জনসংখ্যায় বিপাকে থাকা দেশগুলো থেকে ভারত, পাকিস্তান, বাংলাদেশ কী পেতে পারে?
নতুন সময় প্রতিবেদক
|
দক্ষিণ কোরিয়ার একটি বেসরকারি কোম্পানি সন্তান নেওয়ার বিষয়ে যুব সম্প্রদায়কে আকৃষ্ট করতে তাদের কর্মীদের ৭৫ হাজার ডলার দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছে। ‘বু ইয়ং’ নামক এই সংস্থাটি এমন একটা সময় এই ঘোষণাটি করেছে যখন কোরিয়ার সরকারের পক্ষ থেকে প্রকাশ করা তথ্য বলছে, সে দেশে জন্মহার রেকর্ড পরিমাণ কমেছে। দক্ষিণ কোরিয়ায় শিশুদের জন্মহার আগে থেকেই বিশ্বের মধ্যে সবচেয়ে কম ছিল, কিন্তু এখন পরিস্থিতি আরও গুরুতর। বুধবার সরকারি সংস্থা 'স্ট্যাটিসটিক্স কোরিয়া'র প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, শিশু জন্মহার এখন আরও কমে ০.৭২ শতাংশে নেমে এসেছে। গত ২০২২ সালে ছিল ওই হার ছিল ০.৭৮ শতাংশ। রাজধানী সিউলে জন্মহার আরও কম। সদ্য প্রকাশিত ওই তথ্য অনুযায়ী সিউলে জন্মহার ০.৫৫ শতাংশ। কোরিয়ার ক্রমহ্রাসমান জন্মহার সম্পর্কে রাজনৈতিক উদ্বেগ বাড়ছে। দেশটির সরকার ২০০৬ সাল থেকে সন্তানের লালন-পালন, নববিবাহিত দম্পতিদের জন্য বাড়িতে ভর্তুকি দেওয়া এবং অন্যান্য কল্যাণমূলক কর্মসূচিতে ২৭ হাজার কোটি ডলার ব্যয় করেছে। ক্রমহ্রাসমান জনসংখ্যার প্রবণতা কমানোর বিষয়টিকে দেশটির সরকার জাতীয় অগ্রাধিকার দিয়েছে। অন্য অনেক দেশের মতো, দক্ষিণ কোরিয়াতেও সন্তান ধারণের প্রথম শর্ত বিবাহিত হওয়া। অন্যদিকে বিবাহিত জীবন শুরু করতে প্রচুর আর্থিক সংস্থানের প্রয়োজন হয়। এই কারণে যুব সম্প্রদায়ের মধ্যে বিয়ে না করার প্রবণতা বাড়ছে। প্রসঙ্গত, পৃথিবীর কয়েকটি দেশে যেমন ভারত, পাকিস্তান এবং বাংলাদেশে চিত্রটা অন্যরকম। তিনটি দেশেই ঘন জনবসতিপূর্ণ। এই দেশগুলোতে বাড়তে থাকা জনসংখ্যায় রাশ টানতে সরকার একাধিক পদক্ষেপ নিয়েছে। দক্ষিণ কোরিয়ায় সন্তান ধারণের ক্ষেত্রে কী কী সুবিধা পাওয়া যেতে পারে? ‘স্ট্যাটিসটিক্স কোরিয়া’ নামক সংস্থার হিসাব অনুযায়ী, সরকারের সব প্রচেষ্টা সত্ত্বেও ২০২৫ সালে দক্ষিণ কোরিয়ার জন্মহার আরও কমে ০.৬৫ হবে। বিশেষজ্ঞদের মতে এর বড় কারণ সে দেশের নারীদের যে ধরনের সমস্যার মুখে পড়তে হয়। কোনও নারী যদি সন্তানের মা হওয়ার পাশাপাশি কাজ করতে চান তাহলে তার উপর অনেকটা সামাজিক চাপ পড়ে। শুধু তাই নয়, তাকে চাকরি ক্ষেত্রেও অনেক বৈষম্যের সম্মুখীন হতে হয়। টেলিভিশন প্রযোজক ইয়াজিনের বয়স ৩০ বছর। তিনি অবিবাহিত। রাজধানী সিউলের কাছে তার অ্যাপার্টমেন্টে তার বন্ধুদের জন্য রান্না করছেন। এক বন্ধু তার ফোনে একটি ডাইনোসরের কার্টুন দেখছিলেন। সেই ভিডিওতে ডাইনোসর বলছে, "স্মার্ট হও! আমাদের মতো নিজের অস্তিত্ব হারিও না।