনা যে আরও আগ থেকেই বোনা শুরু হয়েছে, তা বোঝা গেল বাংলাদেশ কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহের কথায়। বিশ্বকাপে যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের ম্যাচের উইকেট কেমন হতে পারে, অস্ট্রেলিয়া থেকে সে ‘গোপন খবর’ নাকি নিয়ে এসেছেন হাথুরু! আজ সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে দলের অনুশীলন শেষে সংবাদ সম্মেলনে এলেন বাংলাদেশ কোচ। এর আগে কখনো শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ জেতেনি বাংলাদেশ, তাই নাজমুল হোসেন শান্তদের সামনে ইতিহাস গড়ার হাতছানি। তবে কোচ হাথুরুর কথায় স্পষ্ট হলো, তাঁর, ভাবনায় আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপও। যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের বিশ্বকাপের দুটি ম্যাচ রয়েছে। সেখানে কেমন উইকেট হতে পারে এমন প্রশ্নের জবাবে হাথুরু জানান, ‘আমরা ভালো উইকেটে খেলতে চাই। আমি জানি না আমরা যুক্তরাষ্ট্রে কেমন উইকেট পাব। আমাদের যুক্তরাষ্ট্রে দুটি ম্যাচ আছে, খুবই গুরুত্বপূর্ণ দুটি ম্যাচ। কারও কোনো ধারণা নেই, সেখানে উইকেট কেমন হবে। সেখানকার কোনো পরিসংখ্যান নেই। আমি জেনেছি সেখানে ড্রপ ইন উইকেট থাকবে। অ্যাডিলেডে প্রস্তুত করে যুক্তরাষ্ট্রে নেওয়া হবে। আশা করছি অস্ট্রেলীয় উইকেট যেমন হয়, তেমনই হবে।’ হাথুরুসিংহে বাংলাদেশ দলের জন্য তাঁর নেটওয়ার্ক কাজে লাগিয়ে ইতোমধ্যে বিশ্বকাপে আমেরিকায় উইকেট কেমন হতে পারে সেই ধারণা নিয়ে ফেলেছেন। হাথুরুর সাবেক কর্মস্থল অস্ট্রেলিয়ার ক্লাব নিউ সাউথ ওয়েলস। যুক্তরাষ্ট্রে মেজর লিগ ক্রিকেটের দল ওয়াশিংটন ফ্রিডমের মালিকানা নিউ সাউথ ওয়েলসের। যুক্তরাষ্ট্রের ডালাসে কেমন উইকেট হবে তা হাথুরু তাঁর পুরোনো সূত্র কাজে লাগিয়ে জেনেছেন। ‘ডালাস সেখানে কেমন হতে পারে তা নিয়ে কিছুটা ধারণা পেয়েছি নিউ সাউথ ওয়েলস থেকে। কারণ, সেখানে তাদের দ্য ওয়াশিংটন ফ্রিডম দলটা মেজর লিগে খেলে। আমি যখন অস্ট্রেলিয়া ছিলাম, তখন ওদের জেনারেল ম্যানেজারের সঙ্গে কথা বলেছি। আমরা এসব অচেনা চ্যালেঞ্জ মাথায় রেখেই প্রস্তুতি নিচ্ছি যতটা সম্ভব। এরপর আমাদের ওয়েস্ট ইন্ডিজের সেন্ট ভিনসেন্টেও খেলা আছে। যতটা মনে পড়ে সেখানে আমরা টেস্ট খেলেছিলাম। আমরা যতটা সম্ভব প্রস্তুতি নেওয়ার চেষ্টা করছি।’ |
� পূর্ববর্তী সংবাদ | পরবর্তী সংবাদ � |