পূনরায় ‘নতুন কুঁড়ি’ অনুষ্ঠানটি চালুর নির্দেশ : তথ্যমন্ত্রীর
মো: আব্দুল হামিদ, ঢাকা
|
দেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখতে শিশুদের সংস্কৃতিচর্চা অপরিহার্য। শিশুদেরপ্রতিভা বিকাশের লক্ষ্যে বাংলাদেশ টেলিভিশনে শিশু-কিশােরদের ‘নতুন কুঁড়ি’ অনুষ্ঠানটি আবার চালু করতে নির্দেশ দিয়েছেন। আমাদের দেশে মাঝেমধ্যে যে জঙ্গিবাদ-মৌলবাদের আস্ফালন এবং সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টের অপচেষ্টা হয়, এসব আরাে কমে যাবে যদি আমরা শিশুদেরকে সংস্কৃতিমনা হিসেবে গড়তে পারি, তাদের ভেতরে আমাদের অসাম্প্রদায়িক চেতনা সঞ্চার করতে পারি। সাংবাদিকবৃন্দ দেশের মানুষের মনন তৈরিতে সক্ষম। সাংবাদিকদের হাতে কলম রয়েছে, ক্যামেরাও রয়েছে। মানুষের মাঝে অসাম্প্রদায়িক চেতনা বিস্তারে কাজ করে তারা দেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির ধারা বজায় রাখতে বড় ভূমিকা রাখতে পারবে। নতুন কুড়ির জন্ম ও ইতিহাস নিয়ে আমাদের এই ছোট আয়োজন। আশা রাখি আপনার জ্ঞানের পরিধি একটু হলেও বাড়বে ও বর্তমান প্রজন্মকে এই জনপ্রিয় অনুষ্ঠানটি সম্পর্কে জানাবে। সংস্কৃতি ও সৃষ্টিশীলতা সেই আদিম কাল থেকেই বিনোদন ও অজানাকে জানার ইচ্ছে নিয়ে বহু মানুষকে তার মননশীল লুকায়িত প্রতিভাকে উন্মোচন করতে নানাবিধ উপায় বা পদ্ধতি নিয়েছে। এতে করে মানুষ একে অন্যকে আনন্দ দানের পাশাপাশি জ্ঞান ভাগাভাগির কাজ করে। নতুন কুঁড়ি হচ্ছে শিশু শিল্পীদের জন্য বাংলাদেশী রিয়েলিটি টেলিভিশন প্রতিযোগিতা যেটি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন মুস্তফা মনোয়ার। ১৯৬৬ সালে পাকিস্তান টেলিভিশনে যাত্রা শুরু করেছিল। তখন স্বল্প পরিসরে সরাসরি সম্প্রচার করা হতো। তখন মুলত শিশু/কিশোরদের মেধা অনুসন্ধান কার্যক্রম বলতে যা বোঝায় সেই ররকম কার্যক্রম হিসেবে অনুষ্ঠানটি সম্প্রচার হতো না। বাংলাদেশের স্বাধীনতার পরবর্তীতে ১৯৭৬ সালে বিটিভিতে মোস্তফা মনোয়ারের নির্দেশনায় নতুন কুঁড়ি নামে জাতীয় টেলিভিশন প্রতিযোগিতা হিসেবে যাত্রা শুরু করে। অনুষ্ঠানের নাম রাখা হয়েছিলো কবি গোলাম মোস্তফার কিশোর নামক কবিতা থেকে। যার প্রথম পনেরো লাইন অনুষ্ঠানের উদ্ভোধনী থিম সং হিসেবে ব্যবহৃত হতো।-সূত্র উইকিপিডিয়া।
উক্ত অনুষ্ঠানে বিচারক হিসেবে কাজ করেছেন- অনিল কিশোন সিনহা। এতে করে আমরা বেশ কয়েকজন গুনী শিল্পিদের পেয়েছিলাম যারা বিভিন্ন সময়ে আমাদের সুস্থ্য ও সুন্দর বিনোদন দিয়েছেন। তারা হলেন : তারানা হালিম, রুমানা রশীদ ঈশিতা, তারিন আহমেদ, মেহের আফরোজ শাওন, সাবরিন সাকা মীম এবং নুসরাত ইমরোজ তিশা, তমালিকা কর্মকার, মেহবুবা মাহনূর চাঁদনী, সামিনা চৌধুরীসহ আরও অনেককে। বর্তমান সময়ে আমরা একটি খুবই কঠিন সময় পার করছি। কোভিড-১৯ এর কারনে স্বাভাবিক কাজকর্ম ও শরীরচর্চাও ব্যহত। এতে করে আমাদের ছোট-মোনামনিদের মননশীল দক্ষতাও অজানা এক মায়াজালে আটকে আছে। এর থেকে পরিত্রান পাওয়ার জন্য তাদের বিভিন্ন সৃষ্টিশীল কাজে উৎসাহ দিতে হবে, যাতে করে আমরা ভবিষ্যতে গুনী সংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব পাই। |
পূর্ববর্তী সংবাদ | পরবর্তী সংবাদ |