‘’ এ কথা শুনে সবাই হেসে উঠল। ইয়াজিন বলেন, “এটা হাস্যকর হলেও তিক্ত সত্য। কারণ আমরা জানি আমরা নিজেরাই নিজেদের অস্তিত্ব ধ্বংস করে দিতে পারি।” ইয়াজিনের মতো তার সব বন্ধুও অবিবাহিত। দক্ষিণ কোরিয়ার যুব সম্প্রদায়ের মধ্যে এমন মানুষের সংখ্যা বাড়ছে যারা অর্থনৈতিক কারণে বিয়ে করতে চান না। আর যারা বিবাহিত, তাদের মধ্যে অনেকেই সন্তান চান না। যুব সম্প্রদায় যাতে অভিভাবক হওয়ার ক্ষেত্রে উৎসাহ দেখায় সে জন্য কোরিয়ান সরকার একাধিক পদক্ষেপ নিয়েছে। এর মধ্যে একটি পদক্ষেপ হলো শিশুর জন্মের পর সরকার 'বেবি পেমেন্ট'-এর নামে শিশুর বাবা-মাকে ২২৫০ কোরিয়ান ডলার উপহার হিসাবে দেওয়া। দক্ষিণ কোরিয়ায় জনসংখ্যা হ্রাসের বিষয়টা এতটাই গুরুতর যে এই হার অব্যাহত থাকলে আগামী পঞ্চাশ বছরে সেখানে কর্মক্ষম মানুষের সংখ্যা অর্ধেকে নেমে আসবে। অর্থাৎ সে দেশের অর্ধেক মানুষ অবসর গ্রহণের বয়সে চলে আসবে, এই জনগোষ্ঠীর বয়স হবে ৬৫ বছরের বেশি। দেশটির বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোও এই সংকট এড়াতে এগিয়ে এসেছে। গত সপ্তাহে সিউলের একটি নির্মাণ কোম্পানি ‘বু ইয়ং’ ঘোষণা করেছে কোম্পানির কর্মীরা সন্তানের জন্ম দিলে ৭৫ হাজার আমেরিকান ডলার দেওয়া হবে। জন্মগ্রহণকারী প্রতিটি শিশুর ক্ষেত্রে এই পরিমাণ অর্থ কর্মীদের দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। ওই প্রতিষ্ঠানটি ২০২১ সাল থেকে এই কাজের জন্য তার কর্মীদের প্রায় ৫৩ লাখ ডলার দিয়েছে। ‘বু ইয়ং’ কোম্পানির চেয়ারম্যান লি জং কিয়ন বলেন, “জন্মের এই হার যদি অব্যাহত থাকে, তাহলে এক সময় দেশ অস্তিত্বের সঙ্কটে পড়বে। আর্থিক সহায়তার উদ্দেশ্য হলো তাদের (কর্মীদের) ক্যারিয়ারের সঙ্গে আপস না করে পরিবার বাড়ার ক্ষেত্রে সাহায্য করা।” জন্মহার বাড়ানোর উদ্দেশ্যে আরও কয়েকটি সংস্থা তাদের কর্মীদের আর্থিকভাবে সাহায্য করছে। দক্ষিণ কোরিয়ার সবচেয়ে বড় গাড়ি নির্মাণ সংস্থা হুন্দাই তাদের কর্মীদের প্রতিটি শিশুর জন্মের জন্য ৩ হাজার ৭৫০ ডলার করে দেবে বলে ঘোষণা করেছে। প্রতীকী ছবি- দেশে জন্ম হার বাড়াতে দক্ষিণ কোরিয়ার সরকার একাধিক পদক্ষেপ নিয়েছে। কয়েকটি দেশে জন্মের হার কম কেন? বিশেষজ্ঞদের অনেকে পরামর্শ দিয়েছেন জনসংখ্যা এবং যুব প্রজন্মের জনসংখ্যার মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখতে জন্মের হার ২.১ শতাংশ হওয়া উচিত। অর্থাৎ একজন নারীর অন্তত দুটি সন্তান থাকা উচিত। এর চেয়ে জন্মহার কম হলে ধীরে ধীরে দেশের জনসংখ্যা কমতে শুরু করে। কম জন্মের কারণে একটা সময় পর দেশে কিশোর-কিশোরী ও তরুণ-তরুণীর সংখ্যা কমতে থাকে এবং বয়স্ক মানুষের সংখ্যা বাড়তে থাকে। চীন এই মুহূর্তে এই সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে। অতীতে জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে কয়েক দশক ধরে এক সন্তান নীতি গ্রহণ করেছিল দেশটি। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে দেশের জনসংখ্যা শুধু কমতে শুরু করেছে তাই নয়, আগামী ৩০-৪০ বছরে সেখানে কাজ করা তরুণদের সংখ্যাও কমতে শুরু করবে। চীনের সরকার এখন এই নীতি পরিবর্তন করেছে এবং এখন দ্বিতীয় সন্তানের বিষয়ে যুব সম্প্রদায়কে উৎসাহ দিচ্ছে। তবে নতুন প্রজন্ম কিন্তু দু’জন সন্তান লালন-পালনকে বোঝা হিসাবে দেখছে। চীনে জন্মহার ক্রমাগত কমছে। ২০২২ সালে এ হার ছিল ১.২৮। ২০২৩ সালে চীনের জনসংখ্যায় ২০ লক্ষেরও বেশি হ্রাস নথিভুক্ত করা হয়েছে। চীনের মতো জাপানেও কম সন্তান জন্মের কারণে সংকট দেখা দিয়েছে। এক বছর আগে এ হার ছিল ১.