|
বরফজলে আচমকা মুখ ডোবানোর অভ্যাস, মুখের কোনও ক্ষতি হতে পারে?
নতুন সময় ডেস্ক
|
![]() বরফজলে আচমকা মুখ ডোবানোর অভ্যাস, মুখের কোনও ক্ষতি হতে পারে? ‘স্কিন রিসার্চ অ্যান্ড টেকনোলজি’ জার্নালে প্রকাশিত গবেষণায় বলা হয়েছে, বরফ জলে মুখ ডুবিয়ে রাখলে ত্বকে রক্ত সঞ্চালন কমে আসে। দীর্ঘক্ষণ ঠান্ডা জলের সংস্পর্শে থাকার কারণে ত্বকের নিজস্ব ব্যারিয়ার নষ্ট হতে পারে। যাঁদের ত্বক অতিরিক্ত শুষ্ক কিংবা স্পর্শকাতর তাঁদের ক্ষেত্রে এই অভ্যাস মোটেই ভালো নয়। শুধু তাই নয়, ব্রণর সমস্যা থাকলেও তা-ও বাড়াবাড়ি আকার নিতে পারে। জেনে নিন এই অভ্যাসে আর কী ক্ষতি হতে পারে? ১) ব্লাড ফো ব্যাহত হয়: কনকনে ঠান্ডা জলে মুখ ডোবানো মাত্রই ‘টেম্পারেচার শক’ লাগে ত্বকে। রক্তজালিকাগুলি সঙ্কুচিত হয়ে পড়ে, স্বাভাবিক ভাবেই রক্ত চলাচল ব্যাহত হয়। সাময়িক ভাবে প্রদাহজনিত অস্বস্তি কমে গেলেও ত্বকের জন্য আসলে বিষয়টা ক্ষতিকর। ২) ত্বকের অস্বস্তি বেড়ে যেতে পারে: ঠান্ডা জলে দীর্ঘক্ষণ মুখ ডুবিয়ে রাখলে ত্বকের নিজস্ব ময়েশ্চার ব্যারিয়ার নষ্ট হয়। ত্বক অস্বাভাবিক ভাবে শুষ্ক হয়ে পড়ে। ইনফ্লেমেশন বা প্রদাহজনিত অস্বস্তি বাড়াবাড়ি পর্যায়ে পৌঁছে যেতে পারে। ৩) স্পর্শকাতর ত্বকের জন্য ক্ষতিকর: স্পর্শকাতর ত্বকের ময়েশ্চার ব্যারিয়ার এমনিতেই খারাপ। তার উপর যদি কনকনে ঠান্ডা জলে মুখ ডুবিয়ে রাখেন, তা হলে ত্বকের অবস্থা মারাত্মক হয়ে যাবে। ত্বকের পিএইচের সমতা নষ্ট হওয়ার জন্য দায়ী ঠান্ডা জল। ৪) ব্যাক্টেরিয়াল ইনফেকশন বেড়ে যেতে পারে: ঠান্ডা জলের সংস্পর্শে ত্বকের পোরস সঙ্কুচিত হয়ে যায়। তা যেমন এক দিক থেকে ভালো। আবার, এক দিক থেকে খারাপও। কারণ, সঙ্কুচিত পোরসের ভিতর জমে থাকা ধুলো, তেল, ময়লাও আটকে থাকে। সেখান থেকে ব্যাক্টেরিয়াল ইনফেকশনে আশঙ্কা বেড়ে যায়। ৫) আইসবার্ন হতে পারে: অতিরিক্ত রোদ লেগে যেমন ত্বকে সানবার্ন হয়, তেমনই বরফের ঠান্ডায় হতে পারে আইসবার্ন। ত্বকের উপরের স্তর থেকে খোসার মতো চামড়া উঠতে শুরু করে। শুষ্ক ভাব এবং স্পর্শকাতরতা বেড়ে যায়। |
| পূর্ববর্তী সংবাদ | পরবর্তী সংবাদ |
