|
মামলা স্থগিত চেয়ে আবেদন ইভ্যালির, গ্রাহকের ৪০০ কোটি টাকা পরিশোধ করবে ২০৩০ সালে
নতুন সময় প্রতিবেদক
|
![]() মামলা স্থগিত চেয়ে আবেদন ইভ্যালির, গ্রাহকের ৪০০ কোটি টাকা পরিশোধ করবে ২০৩০ সালে গত ৭ সেপ্টেম্বর বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব বরাবর পাঠানো আবেদনপত্রে ইভ্যালি দাবি করেছে পর্যাপ্ত নীতিমালার অভাবে ২০২১ সালে প্রতিষ্ঠানটি সংকটে পড়ে এবং সময়মতো পণ্য সরবরাহ ব্যাহত হওয়ায় গ্রাহকদের অভিযোগে ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ শীর্ষ কর্মকর্তারা গ্রেফতার হন। এই অবস্থার কারণে প্রতিষ্ঠানটি অচল হয়ে পড়ে বলেও দাবি ইভ্যালির। ![]() মামলা স্থগিত চেয়ে আবেদন ইভ্যালির, গ্রাহকের ৪০০ কোটি টাকা পরিশোধ করবে ২০৩০ সালে হাইকোর্টের রিস্ট্রাকচারের অনুমতি পাওয়ার পর ২০২৪ সালে সীমিত আকারে কার্যক্রম পুনরায় শুরু করে তারা। আবেদনপত্রে উল্লেখ করা হয় ইভ্যালি এখন ক্যাশ-অন-ডেলিভারি, সেলারদের অর্থ নিরাপদে সংরক্ষণ এবং ডেলিভারি চার্জ সমন্বয়সহ বিভিন্ন পরিবর্তন করেছে। তবে চলমান মামলাগুলোর কারণে প্রতিষ্ঠানটি বিনিয়োগ আকর্ষণ করতে পারছে না বলেও দাবি করা হয়। এ কারণে চার বছরের মামলা স্থগিতাদেশ ও অফিস পরিচালনায় নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য মন্ত্রণালয়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে ইভ্যালি। শামীমা নাসরিন দাবি করেছেন, ২০২৮ সালে ৪০ কোটি এবং ২০৩০ সালে ৪০০ কোটি টাকা পরিশোধ করতে পারবে ইভ্যালি। এছাড়া গত দুই বছরে তারা প্রায় ৩ কোটি টাকার মতো পাওনা পরিশোধ করেছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি। বিশেষজ্ঞদের শঙ্কা ই-কমার্স বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ইভ্যালিকে নতুন করে সুযোগ দেওয়া মানে কোটি কোটি টাকা হারানো হাজারো ভুক্তভোগীর সঙ্গে আবারও প্রতারণার ঝুঁকি তৈরি করা। তাদের মতে, মামলার স্থগিতাদেশ বা সরকারি সুরক্ষা পেলে প্রতিষ্ঠানটি আবারও আগ্রাসী অফার ও বিপণন কৌশল নিয়ে বাজারে ফিরতে পারে, যা পূর্বের মতো নতুন সংকট সৃষ্টি করতে পারে। প্রতারণার শিকার এক গ্রাহক বলেন, প্রতিষ্ঠানটি এখনো সম্পূর্ণ পাওনা পরিশোধ করতে পারেনি, নেই কোনো স্বচ্ছতা। অথচ তারা মামলা স্থগিত করে দায়িত্ব এড়িয়ে যেতে চাইছে—এটি অত্যন্ত বিপজ্জনক সংকেত। একটি বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে, ইভ্যালির সহপ্রতিষ্ঠাতা মোহাম্মদ রাসেলের গ্রে-মার্কেট ব্যবসায় দেশের একটি প্রতিষ্ঠিত মোবাইল শপে কোটি কোটি টাকার গোপন বিনিয়োগ রয়েছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রের দাবি, মোবাইল ব্যবসার আড়ালে দীর্ঘদিন ধরে এই বিনিয়োগ পরিচালিত হয়ে আসছে এবং সেই প্রতিষ্ঠানটির সারা দেশে ১০টির অধিক শোরুম বা আউটলেট রয়েছে। এ বিষয়ে ইভ্যালির মোহাম্মদ রাসেলের মন্তব্য জানতে তার মোবাইল নম্বরে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়। তবে নম্বরটি বন্ধ থাকায় তার সঙ্গে কথা বলা সম্ভব হয়নি। |
| পূর্ববর্তী সংবাদ | পরবর্তী সংবাদ |