২৬। জাপানে জনসংখ্যা হ্রাসের প্রবণতা শুরু হয়েছিল ২০০৫ সাল থেকে। ২০২৩ সালে জনসংখ্যা আট লক্ষ কমেছে। কোরিয়ার মতো জাপানের নারী-পুরুষরাও অবিবাহিত থাকতে পছন্দ করে। সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে একটি মন্ত্রণালয় তৈরি করেছে সেটি তাদের যুবসমাজকে বিয়ের জন্য প্রস্তুত করতে সহায়তা করে। কিন্তু এই সব চেষ্টার পরও বর্তমান জীবনের দ্রুত গতি, আর্থিক চাপ এবং সন্তান লালন-পালনের মানসিক ও শারীরিক প্রতিকূলতার কারণে বিপুল সংখ্যক জাপানি অবিবাহিত বা নিঃসন্তান থাকতে পছন্দ করছেন। বর্তমান জন্মহার অব্যাহত থাকলে আগামী ৫০ বছরে জাপানের জনসংখ্যা ৩০ শতাংশ কমে যাবে। জনসংখ্যার ৪০ শতাংশ মানুষের বয়স ৬৫ বছরের বেশি হবে। জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা এই প্রবণতাকে 'জাপানের সবচেয়ে গুরুতর সংকট' বলে অভিহিত করেছেন। জাপান বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ। কিন্তু এখানে জীবনযাত্রা বেশ ব্যয়বহুল। সেদিন থেকে মূল্যস্ফীতির অনুপাতে মানুষের বেতন বাড়েনি। শুধু তাই নয়, জাপানে কর্মীদের মধ্যে ৪০ শতাংশই পার্টটাইম বা চুক্তিভিত্তিক কাজ করেন। অনেক সমালোচক বলছেন, শিশু, নারী ও সংখ্যালঘুদের সমাজে ইতিবাচকভাবে গ্রহণ করার বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়নি সরকার। যেসব দেশের পরিস্থিতি একেবারেই ভিন্ন সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া ও থাইল্যান্ডের মতো দূরপ্রাচ্যের দেশগুলোতেও কম-বেশি একই অবস্থা। কিন্তু দক্ষিণ এশিয়ার পরিস্থিতি কিছুটা অন্যরকম। ঘনবসতিপূর্ণ ভারত, পাকিস্তান এবং বাংলাদেশসহ বিশ্বের তিনটি বৃহত্তম দেশ রয়েছে এখানে। এই তিনটি দেশের জনসংখ্যা কয়েক দশক ধরে বিপুলভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। ভারত ও বাংলাদেশ কিন্তু জাতিসংঘ এবং অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের সহায়তায় জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণের জন্য একাধিক পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। এর মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ছিল পরিবার পরিকল্পনা কর্মসূচি। ভারতে ১৯৭০-এর দশকে 'হাম দো, হাম দো, হাম দো'র মতো পরিবার পরিকল্পনা কর্মসূচি শুরু হয়েছিল। জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচি বড় শহর এবং শিক্ষিত শ্রেণিতে সফল ছিল। কিন্তু ছোট শহর ও গ্রামীণ অঞ্চলে এটি প্রত্যাশিত প্রভাব ফেলেনি, যার কারণে জনসংখ্যা বৃদ্ধি অব্যাহত ছিল। এরপর ১৯৯০-এর দশক থেকে ভারতে জন্মহার উল্লেখযোগ্যভাবে কমতে শুরু করে। বর্তমানে তা নেমে এসেছে ২.১-এ। এই হারে ক্রমাগত কমার প্রবণতা লক্ষ্য করা গিয়েছে। কেরালা, গোয়া, জম্মু ও কাশ্মীর, গুজরাট, মহারাষ্ট্র এবং অন্যান্য অনেক রাজ্যে জন্মহার রিপ্লেসমেন্ট রেট বা প্রতিস্থাপনের হারের নিচে নেমে গিয়েছে। অন্যদিকে, বাংলাদেশের জনসংখ্যা বাড়লেও সেখানকার সরকার দ্রুত এবং কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। ১৯৯০ সাল থেকে দেশটিতে জন্মহার প্রতি বছর কমছে। জাতিসংঘের জনসংখ্যা বিষয়ক প্রতিবেদন বলছে, ২০২৩ সালে বাংলাদেশের জন্মহার ছিল ১.