|
বছরের সবচেয়ে বড় সুপারমুন দেখা যাবে আজ
নতুন সময় প্রতিবেদক
|
![]() বছরের সবচেয়ে বড় সুপারমুন দেখা যাবে আজ সোমবার (৩ নভেম্বর) দ্য গার্ডিয়ানের এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়। চাঁদ যখন নিজের কক্ষপথে ঘুরতে ঘুরতে পৃথিবীর সবচেয়ে কাছে আসে, সেই সময় পূর্ণিমা হয়। আর ওইসময় চাঁদ সাধারণ সময়ের তুলনায় অনেক বড় আর ঝলমলে দেখায়। ফলে এ সপ্তাহের রাতগুলো হবে একটু বেশি আলো ঝলমলে ও মোহনীয়। এ প্রাকৃতিক দৃশ্যটি দেখতে চাইলে আবহাওয়ার পূর্বাভাসের ওপর নজর রাখতে হবে পৃথিবীবাসীকে। কারণ, কোথায় আকাশ সবচেয়ে পরিষ্কার থাকবে তা জানা গেলেই চাঁদ দেখার জন্য সেরা জায়গা বেছে নিতে সুবিধা হবে। এই চাঁদকে ‘সুপারমুন’ বলা হয় তার কারণ, চাঁদ পৃথিবীকে একদম বৃত্তাকার পথে আবর্তন করে না। চাঁদের কক্ষপথ কিছুটা ডিম্বাকৃতি বা উপবৃত্তাকার। ফলে চাঁদ সবসময় পৃথিবী থেকে সমান দূরত্বে থাকে না, কখনো একটু কাছে আসে, আবার কখনো একটু দূরে চলে যায়। চাঁদ যখন পৃথিবীর সবচেয়ে কাছে আসে তখন সেই অবস্থাকে বলে ‘পেরিজি’। এ সময় পৃথিবী থেকে প্রায় দুই লাখ ২০ হাজার মাইল দূরে থাকে চাঁদ। আর পৃথিবী থেকে চাঁদের দূরে চলে যাওয়ার অবস্থাকে বলে ‘অ্যাপোজি’। এ সময় দূরত্ব হয় প্রায় দুই লাখ ৫০হাজার মাইল। চাঁদ যদি পূর্ণিমার সময় পৃথিবীর সবচেয়ে কাছে থাকে বা পেরিজির ৯০ শতাংশ কাছাকাছি থাকে তাকে বলে ‘সুপারমুন’। এ সময় আকাশে চাঁদ সাধারণ পূর্ণিমার চেয়ে বড় ও উজ্জ্বল দেখায়। আবার এটিকে ‘বিভার মুন’ও বলা হয়। প্রকৃতি ও আবহাওয়ার সঙ্গে মিলিয়ে প্রতিটি মাসের পূর্ণিমারই নামকরণ করেন বিজ্ঞানীরা। এসব নামের অনেকটি শতাব্দী আগ থেকে চলে আসছে। কিছু নাম সহজে বোঝা যায়, যেমন ফেব্রুয়ারির ‘স্নো মুন’ বা জুনের ‘স্ট্রবেরি মুন’। আবার কিছু নাম বোঝা তুলনামূলকভাবে কঠিন। নভেম্বরের পূর্ণিমাকে ‘বিভার মুন’ বলার কারণ হচ্ছে, এ নামটি বিভিন্ন সংস্কৃতিতে ব্যবহৃত হত। কিছু আদিবাসী আমেরিকান গোত্র থেকে শুরু করে প্রাথমিক ইউরোপীয় বসবাসকারীদের মধ্যেও এ নামের চল রয়েছে। নভেম্বরের এ সময়ে বিভাররা সবচেয়ে বেশি সক্রিয় থাকে। নিজেদের বাঁধ তৈরি ও শীতের জন্য খাদ্য সংরক্ষণ করে তারা। ফলে এই পূর্ণিমার সঙ্গে তাদের কার্যকলাপ মিলিয়ে এ নামটি এসেছে। চলতি বছরের শেষ সুপারমুনের দেখা মিলবে আগামী ৪ ডিসেম্বর। |
| পূর্ববর্তী সংবাদ | পরবর্তী সংবাদ |