৯৩। এই তিন দেশের মধ্যে কিন্তু পাকিস্তানে সবচেয়ে পিছিয়ে। এখানে পরিবার পরিকল্পনার বিষয়ে যথাযথভাবে কাজ করা হয়নি। পাকিস্তান দক্ষিণ এশিয়ার একমাত্র দেশ যার জন্মহার প্রতিস্থাপনের হারের চেয়ে অনেক বেশি। বর্তমানে এই হার ৩.১৮-এর কাছাকাছি। কিন্তু ধীরে ধীরে পাকিস্তানে, বিশেষত শহরাঞ্চলে জন্মহারও কমেছে। বর্তমান জন্মহার তুলনামূলকভাবে অনেক বেশি হলেও গত দশ বছর ধরে জন্মহার ক্রমাগত কমছে। পতনের বার্ষিক প্রবণতার হার আগামী বছরগুলিতে তীব্রভাবে হ্রাস পাবে বলে আশা করা হচ্ছে। এশিয়ার অন্যান্য দেশেও জনসংখ্যা কমার প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া ও ইরানের মতো দেশগুলোতেও পরিবার বাড়ানোর প্রবণতা বাড়ছে। যখন একটি দেশের জনসংখ্যা এবং জন্মহার তীব্রভাবে হ্রাস পায়, তখন প্রথমে যে ক্ষেত্রে প্রভাব পড়ে তা হল ২০-৩০ বছর বয়সের কর্মক্ষম মানুষের সংখ্যা হ্রাস পায় এবং ৬৫ বছরের বেশি বয়সী মানুষের জনসংখ্যা বাড়তে শুরু করে। ইউরোপের বেশিরভাগ দেশে ও যুক্তরাষ্ট্রে জন্মহার কমছে। ধীরে ধীরে আফ্রিকাতেও এই প্রবণতা শুরু হচ্ছে। পরিবর্তনশীল বিশ্বে বিয়ে ও সন্তান-সন্ততির ইচ্ছা ক্রমশ কমে আসছে। 'শ্রমজীবী অভিবাসন বাড়বে' কলকাতার ডায়মন্ড হারবার বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক অনিন্দিতা ঘোষাল বলেন, দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলিতেও জন্মহার কমার প্রবণতা দেখা গিয়েছে। তবে জাপান, সিঙ্গাপুর, দক্ষিণ কোরিয়া এবং চীনের মতো দেশগুলির তুলনায় এটা অনেকটাই ধীরে ধীরে হচ্ছে। এর ফলে এই দুই ধরনের দেশের মধ্যে জনসংখ্যার ব্যবধান দীর্ঘকাল থাকবে। তিনি বলেন, “এরই মধ্যে ধীরে ধীরে নতুন ধরনের এক ধরনের অভিবাসন শুরু হয়েছে। আগে অভিবাসনের ক্ষেত্রে বেশিরভাগ পেশাদার এবং উচ্চশিক্ষিত মানুষকে দেখা যেত। এখন যে অভিবাসন হবে তাতে বেশিরভাগই এমন মানুষকে দেখা যাবে যারা দক্ষ নন বা আধা দক্ষতাসম্পন্ন।” অনিন্দিতা ঘোষাল বলেন, “বাংলাদেশে এটা ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে। পাকিস্তানের শ্রমশক্তি ধীরে ধীরে এমন দেশগুলিতে চলে যাচ্ছে যেখানে যাওয়াটা কঠিন। ভারত থেকে হাজার হাজার কারিগর, নির্মাণ শ্রমিক, ধাত্রী এবং সহায়ক নতুন দেশে চলে যাচ্ছেন।” তিনি বলছেন, “ভারত, পাকিস্তান, বাংলাদেশ, নেপালের মতো দেশে শ্রমশক্তির তুলনায় কাজের সুযোগ নেই।” এই অবস্থায় আগামী দিনগুলোতে অন্যান্য দেশে, বিশেষত উন্নত দেশগুলোতে তরুণ শ্রমশক্তির অভিবাসন বাড়বে। আগামী দিনে সারা বিশ্বে এই পরিস্থিতি দেখা যাবে। তার মতে মানব সভ্যতার প্রতিটি ধাপে ভালো সুযোগের সন্ধানে অন্যত্র যাওয়ার প্রবণতা দেখা গিয়েছে। সেদিক থেকে অভিবাসন একটা স্থায়ী প্রক্রিয়া। কিন্তু উন্নয়নশীল দেশগুলোতে জন্ম হার কমার প্রবণতা একটা গভীর সামাজিক ও মানবিক সংকটের সৃষ্টি করেছে।
|
� পূর্ববর্তী সংবাদ | পরবর্তী সংবাদ � |